Mahua Moitra: হিরানন্দানির ঘুষের টাকায় লাক্সারি ব্রান্ডের ব্যাগ কিনেছিলেন মহুয়া? CBI রিপোর্টে ‘মারাত্মক’ সব অভিযোগ
CBI on Cash For Query Case: মঙ্গলবারই লোকপালের তরফে তৃণমূল নেত্রী মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। লোকপালের রিপোর্টে বলা হয়েছে, মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে এবং তার স্বপক্ষে যে প্রমাণ মিলেছে, তার ভিত্তিতে আরও গভীরে তদন্ত হওয়া উচিত।
নয়া দিল্লি: ভোটের মুখে অস্বস্তি বাড়ল মহুয়া মৈত্রের (Mahua Moitra)। মাস ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) টিকিটে এবারও কৃষ্ণনগর থেকে প্রার্থী হয়েছেন বহিষ্কৃত সাংসদ মহুয়া মৈত্র। বহিষ্কৃত কারণ ঘুষ নিয়ে সংসদে প্রশ্ন করার মারাত্মক অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। ভোটের মুখেই এবার সেই আরও বাড়ল। লোকপালের নির্দেশে ঘুষকাণ্ডের তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। গতকালই সিবিআই (CBI) প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দেয়। তাতে মহুয়ার বিরুদ্ধে ভয়ঙ্কর অভিযোগ উঠে এসেছে। সূত্রের খবর, শীঘ্রই মহুয়ার বিরুদ্ধে এফআইআর(FIR)-ও দায়ের করতে পারে সিবিআই।
সিবিআইয়ের প্রাথমিক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, বিনা অনুমতিতে মহুয়া মৈত্র তাঁর সংসদীয় লগ ইন ক্রেডেন্সিয়াল দুবাইয়ের ব্যবসায়ী দর্শন হিরানন্দানিকে দিয়েছিলেন। এর বিনিময়ে তিনি ব্যবসায়ীর কাছ থেকে নানা ধরনের সুবিধা দাবি ও গ্রহণ করেছেন। এর মধ্যে বিমানের টিকিট যেমন রয়েছে, তেমনই লাক্সারি ব্রান্ডের দামি দামি জিনিসও রয়েছে। লুটয়েন্স জ়োনে মহুয়া মৈত্রের বাংলো সংস্কারেও টাকা ঢেলেছিলেন দর্শন হিরানন্দানি, এমনটাই দাবি করা হয়েছে সিবিআই রিপোর্টে।
মঙ্গলবারই লোকপালের তরফে তৃণমূল নেত্রী মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। লোকপালের রিপোর্টে বলা হয়েছে, মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে এবং তার স্বপক্ষে যে প্রমাণ মিলেছে, তার ভিত্তিতে আরও গভীরে তদন্ত হওয়া উচিত। সিবিআই-কে এই অভিযোগের তদন্তভার দেওয়া হয় এবং আগামী ছয় মাসের মধ্যে তদন্তের রিপোর্ট জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। এছাড়া প্রতি মাসে তদন্তের অগ্রগতির রিপোর্টও জমা করতে বলা হয়েছে।
সূত্রের খবর, শীঘ্রই মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করতে পারে সিবিআই। ব্য়বসায়ী দর্শন হিরানন্দানি লোকসভার এথিক্স কমিটির কাছে যে লিখিত বয়ান পাঠিয়েছিলেন, তাতে স্বীকার করে নিয়েছিলেন যে মহুয়া মৈত্র তাঁকে সংসদীয় ইমেইল আইডির লগ ইন ক্রেডেন্সিয়াল দিয়েছিলেন। এই বয়ানের ভিত্তিতেই সিবিআই এফআইআর দায়ের করতে পারে।