‘২ ঘণ্টার মধ্যে রোগীর দরজায় পৌঁছে যাবে অক্সিজেন’, ঘোষণা কেজরীবালের

দিল্লি জুড়ে সংক্রমণের হার আর মৃত্যুর সংখ্যা ক্রমশ উদ্বেগ বাড়াচ্ছিল। সেই হার এবার নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী।

'২ ঘণ্টার মধ্যে রোগীর দরজায় পৌঁছে যাবে অক্সিজেন', ঘোষণা কেজরীবালের
রামলীলা ময়দানের কোভিড কেয়ার সেন্টারের ছবি (পিটিআই)
Follow Us:
| Updated on: May 15, 2021 | 4:55 PM

নয়া দিল্লি: দেশ জুড়ে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে বেসামাল অবস্থা। আর এরই মধ্যে আতঙ্ক আর উদ্বেগের ছবিতে বারবার শিরোনামে এসেছে রাজধানী দিল্লির ছবি। অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যুর ঘটনা, সৎকারের জায়গার অভাবে মৃতদেহের লম্বা লাইন দেখা গিয়েছে দিল্লিতে। এবার দিল্লিবাসীর দরজায় দরজায় অক্সিজেন পৌঁছে দেওয়ার কথা বললেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল। শনিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে করোনা নিয়ন্ত্রণে সরকারের তৎপরতার বার্তা দেন তিনি।

ঘরের দরজায় অক্সিজেন:

কেজরীবাল জানালেন আজ, শনিবার থেকেই রাজ্যে চালু হচ্ছে অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর ব্যাঙ্ক। তিনি জানান, অনেক ক্ষেত্রেই বাড়িতেই রোগীর অক্সিজেনের মাত্রা কমে গিয়ে শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছে। সময় মতো অক্সিজেন না দেওয়া হলে রোগীদের ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে নিয়ে যেতে হচ্ছে, আবার অনেক সময় তাঁদের মৃত্যুর কাছে হার মানতে হচ্ছে। তাই সেই সব রোগীদের কথা মাথায় রেখে দ্রুত অক্সিজেন জোগান দেওয়ার ব্যবস্থা কর হচ্ছে। হোম আইসোলেশনে থাকা রোগীদের প্রয়োজন পড়লে ২ ঘণ্টার মধ্যে বাড়িতে অক্সিজেন পৌঁছে দেওয়া হবে। কী ভাবে অক্সিজেন দিতে হবে তা রোগীর পরিবারকে বোঝানোর জন্য একজন অভিজ্ঞ ব্যক্তিকে পাঠানো হবে।

শুধু তাই নয়, করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরার পরও তাঁদের কয়েক দিনের জন্য অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর দেওয়া হবে। তাঁর যদি অক্সিজেনের প্রয়োজন পড়ে সে কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত। তাঁদের সঙ্গেও সমানে যোগাযোগ থাকবে চিকিৎসকদের। আবারও প্রয়োজন হলে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। সম্পূর্ণ সুস্থ হলে তবেই কনসেন্ট্রেটর ফিরিয়ে নেওয়া হবে।

হেল্পলাইন নম্বর:

হাসপাতালে রোগী ভর্তি হলে অক্সিজেন পাওয়ার ক্ষেত্রে অসুবিধা হবে না। তবে আক্রান্ত হোম আইসোলেশনে থাকলে সরকারের আইসোলেশন প্রোগ্রামের আওতায় আসতে হবে। তার জন্য দেওয়া হয়েছে একটি হেল্পলাইন নম্বর। ১০৩১ নম্বরে ডায়াল করে কনসেন্ট্রেটরের জন্য আবেদন করতে হবে। তবে সবার আগে চিকিৎসককে জানাতে হবে যে ওই রোগীর অক্সিজেনের প্রয়োজন আছে কিনা।

আরও পড়ুন: করোনা ঠেকাতে বৈঠক প্রধানমন্ত্রীর, কী কী পরামর্শ দিলেন নমো?

সংক্রমণের হার কমল ১১ শতাংশ:

করোনার দ্বিতীয় ঢেউ বিপর্যস্ত করেছে দিল্লিকে। তবে সংক্রমণের হার কমতে শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন কেজরীবাল। তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ৬৫০০ মানুষ। ১১ শতাংশ কমেছে কোভিড সংক্রমণের হার। মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, গত ১৫ দিনে ১০০০ আইসিইউ বেড চালু করা হয়েছে। চিকিৎসক ও ইঞ্জিনিয়াররা কার্যত নজির গড়েছেন বলে সাধুবাদ দেন তিনি।