‘দুমুখো’ বিরোধীরা, কৃষি বিক্ষোভ নিয়ে তোপ রবির, নিশানায় কৃষকরাও
প্রাক্তন কৃষিমন্ত্রীকে আক্রমণ করে রবি শঙ্কর প্রসাদ বলেন,"যখন শরদ পাওয়ার বলেছিলেন যে উন্নতি না হলে আর্থিক সাহায্য দেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হবে, তখন এসপি, টিডিপি ও বাম দলগুলি মনমোহন সিংয়ের সরকারকেই সমর্থন করেছিল। এটাই আপনাদের দুমুখী চরিত্র। যে কোনও সীমায় যেতে পারেন আপনারা।"
নয়া দিল্লি: নয়া কৃষি আইন নিয়ে একের পর এক বিরোধী দলের সমালোচনা। আর চুপ থাকতে না পেরে মুখ খুললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবি শঙ্কর প্রসাদ (Ravi Shankar Prasad)। কৃষক আন্দোলনে (Farmers Protest) বিরোধী দলগুলির গা ভাসানোর অভিযোগ এনে তিনি বলেন, “কৃষি ক্ষেত্রে এনডিএ(NDA) সরকার যা করেছে, তা ক্ষমতায় থাকাকালীন বিরোধীদলগুলির কর্মসূচিতে ছিল।”
মূলত কংগ্রেস (Congress)-র দিকে নিশানা করে তিনি বলেন,”ক্ষমতায় থাকাকালীন বেসরকারিকরণের সপক্ষেই ছিল কংগ্রেস।” বিজেপি নেতার আক্রমণের তির থেকে বাঁচেননি কংগ্রেস প্রধান শরদ পাওয়ার (Sharad Power)-ও, যিনি ইউপিএ সরকার (UPA Government) ক্ষমতায় থাকাকালীন কৃষিমন্ত্রী ছিলেন।
রবি শঙ্কর প্রসাদ জানান, এপিএমসি (APMC) আইন প্রত্যাহার কংগ্রেসের ২০১৯-র কর্মসূচির অঙ্গ ছিল। বহু রাজ্যে চুক্তিভিত্তিক কৃষিকাজও মনমোহন সিংয়ের সময়কালেই শুরু হয়েছিল। তিনি বলেন,”শেখর গুপ্তার সঙ্গে একটি সাক্ষ্যাৎকারে শরদ পাওয়ার বলেছিলেন এপিএমসি আইনের মেয়াদ আগামী ছয় মাসের মধ্যেই শেষ হবে। প্ল্যানিং কমিশনের সুপারিশও ইউপিএ সরকার থাকাকালীনই এসেছিল, যেখানে বলা ছিল কেন্দ্রীয় সরকার আন্তঃরাজ্য কৃষি বাণিজ্য আইন কার্যকর করতে পারে।”
আরও পড়ুন: শান্তিপূর্ণভাবেই হবে ভারত বনধ, জানাল কৃষক সংগঠন
প্রাক্তন কৃষিমন্ত্রীকে আক্রমণ করে রবি শঙ্কর প্রসাদ বলেন,”যখন শরদ পাওয়ার বলেছিলেন যে উন্নতি না হলে আর্থিক সাহায্য দেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হবে, তখন এসপি, টিডিপি ও বাম দলগুলি মনমোহন সিংয়ের সরকারকেই সমর্থন করেছিল। এটাই আপনাদের দুমুখী চরিত্র। যে কোনও সীমায় যেতে পারেন আপনারা।”
তবে কেবল বিরোধী দলই নয়, কৃষকদেরও সমালোচনা করতে ছাড়েনি কেন্দ্রের শাসক দল। বিজেপির জেনারেল সেক্রেটারি বি এল সন্তোষ (B L Santosh) পঞ্জাবের একটি ইংরেজি সংবাদপত্রের একটি অংশ টুইট করেন। ওই প্রতিবেদনের শিরোনাম ছিল “কর্পোরেটদের গম কেনার অনুমতি দিন: কৃষক”। টুইটে তিনি লেখেন, “এটা ২০০৮ সালের ঘটনা। পঞ্জাব এবং হরিয়ানার কৃষকরা কৃষি বাণিজ্যে কর্পোরেটদের প্রবেশের দাবি জানিয়েছিল। একই ইউনিয়নের প্রতারণা দেখুন শুধু।”
মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ (Devandra Fadnavis)-ও বনধের সমর্থনকারী দলগুলিকে ‘ভণ্ড’-র তকমা দেন। তিনি বলেন,”মহারাষ্ট্র আগেই একটি আইন পাশ করেছে। বর্তমানে বেসরকারি এপিএমসি রয়েছে। আমি অবাক হয়ে যাচ্ছি যে আমাদের সময়ে মহারাষ্ট্র কী করছিল? এখন কেন্দ্র এপিএমসি তুলে দিলে কী দোষ? ২০১৩ সালের ২৭ ডিসেম্বর রাহুল গান্ধী বলেছিলেন এপিএমসি আইন থেকে ফল ও সবজিকে বাদ দেওয়া হবে। এখন কেন্দ্র সেটাই করলে সমস্যা কোথায়?”
আরও পড়ুন: করোনা আবহে রহস্যজনক রোগ ছাড়াচ্ছে দেশে, আক্রান্ত প্রায় ৪০০, মিলেছে মৃত্যুর খবর