Manipur Books: চার বিষয়ে বই প্রকাশে লাগবে সরকারের অনুমতি, বিজেপি শাসিত রাজ্যের নির্দেশে বিতর্ক
সরকারি এই নির্দেশ ঘিরে বিক্ষুব্ধ মণিপুরের শিক্ষাবিদদের একাংশ। তাদের মতে এতে শিক্ষাক্ষেত্রের স্বাধিকার ভঙ্গ করা হবে এবং সরকারের সমালোচনা করা যাবে না।
ইম্ফল: ইতিহাস, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য এবং ভূগোল সহ যাবতীয় বই প্রকাশের ক্ষেত্রে কড়া বিধিনিষেধ জারি করেছে মণিপুরের সরকার। এখন থেকে এ সংক্রান্ত কোনও বই প্রকাশ করতে হলে সরকার অনুমোদিন প্যানেল থেকে অনুমোদন নিতে হবে। এই নিয়ে সেরাজ্যের বিজেপি সরকার নির্দেশ জারি করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং কলেজে কর্মরত এবং অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপকদের নিয়ে ১৫ সদস্যের এই প্যানেল তৈরি হয়েছে। এই প্যানেলের মাথায় রয়েছেন মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী থাউনাওজম বসন্ত। ১৫ সেপ্টেম্বর এই নির্দেশ জারি করেছেন উচ্চশিক্ষা এবং কারিগরি শিক্ষা দফতরের যুগ্ম সচিব দিবেদিতা লায়েনলাকপাম।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিরেক্টর এবং উচ্চ শিক্ষা দফতরের সচিব এই প্যানেলের সদস্যের পাশাপাশি সচিব পদের দায়িত্বও পালন করবেন। সরকারি নির্দেশে বলা হয়েছে, “সরকারের নজরে এসেছে উল্লেখিত বিষয়গুলির বইতে এমন কিছু তথ্য প্রকাশিত হচ্ছে যাতে সত্যের বিকৃতি করা হয়েছে অথবা রাজ্যের বিরাজমান শান্তি-শৃঙ্খলা বিঘ্নিত করার চেষ্টা হচ্ছে। সেই কারণে কোনও ব্যক্তি অথবা গোষ্ঠী ইতিহাস, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য এবং ভূগোলের মতো বিষয়ে বই ছাপার আগেই সরকারে অনুমতি নিতে হবে। বই ছাপানোর ক্ষেত্রে উচ্চশিক্ষা দফতরে আবেদন করতে হবে এবং পান্ডুলিপি জমা দিতে হবে। সরকারি প্যানেল অনুমতি দিলে তবে সেই বই ছাপা হবে।”
সরকারি এই নির্দেশ ঘিরে বিক্ষুব্ধ মণিপুরের শিক্ষাবিদদের একাংশ। তাদের মতে এতে শিক্ষাক্ষেত্রের স্বাধিকার ভঙ্গ করা হবে এবং সরকারের সমালোচনা করা যাবে না। সিআরপিএফে কর্মরত সুশীল কুমার শর্মা নামের এক ব্রিগেডিয়ারের লেখা ‘দ্য কমপ্লেসিটি কলড মণিপুর: রুটস, পারসেপশনস অ্যান্ড রিয়েলিটি’ শীর্ষক একটি গবেষনাপত্র নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছিল। সেখানে লেখা হয়েছিল ১৯৪৯ সালে ভারতে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার আগে এই রাজ্যের পরিমাপ ছিল ৭০০ বর্গ মাইল। এই দাবি নিয়ে মেইতি-অধ্যুষিত ইম্ফল উপত্যকায় একটি বিতর্ক তৈরি করেছিল কারণ অনেকেই মনে করেছিলেন, এতে মনে হচ্ছে নাগা, কুকি এবং জোমি উপজাতিদের দ্বারা অধ্যুষিত পার্শ্ববর্তী পাহাড়গুলি মণিপুরের অংশ নয়।