Anubrata Mondal: পর পর পাঁচ দিনই পরেছেন সবুজ পাঞ্জাবি, দিল্লি থেকে কিসের ‘গ্রিন সিগন্যাল’ কেষ্টর?

Anubrata Mondal: ইডি অফিসাররা জানাচ্ছেন, অনুব্রত দিল্লি যাওয়ার সময় সঙ্গে যে সব জামাকাপড় এনেছেন তার মধ্যে রয়েছে একাধিক সবুজ পাঞ্জাবি, রয়েছে সাদা পাজামা ও স্নিকার্স।

Anubrata Mondal: পর পর পাঁচ দিনই পরেছেন সবুজ পাঞ্জাবি, দিল্লি থেকে কিসের ‘গ্রিন সিগন্যাল’ কেষ্টর?
অনুব্রত মণ্ডল
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 11, 2023 | 6:04 PM

নয়া দিল্লি : প্রথম প্রথম তিনি জেল থেকে বেরলেই শোনা যেত কেষ্ট দা ডাক। গাড়ি ঘিরে ফেলতেন অনুগামীরা। পুরনো মেজাজেই কোর্টে প্রবেশ করতে দেখা যেত তাঁকে। কিন্তু দিল্লি রওনা হওয়ার সময় আসানসোল জেলের আশপাশে দেখা যায়নি অনুগামীদের চেনা ভিড়। ‘বীর’কে সম্মান জানাতে যাত্রাপথে পতাকা নাড়তেও তেমন কেউ আসেননি। যাঁকে ‘বীরভূমের বাঘ’ বলছিল দল, তাঁর হয়ে দলের মুখপাত্রদের মুখে তেমন ‘গর্জন’ও শোনা যায়নি। এসব দেখে ঘুরপাক খাচ্ছে একটাই প্রশ্ন, কেষ্টর কষ্টের দিনে তৃণমূল কি আর আগের মতো তাঁর পাশে নেই? দল কি দূরত্ব বাড়াচ্ছে? অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) এসব কতটা টের পাচ্ছেন, সেটা বোঝা না গেলেও রাজধানীর মাটিতে তিনি বুঝিয়ে দিচ্ছেন তিনি আজও তৃণমূলেরই।

আসানসোল জেল থেকে কলকাতা হয়ে দিল্লি এসেছেন পাঁচদিন হল। সেই মঙ্গলবার থেকে আজ শনিবার পর্যন্ত অনুব্রতর গায়ে একই রঙের পাঞ্জাবি- সবুজ। একটাই পাঞ্জাবি পরে আছেন এমনটা নয়, পাঞ্জাবি বদল হলেও রং একটাই। ‘দুর্দিনে’ তাঁর পাশে যে অনুগামীরা রয়েছেন, তাঁদের বক্তব্য, ‘এটাও আসলে নীরবে দাদার বার্তা। যাই হয়ে যাক মনে প্রাণে তিনি দলটাকে ভালবাসেন। তিনি যে দলের একনিষ্ঠ কর্মী, সেটাই বোঝাতে চাইছেন।’

তবে এই সবুজ পাঞ্জাবির আরও একটা কারণ আছে। তাঁর খুব কাছের মানুষজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, সবুজ রঙ ‘কেষ্ট দা’র জন্য শুভ। একজন তান্ত্রিক নাকি তাঁকে এমনটা বলেছিলেন, আর সেটাই মেনে চলেন ‘কালী-ভক্ত’ কেষ্ট। যদি আর কেউ পাশে না থাকে, অন্তত ভাগ্য় তো সহায় হবে!

ইডি অফিসাররা জানাচ্ছেন, অনুব্রত দিল্লি যাওয়ার সময় সঙ্গে যে সব জামাকাপড় এনেছেন তার মধ্যে রয়েছে একাধিক সবুজ পাঞ্জাবি, রয়েছে সাদা পাজামা ও স্নিকার্স।

দুর্দিনে কাউকে পাশে না থাকলেও অনুব্রত মণ্ডল বিশ্বাস করেন মা কালী সবসময় তাঁর সঙ্গে আছেন। গ্রেফতারের আগে যজ্ঞ করেছিলেন। ফল মেলেনি তো কী! তিনি আসানসোল জেলেও নাকি মা কালীর কাছে প্রার্থনা করতেন নিয়মিত। মায়ের উপর তাঁর বিশ্বাস অফুরান। সে জন্যই দিল্লি যাওয়ার সময় সঙ্গে নিতে ভোলেননি তারাপীঠের মা কালীর ছবি, গর্ভগৃহের জবা আর বক্রেশ্বরের বেলপাতা।

দিল্লিতে ইডি দফতরে তাঁর জন্য যে ঘর বরাদ্দ হয়েছে সেই ঘরেই রাখা হয়েছে তারা মায়ের ছবি ও জবা ফুল। জেরার মাঝে বিরাম নেওয়ার সময় নাকি মাঝে মধ্যেই চোখ বুজে মায়ের কাছে প্রার্থনা করেন তিনি। ভক্তের ভগবান কি শুনবেন সেই ডাক? দিন দশেক বাদে মিলবে উত্তর।