Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

BSF: ‘ক্রস বর্ডার ক্রাইম’ রুখতে আরও কড়া হচ্ছে বিএসএফ, পালানোর পথ পাবে না ‘দুষ্টু’ বাংলাদেশিরা

BSF: সদ্য উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলায় বিএসএফের সঙ্গে সরাসরি ঝামেলায় জড়াতে দেখা গিয়েছে বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিজিবি-কে। প্রায়শই বহু বাংলাদেশি এপারে এসে বিএসএফ তো বটেই সীমান্তপাড়ের ভারতীয়দের সঙ্গে পা পা লাগিয়ে ঝামেলা বাঁধাতে দেখা যায়। তাই এবার কড়া হাতে দমন করতে চাইছে বিএসএফ।

BSF: ‘ক্রস বর্ডার ক্রাইম’ রুখতে আরও কড়া হচ্ছে বিএসএফ, পালানোর পথ পাবে না ‘দুষ্টু’ বাংলাদেশিরা
পুলিশের ফোন গেল BSF -এর কাছেImage Credit source: Getty Images
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 19, 2025 | 9:01 AM

প্রসেনজিৎ চৌধুরী ও নীলেশ্বর সান্যালের রিপোর্ট

জলপাইগুড়ি: চিন্তা দূর হচ্ছে না কিছুতেই। তবে দেশ বাঁচাতে কোনও আপস করা যাবে না। প্রয়োজনে গুলি চালাতে হবে। উপরমহল থেকে ইতিমধ্যেই বড় নির্দেশ এসে গিয়েছে BSF-র কাছে। বিগত কয়েক মাসে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক কার্যত তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। নতুন করে চিন্তা বাড়িয়েছে অনুপ্রবেশ কাঁটা। এমতাবস্থায়, সবথেকে বেশি চিন্তা রয়েছে উত্তরবঙ্গের দীর্ঘ সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিকে নিয়ে। ইতিমধ্যেই উত্তরবঙ্গে চিকেন নেক হিসেবে চিহ্নিত এলাকায় বাংলাদেশ সীমান্তে অস্থিততার আশঙ্কায় ইতিমধ্যেই আরও আটোসাঁটো হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। মালদা-সহ কিছু এলাকায় ক্রমাগত উস্কানির জেরে উন্মুক্ত সীমান্ত এলাকায় বিশেষ নজর দিচ্ছে বিএসএফ।

সদ্য উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলায় বিএসএফের সঙ্গে সরাসরি ঝামেলায় জড়াতে দেখা গিয়েছে বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিজিবি-কে। প্রায়শই বহু বাংলাদেশি এপারে এসে বিএসএফ তো বটেই সীমান্তপাড়ের ভারতীয়দের সঙ্গে পা পা লাগিয়ে ঝামেলা বাঁধাতে দেখা যায়। এমতাবস্থায়, কঠোর হাতেই সীমান্তে অশান্তি দমাতে চাইছে বিএসএফ। ফাঁসিদেওয়া এলাকায় বারবার উন্মুক্ত এলাকায় কাটাতার বসানো হলেও বাধা আসছে বাংলাদেশের তরফে। ওই এলাকা ছাড়াও ফুলবাড়ি এলাকা নিয়েও চিন্তায় রয়েছে বিএসএফ। শীতের সময়ে কুয়াশার সুযোগ নিয়ে যে কোন অস্থিরতা রুখতে রয়েছে সজাগ দৃষ্টি।

জলপাইগুড়ি জেলায় রাজগঞ্জ ও সদর ব্লক মিলিয়ে প্রায় ৮৭  কিলোমিটার সীমান্ত এলাকা রয়েছে। যার মধ্যে জলপাইগুড়ি সদর ব্লকে থাকা ৪৮ কিলোমিটার এলাকার মধ্যে প্রায় ১৮ কিলোমিটার এলাকা রয়েছে অরক্ষিত। এর মধ্যে নদীও রয়েছে। গত ডিসেম্বর মাসে পাচারকারী ও BSF এর মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এক বাংলাদেশি পাচারকারীকে গুলি করে মারে BSF। সম্প্রতি বেআইনি অনুপ্রবেশের অভিযোগে ৭ বাংলাদেশি গ্রেফতারও হয়। অভিযোগ, এই অরক্ষিত এলাকা গুলিকে কাজে লাগিয়ে চলে অনুপ্রবেশ, গরু পাচার, মাদক পাচার-সহ বিভিন্ন ধরনের ক্রস বর্ডার ক্রাইম চলে। তাই এখন দমন করতে চাইছে বিএসএফ।