AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

করোনার নয়া স্ট্রেনের হানায় চিন্তিত কেন্দ্র, বিদেশ থেকে আগত যাত্রীদের জন্য জারি নয়া নির্দেশিকা

নতুন নির্দেশিকাতেও যাত্রীদেরও ভ্রমণের ৭২ ঘণ্টা আগে আরটি-পিসিআর (RT-PCR) পরীক্ষা করে তা ভারত সরকারের বিমানমন্ত্রকের ওয়েবসাইটে আপলোড করতে হবে। কোনও যাত্রীর পরিবারে মৃত্যুর ঘটনা ঘটলে সেক্ষেত্রে আরটি-পিসিআর নেগেটিভ রিপোর্ট ছাড়াই ভ্রমণ করতে দেওয়া হবে।

করোনার নয়া স্ট্রেনের হানায় চিন্তিত কেন্দ্র, বিদেশ থেকে আগত যাত্রীদের জন্য জারি নয়া নির্দেশিকা
ফাইল চিত্র।
| Updated on: Feb 18, 2021 | 11:33 AM
Share

নয়া দিল্লি: গত বছরের শেষভাগেই রূপ বদলেছিল করোনাভাইরাস। দেশবাসীকে সুরক্ষিত রাখতে বদল আনা হয়েছিল বিদেশ থেকে আগত যাত্রীদের জন্য জারি করা নিয়মবিধিতেও। প্রায় শতাধিক যাত্রীর দেহে ব্রিটেনের অভিযোজিত ভাইরাসের খোঁজ মিললেও নিয়ন্ত্রণেই ছিল সংক্রমণ। কিন্তু মঙ্গলবারই আইসিএমআরের ডিরেক্টর জেনারেল বলরাম ভার্গব ( balram bhargava) ও কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ (Rajesh Bhushan) জানান, এবার দেশে হানা দিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা ও ব্রাজিলের স্ট্রেনও। অতএব, যাত্রীদের সুরক্ষায় ফের একবার বদল আনা হল ভ্রমণ নির্দেশিকায় (Travel Guidelines)।

মঙ্গলবার স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়, বিদেশ থেকে আগত চার যাত্রীর দেহে দক্ষিণ আফ্রিকার স্ট্রেন মিলেছে। ব্রাজিলের স্ট্রেনের খোঁজও মিলেছে এক যাত্রীর দেহে। ব্রিটেনের অভিযোজিত ভাইরাস যেমন ৭৫ শতাংশ অধিক সংক্রামক বলে দাবি করা হয়েছিল, এই নতুন দুটি স্ট্রেন তার থেকেও বেশি সংক্রামক বলেই জানা গিয়েছে। এমনকি, দুই স্ট্রেনের উপর করোনা ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন।

নতুন স্ট্রেনের খোঁজ মিলতেই বিমানমন্ত্রকের তরফে বিদেশ থেকে আগত যাত্রীদের জন্য নতুন নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। গতকাল বিকেলে টুইট করে জানানো হয়, ব্রিটেন, ইউরোপ ও মধ্য প্রাচ্য বাদে বাকি দেশগুলি থেকে আগত যাত্রীদের নতুন নির্দেশিকা মেনে চলতে হবে।

কী বলা হয়েছে নতুন নির্দেশিকায়?

দেশে আগত যাত্রীদের দেহে ব্রিটেনের স্ট্রেনের খোঁজ মিলতেই নির্দেশিকায় বলা হয়েছিল, ভারতে আগত যাত্রীদের নিজেদের খরচে আরটি-পিসিআর পরীক্ষা করিয়ে তবেই বিমানে উঠতে দেওয়া হবে। নতুন নির্দেশিকাতেও দক্ষিণ আফ্রিকা ও ব্রাজিলের যাত্রীদেরও ভ্রমণের ৭২ ঘণ্টা আগে আরটি-পিসিআর (RT-PCR) পরীক্ষা করে তা ভারত সরকারের বিমানমন্ত্রকের ওয়েবসাইটে আপলোড করতে হবে। কোনও যাত্রীর পরিবারে মৃত্যুর ঘটনা ঘটলে কেবল সেক্ষেত্রেই আরটি-পিসিআর নেগেটিভ রিপোর্ট ছাড়া ভ্রমণ করতে দেওয়া হবে। তবে কোন যাত্রীরা এই সুবিধা পাবে, তা বিবেচনা করে কেন্দ্রীয় সরকারই এই বিষয়ে অন্তিম সিদ্ধান্ত নেবে।

একইসঙ্গে ভ্রমণের আগে আন্তর্জাতিক সকল যাত্রীকেই একটি স্ব-ঘোষণা পত্র বা সেল্ফ-ডিক্লেরেশন ফর্ম (Self Declaration Form) পূরণ করে তা “এয়ার সুবিধা” (Air Subidha) পোর্টালে আপলোড করতে হবে। যদি কোনও যাত্রী ভুয়ো রিপোর্ট জমা দেন, তবে তাঁর বিরুদ্ধে অপরাধমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।

দেশে পৌঁছনোর পর সকল যাত্রীদের ১৪ দিনের জন্য হোম কোয়ারান্টিনে থাকতে হবে বা ওই ১৪ দিন স্বাস্থ্যের প্রতি বিশেষ নজর রাখতে হবে। বিমানে ওঠার আগেই প্রতিটি যাত্রীকে টিকিটের সঙ্গেই একটি করণীয়ের তালিকা দেওয়া হবে। সকল যাত্রীকে সেই নিয়মবিধি মেনেই চলতে হবে।

করোনা পরীক্ষার নেগেটিভ রিপোর্ট জমা দেওয়ার পরও বিমানবন্দরে সকল যাত্রীর থার্মাল স্ক্রিনিং (Thermal Screening) করা হবে। এক্ষেত্রে যাদের মধ্যে কোনও উপসর্গ দেখা যাবে, তাদের বিমানে উঠতে দেওয়া হবে না। কেবল উপসর্গহীন যাত্রীদেরই ভ্রমণে অনুমতি দেওয়া হবে। এছাড়াও সকল যাত্রীকেই তাঁদের শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা ও কেন্দ্রকে সে বিষয়ে জানানোর জন্য আরোগ্য সেতু (Aarogya Setu) অ্যাপটি ডাউনলোডের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বিমানে ওঠার সময়ও যাত্রীদের সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।

বিমানে ওঠার পরও যাত্রীদের মাস্ক পরা, শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা ও অন্যান্য করোনাবিধি মেনে চলতে হবে। বিমান থেকে নামার সময়ও যাত্রীদের সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। যাত্রীদের সেল্ফ-ডিক্লেরেশন ফর্মটি জমা দিতে হবে বিমান থেকে নামার পরই। যাত্রীদের থার্মাল স্ক্রিনিং করা হবে বিমান থেকে নামার পরও। যদি কোনও যাত্রীর উপসর্গ দেখা যায়, তাঁদের আলাদাভাবে রাখার ব্যবস্থা করা হবে ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সাহায্যে তাঁদের নির্দিষ্ট স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হবে।

উপসর্গহীন যাত্রীদের ১৪ দিনের জন্য হোম কোয়ারান্টিনে (Home Quarantine) থাকতে হবে বা স্বাস্থ্যের দিকে বিশেষ নজর রাখতে হবে। ওই ১৪ দিনের মধ্যে কোনও উপসর্গ দেখা গেলেই সংশ্লিষ্ট রাজ্যের স্বাস্থ্য আধিকারিকদের জানাতে হবে। যাত্রীদের সুবিধার্থে জাতীয় ও রাজ্য স্তরের পর্যবেক্ষক আধিকারিকদের ও কোভিড কল সেন্টারের ফোন নম্বর দেওয়া হবে। বন্দর ও নৌ-বিমানবন্দরে আগত যাত্রীদেরও একই নির্দেশিকা মেনে চলতে হবে।