Opposition Unity: তৃণমূল ও সপা-কে রাজি করানোই কঠিন! নীতীশকে সামনে রেখে জোটের কলকাঠি অন্য় কারোর হাতে?
Nitish Kumar Visit:বিজেপি বিরোধী জোটে তৃণমূল কংগ্রেস ও সমাজবাদী পার্টিকে সামিল করানোর দায়িত্ব নীতীশ কুমারকে দিয়েছে কংগ্রেসই। গত সপ্তাহে কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে ও রাহুল গান্ধীর সঙ্গে বৈঠকেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
পটনা: বিজেপির সঙ্গে জোট ভেঙে মহা গঠবন্ধন জোটে বিহারে নতুন সরকার গঠন করেছেন নীতীশ কুমার। এবার তাঁর লক্ষ্য ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে হারানো। আর সেই লক্ষ্যেই বিজেপি বিরোধী দলগুলিকে একজোট করতে ময়দানে নেমেছেন বিহারের মুখ্য়মন্ত্রী। কয়েক মাস আগেই জানিয়েছিলেন, বিরোধী দলগুলিকে এক ছাতার নীচে আনার দায়িত্ব নেবেন তিনি। এবার সেই কাজ শুরু করলেন নীতীশ কুমার (Nitish Kumar)। আজ, সোমবারই কলকাতায় আসছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী। দেখা করবেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সঙ্গে। সূত্রের খবর, লোকসভা নির্বাচনকে মাথায় রেখে বিরোধী জোট তৈরি নিয়েই তৃণমূল সুপ্রিমোর সঙ্গে কথা বলবেন নীতীশ কুমার। হঠাৎ পশ্চিমবঙ্গ সফরে নিয়ে নীতীশ কুমারকে প্রশ্ন করা হলে তিনি সাফ বলেন, “এখন কেন এইধরনের প্রশ্ন করছেন? যখন সবকিছু চূড়ান্ত হয়ে যাবে, তখনই এই বিষয়ে কথা বলা হবে”। নীতীশের এই মন্তব্যেই ফের একবার বিজেপি-বিরোধী জোটের তত্ত্ব সামনে উঠে এল।
সোমবার সকালে কলকাতায় আসছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। তাঁর সঙ্গে আসছেন বিহারের উপমুখ্য়মন্ত্রী তথা আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদবও। দুপুরে মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁদের বৈঠক হওয়ার কথা। রাজ্য সফর সেরেই কলকাতা থেকে সরাসরি উত্তর প্রদেশে যাবেন নীতীশ-তেজস্বী। সেখানে তাঁরা দেখা করবেন সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদবের সঙ্গে। সূত্রের খবর, বিরোধীদের এককাট্টা করার ক্ষেত্রে এই দুই নেতৃত্বকেই সবথেকে চ্যালেঞ্জিং বলে মনে করছেন নীতীশ কুমার। বিহারে নীতীশ কুমারের দলের জোটসঙ্গী কংগ্রেসের সঙ্গে এই দুই দলের বনিবনা না হওয়াই বিরোধী জোটে অন্যতং প্রতিবন্ধকতা হয়ে দাঁড়াচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।
বিরোধী জোট ও তাঁর ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে রবিবার নীতীশ কুমার বলেন, “এখন এই ধরনের প্রশ্ন কেন করছেন? যখন আমাদের তরফে সবকিছু করা হয়ে যাবে, তখন আমরা এই বিষয় নিয়ে কথা বলব।”
জেডিইউ সূত্রে জানা গিয়েছে, বিজেপি বিরোধী জোটে তৃণমূল কংগ্রেস ও সমাজবাদী পার্টিকে সামিল করানোর দায়িত্ব নীতীশ কুমারকে দিয়েছে কংগ্রেসই। গত সপ্তাহে কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে ও রাহুল গান্ধীর সঙ্গে বৈঠকেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। কংগ্রেস আপাতত বন্ধু দলগুলির সঙ্গেই জোট নিয়ে কথা বলবে বলে জানা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদব আগেই জানিয়েছিলেন যে জোটে কংগ্রেস থাকবে, সেই জোটে সামিল হতে তিনি আগ্রহী নন। বিজেপি ও কংগ্রেস বিরোধী সমমনস্ক বেশ কয়েকটি দলের প্রধান, যেমন তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও এবং সম্প্রতি রাজ্যের মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও দেখা করেছিলেন।
অন্যদিকে, তৃণমূল কংগ্রেসের তরফেও কংগ্রেসের সঙ্গে দূরত্বই বজায় রাখা হয়েছে। রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজ ইস্যুতে কংগ্রেসের পাশে দাঁড়ালেও, বাজেট অধিবেশন চলাকালীন বাকি সমস্ত ইস্যুতে সংসদে কংগ্রেসের সঙ্গে দূরত্বই বজায় রেখেছে তৃণমূল। একই ইস্যুতে আলাদাভাবে বিক্ষোভ দেখিয়েছে দুই বিরোধী দল। এবার নীতীশ কুমারের সৌজন্যে তৃণমূল কংগ্রেস ও সমাজবাদী পার্টিকে বিরোধী জোটে রাজি করানো যায় কি না, তাই-ই এখন দেখার।