ডিএলএফ মামলায় লালুকে ক্লিনচিট সিবিআইয়ের: সূত্র

সিবিআইর আর্থিক দফতর জানিয়েছে, ২০১৮ সালে ডিএলএফ গ্রুপ মামলার তদন্ত শুরু হয়েছিল ২০১৮ সালে।

ডিএলএফ মামলায় লালুকে ক্লিনচিট সিবিআইয়ের: সূত্র
ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Updated on: May 22, 2021 | 11:10 AM

নয়া দিল্লি: ডিএলএফ ঘুষ মামলায় প্রাক্তন রেলমন্ত্রী তথা আরজেডি প্রধান লালু প্রসাদ যাদবকে ক্লিনচিট দিয়েছে সিবিআই (CBI)। এমনটাই জানা গিয়েছে সূত্র মারফত। জানা গিয়েছে, জামিনে মুক্ত লালু প্রসাদকে ডিএলএফ গ্রুপ মামলায় ক্লিনচিট দিয়েছে সিবিআই। পশুখাদ্য মামলায় ৩ বছরের বেশি জেল খেটেছেন লালু। গত এপ্রিল মাসেই জামিনে ছাড়া পেয়েছেন তিনি।

সিবিআইর আর্থিক দফতর জানিয়েছে, ২০১৮ সালে ডিএলএফ গ্রুপ মামলার তদন্ত শুরু হয়েছিল ২০১৮ সালে। তদন্তে অভিযোগস উঠে এসেছিল, নয়া দিল্লি রেল স্টেশনের উন্নতির জন্য ডিএলএফ গ্রুপ বরাদ পাওয়ার জন্য় প্রাক্তন রেলমন্ত্রী লালু প্রসাদ যাদবকে ঘুষ দিয়েছিলেন। ২০০৭ সালে দক্ষিণ দিল্লিতে ৫ কোটি টাকা দিয়ে নিউ ফ্রেন্ড কলোনিতে একটি সম্পত্তি কিনেছিল এবি এক্সপোর্টস প্রাইভেট লিমিটেড। যার জন্য টাকা দিয়েছিল ডিএলএফ। কিন্তু সেই সম্পত্তির আসল দাম ছিল ৩০ কোটি টাকা। এরপর ওই সম্পত্তি ২০১১ সালে লালু যাদবের ছেলে তেজস্বী যাদব ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা স্রেফ ৪ লক্ষ টাকা শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে কিনে নেন।

সূত্রের খবর, সিবিআই তদন্ত শেষ করে লালুর বিরুদ্ধে সে ধরনের কোনও অভিযোগ আনেনি। তবে সিবিআই ক্লিনচিট দিলেও এই মামলায় পৃথক তদন্ত করছে আয়কর বিভাগ। পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি-সহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে লালুর বিরুদ্ধে। দুমকা ট্রেজারি মামলায় ৩ বছর জেল খেটেছেন তিনি। এরপর এপ্রিলের জামিনে ছাড়া পান।

কী এই দুমকা ট্রেজারি মামলা?

১৯৯১ সাল থেকে ১৯৯৬ সালে মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন বিহারের পশুপালন দফতরের মাধ্যমে ঝাড়খণ্ডের দুমকা ট্রেজারি থেকে ৩.১৩ কোটি টাকা গায়েব করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে লালু প্রসাদ যাদবের বিরুদ্ধে। ২০১৭ সাল থেকে জেলে থাকলেও শারীরিক অসুস্থতার কারণে তিনি জেলের অধিকাংশ সময়ই রাজেন্দ্র প্রসাদ ইন্সটিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্স হাসপাতালে কাটিয়েছেন।

আরও পড়ুন: কার্ফুর নিয়ম ভেঙে সবজি বিক্রির ‘অপরাধে’ থানায় নিয়ে গিয়ে নির্মম মার, কিশোরের মৃত্যুতে উত্তাল উন্নাও