প্রধানমন্ত্রীর ডাকে আজ থেকে শুরু ‘টিকা উৎসব’
দেশের অনেক জায়গাতেই ভ্যাকসিন এর অভাব দেখা দিয়েছে। মুম্বই পুনে সহ একাধিক জায়গায় টিকাকরণ কেন্দ্রও বন্ধ করে দিতে হয়েছে ভ্যাকসিন এর অভাবে।
নয়া দিল্লি: করোনার গ্রাফ ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে যত দ্রুত সম্ভব বেশি সংখ্যক মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া প্রয়োজন। আর সেই উদ্দেশ্যেই দেশজুড়ে টিকা উৎসবের বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আজ রবিবার থেকে শুরু হচ্ছে এই কর্মসূচি, চলবে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত।
করোনা নিয়ে রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পরই এই টিকা উৎসবের কথা জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেই বৈঠকে করোনা পরিস্থিতি ও টিকাকরণ কর্মসূচি নিয়ে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির সঙ্গে আলোচনা করেন তিনি। এই বৈঠকে তিনি বলেছিলেন, ১১ এপ্রিল জ্যোতিবা ফুলের জন্মদিন, আর ১৪ এপ্রিল বাবা সাহেবের জন্মদিন। তাই ১১ থেকে ১৪ এপ্রিল দেশজুড়ে টিকাকরণের উৎসবের কথা ঘোষণা করেন তিনি। এক্ষেত্রে দুটি বিষয়ে নজর দেওয়ার কথা বলেন মোদী। এক, যারা ভ্যাকসিন নেওয়ার যোগ্য তাদের ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য এই বিশেষ ক্যাম্পেন চালানো হবে, আর ভ্যাকসিন যাতে একটা ডোজও নষ্ট না হয় সেদিকেও খেয়াল রাখা হবে।
মোদীর এই উদ্যোগের সাড়া দিয়ে প্রথমে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে উত্তর প্রদেশ ও বিহার। এই সাতদিনের মধ্যে প্রত্যেককে ভ্যাকসিন নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে এই দুই রাজ্য। অন্যদিকে এই টিকা উৎসব নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে বিরোধী মহলে। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর মতে একদিকে যখন দেশে ভ্যাকসিনের অভাব তৈরি হয়েছে, তখন এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, কোনও উৎসব নয়।