Ayodhya Ram Mandir: রামনগরীতে এল বিশ্বের সবথেকে বড় ও দামী রামায়ণ, এর বিশেষত্ব কী জানেন?
Ram Mandir Inauguration: তিনতলা মন্দিরের আদলেই তৈরি এই রামায়ণ। তিনটি আলাদা বাক্সে রয়েছে তিন খণ্ডের রামায়ণ। ওজন ৪৫ কেজি। দাম ১ লাখ ৬৫ হাজার টাকা। শনিবারই তা অযোধ্যায় পৌঁছয়। নবনির্মিত রাম মন্দিরে রাখার জন্য এই রামায়ণের বরাত দিয়েছিল রাম জন্মভূমি ট্রাস্ট। উত্তর প্রদেশে প্রকাশনা ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত মনোজ সোতি নামক এক ব্যক্তি এই রামায়ণ তৈরি করেছেন।
অযোধ্যা: রাত পোহালেই রাম মন্দিরের উদ্বোধন (Inauguration of Ram Mandir)। অধীর আগ্রহে এই দিনটার অপেক্ষায় বসে রয়েছেন সমস্ত দেশবাসী। ইতিমধ্যেই ফুলের সাজে সেজে উঠেছে রাম-নগরী অযোধ্য়া। রাম মন্দিরের উদ্বোধন ও রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা উপলক্ষে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। দেশ-বিদেশ থেকে এসেছে নানা উপহারও। এবার বিশ্বের সবথেকে দামী রামায়ণ (Ramayana) পৌঁছে গেল অযোধ্যায় (Ayodhya)। শুধু দামীই নয়, বিশ্বের সবথেকে বড় রামায়ণও এটি। কী এর বিশেষত্ব জানেন?
তিনতলা মন্দিরের আদলেই তৈরি এই রামায়ণ। তিনটি আলাদা বাক্সে রয়েছে তিন খণ্ডের রামায়ণ। ওজন ৪৫ কেজি। দাম ১ লাখ ৬৫ হাজার টাকা। শনিবারই তা অযোধ্যায় পৌঁছয়। জানা গিয়েছে, নবনির্মিত রাম মন্দিরে রাখার জন্য এই রামায়ণের বরাত দিয়েছিল রাম জন্মভূমি ট্রাস্ট। উত্তর প্রদেশে প্রকাশনা ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত মনোজ সোতি নামক এক ব্যক্তি এই রামায়ণ তৈরি করেছেন।
#WATCH | Uttar Pradesh: Ramayana worth Rs 1,65,000 displayed in Ayodhya. The weight of the Ramayana is 45 kg and it comes in three boxes. (19.01) pic.twitter.com/WbEsOCpQcZ
— ANI (@ANI) January 20, 2024
মনোজ সোতি জানিয়েছেন, দীর্ঘ ৭ মাস ধরে ১৮০ জন কর্মীর মিলিত উদ্যোগ ও পরিশ্রমে তৈরি হয়েছে ৪৫ কেজির সবথেকে বড় ও দামী রামায়ণ। তাঁর দাবি, ৫০০ বছরেও এই রামায়ণের কোনও ক্ষতি হবে না। কারণ বিশেষ এক ধরনের কাগজ দিয়ে তৈরি হয়েছে গ্রন্থটি। কাগজ এসেছে ফ্রান্স থেকে। রাম কথা ছাপার ব্যবহার করা হয়েছে বিশেষ কালিও।
রাম মন্দিরের উদ্বোধনে আর কী কী চমক থাকছে?
শুধু বিশ্বের সবথেকে বড় রামায়ণই নয়, রাম মন্দিরের উদ্বোধন উপলক্ষে আরও নানা অসাধারণ উপহার এসেছে অযোধ্যায়। কাম মন্দিরের জন্য় এসেছে রাম তালা। এই তালার ওজন ৪০০ কেজি। আলিগড়ের দম্পতি সত্য প্রকাশ ও রুক্সিনী শর্মা এই তালা পাঠিয়েছেন। ৬০০ জন কারিগর মিলে এটি তৈরি করেছেন।
এছাড়া রামলালার জন্য হায়দরাবাদ থেকে এসেছে ১২০০ কেজির লাড্ডু। রাজস্থান থেকে খাঁটি রুপোয় তৈরি রামের পাদুকাও মন্দির কর্তৃপক্ষের হাতে এসেছে। এই পাদুকা নিয়ে হায়দরাবাদ থেকে হাঁটা শুরু করেছিলেন চরলা শ্রীনিবাস শাস্ত্রী। ৩ মাসে ১৩০০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে শুক্রবার অযোধ্যা পৌঁছন তিনি। সোনা ও রুপোয় মোড়া একেকটি পাদুকার ওজন সাড়ে ১২ কেজি। মন্দির ট্রাস্ট সূত্রে খবর, উপহারের সংখ্যা ইতিমধ্যেই ১ লক্ষ ছাড়িয়ে গেছে। অনেক উপহার এখনও পোস্ট অফিসে পড়ে রয়েছে। সব উপহার সাজিয়ে রাখতে মন্দিরের দোতলায় এক বড় হলঘর বরাদ্দ হতে পারে।