G. Kishan Reddy: বেগমপেট বিমানবন্দরেই হতে চলেছে CARO, তেলেঙ্গনাবাসীর জন্য মোদী সরকারের উপহার বলে মন্তব্য জি.কিষাণ রেড্ডির
দেশের বিভিন্ন বিমানবন্দরেই দ্রুত গতিতে CARO পরিষেবা চালু করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন জি. কিষাণ রেড্ডি।
নয়া দিল্লি: তেলেঙ্গানাবাসীর জন্য বিশেষ উপহার নরেন্দ্র মোদী সরকারের। হায়দরাবাদের বেগমপেট বিমানবন্দরটি আন্তর্জাতিক মানের উন্নীত করা হবে। শুধু তাই নয়, পুরোনো এই বিমানবন্দরে সিভিল অ্যাভিয়েশন রিসার্চ অর্গানাইজেশন (CARO) প্রতিষ্ঠিত হতে চলেছ। অর্থাৎ এবার থেকে সাইবার নিরাপত্তা নিয়ে কোনও হুমকি এলে সেটি কোথা থেকে এল, কী ভাবে মোকাবিলা করা যাবে, তার যেমন অত্যাধুনিক ব্যবস্থা থাকবে, তেমনই এয়ার নেভিগেশন সার্ভিসেস পরিষেবা, এয়ার ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট কমিউনিকেশন (ATC) সহ বিভিন্ন পরিষেবা পাওয়া যাবে বেগপেট বিমানবন্দরে। এমনটাই জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের পর্যটন ও উন্নয়নমন্ত্রী জি. কিষাণ রেড্ডি। তিনি বলেন, “চলতি বছরের জুলাই থেকেই বেগমপেট বিমানবন্দরে CARO পরিষেবা চালু করার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।”
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানান, ৪০০ কোটি টাকা ব্যয়ে হায়দরাবাদের বেগমপেট বিমানবন্দরটি আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করা হচ্ছে। এই বিমানবন্দরেই প্রথম দেশের মধ্যে ‘গৃহ-৫’ মানের অসামরিক বিমান পরিবহণ বহুতল হতে চলেছে এবং এশিয়ার সর্বোত্তম মানের প্রযুক্তি ব্যবহৃত হবে এই বিমানবন্দরে। চলতি বছরের জুলাই থেকেই CARO পরিষেবা চালু করে দেওয়া লক্ষ্য এবং এই পরিষেবা চালু হলে তেলেঙ্গনার যুবকদের কর্মক্ষেত্র প্রসারিত হবে, তাঁরা তাঁদের সীমাহীন দক্ষতা, প্রতিভাকে কাজে লাগানোর সুযোগ পাবেন এবং বিমান শিল্পকে বিশ্বব্যাপী স্বীকৃতি দেবে বলেও আশাবাদী কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
এয়ারপোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (AAI)-র অধীনেই বেগমপেট বিমানবন্দরকে উন্নীত করে তোলার কাজ শুরু হয়েছে এবং আগামী দিনে বিমান পরিবহণ ক্ষেত্রে যে প্রযুক্তিগত পরিবর্তন ঘটবে, তার জন্য প্রয়োজনীয় গবেষণা এখানে করা হবে বলে জানান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা তেলেঙ্গনার সাংসদ জি. কিষাণ রেড্ডি। বেগমপেট বিমানবন্দরে CARO চালু হলে কী পরিষেবা পাওয়া যাবে, সে ব্যাপারেও বিস্তারিত জানিয়েছেন রেড্ডি। তিনি জানান, এয়ার নেভিগেশন সার্ভিসেস (ANS)-এর গবেষণা ও উন্নয়নমূলক পরিষেবা, এয়ার ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট কমিউনিকেশন ডোমেন থাকবে, নেটওয়ার্ক এমুলেটর, ভিস্যুয়ালাইজেশন ও অ্যানালিসিস ল্যাব, নেভিগেশন সিস্টেমের পর্যবেক্ষণ (সার্ভিলিয়েন্স) ল্যাব, সাইবার সিকিউরিটি ও হুমকি অ্যানালিসিস ল্যাব, ডাটা ম্যানেজমেন্ট সেন্টার, নেটওয়ার্ক পরিকাঠামো সেন্টার সহ সমস্ত রকম প্রয়োজনীয় পরিষেবা CARO-র মধ্যে থাকবে।
কেবল বেগমপেট বিমানবন্দর নয়, দেশের বিভিন্ন বিমানবন্দরেই দ্রুত গতিতে CARO পরিষেবা চালু করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন জি. কিষাণ রেড্ডি। তবে গত সাড়ে ৮ বছরে নরেন্দ্র মোদীর সরকার তেলেঙ্গনায় একাধিক উন্নয়মমূলক কাজ করেছে এবং বেগমপেট বিমানবন্দরটিকে আন্তর্জাতিক মানের উন্নীত করে CARO পরিষেবা চালু করার উদ্যোগ বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন সেকেন্দ্রাবাদের সাংসদ। তাই তেলেঙ্গনাবাসীর পক্ষ থেকে তিনি নরেন্দ্র মোদী সরকারকে বিশেষ ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।