‘বিজেপির হাত ধরুন, কেন্দ্রীয় সংস্থা হয়রানি করছে’, ঠাকরেকে চিঠি সেনা বিধায়কের
১০ জুন মুখ্য়মন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে প্রতাপ জানিয়েছেন, তাঁর এবং অনিল পরব, রবীন্দ্র ওয়াকারের মতো সেনা নেতাদের পিছনে কেন্দ্রীয় সংস্থা পড়ে রয়েছে।
মুম্বই: মহারাষ্ট্রের শাসক দল শিবসেনার উচিত বিজেপির (BJP) হাত ধরা। কারণ, কেন্দ্রীয় সংস্থা হয়রানি করে। এমনই অনুরোধ করে মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরেকে চিঠি লিখেছেন সেনা বিধায়ক প্রতাপ সরনায়েক। চিঠিতে তিনি অনেক দেরি হয়ে যাওয়ার আগে ফের জোটে ফিরে যাওয়ার অনুরোধ করেছেন। মুম্বই ও থানেরে পুরসভা নির্বাচনের আগেই জোটে ফিরে যাওয়ার আর্জি তাঁর।
১০ জুন মুখ্য়মন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে প্রতাপ জানিয়েছেন, তাঁর এবং অনিল পরব, রবীন্দ্র ওয়াকারের মতো সেনা নেতাদের পিছনে কেন্দ্রীয় সংস্থা পড়ে রয়েছে। পরিবারকেও হয়রানি করছে। তাই দ্রুত প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে শিব সৈনিকদের আশ্বাস দেওয়া উচিত বলে মত তাঁর। উল্লেখ্য, গত বছরই প্রতাপ সরনায়েক ও তাঁর ছেলে বিহং সরনায়েককে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল ইডি।
প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করেছেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। সেখান থেকেই আলোচনায় এসেছে জোটের জল্পনা। যদিও এ বিষয়ে মহারাষ্ট্রের শাসক দল সাফ জানিয়েছিল, বিজেপির সঙ্গে দূরত্ব বাড়লেও মোদীর সঙ্গে সম্পর্ক ঠিক আছে। এই আবহেই বিজেপিকে তোপ দেগেছেন শিবসেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউত। তাঁর দাবি, ২০১৪ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত শিবসেনাকে ‘ক্রীতদাস’ বানিয়ে রেখেছিল বিজেপি।
জলগাঁওর একটি সমাবেশে সঞ্জয় রাউত বলেছিলেন, “আগের সরকারে শিবসেনাকে ক্রীতদাস বানিয়ে রেখেছিল বিজেপি। গৌণ ভূমিকা দেওয়া হয়েছিল। আমাদের সমর্থনে বিজেপি যে ক্ষমতা পেয়েছিল, তা ব্যবহার করেই দলটাকে শেষ করে দিতে চেয়েছিল তারা।” ২০১৯ সালের নির্বাচনে বিজেপি জোট ছেড়ে জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস ও কংগ্রেসের হাত ধরে মহা বিকাশ অঘাদি জোটে লড়েছিল শিবসেনা। মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন উদ্ধব ঠাকরে। অন্যদিকে আগামী বছর মুম্বইয়ের পুরসভার নির্বাচনে শাসক জোটের প্রধান শিবসেনা ও এনসিপি কংগ্রেসের সঙ্গে লড়বে কিনা, তা নিয়েও দেখা দিয়েছে সংশয়।
কংগ্রেস নেতা নানা পাটোলের মন্তব্য থেকেই সূত্রপাত এই বিতর্কের। গত সোমবার তিনি বলেছিলেন, “মহারাষ্ট্রে বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস একাই লড়বে। যদি শীর্ষ নেতৃত্ব চায়, তবে আমার মুখ্যমন্ত্রী হতে কোনও সমস্যা নেই।” তাঁর অভিযোগ ছিল, ২০১৯ সালের বিধানসভা নির্বাচনে শিবসেনা ও এনসিপির সঙ্গে জোটে লড়াই করলেও কংগ্রেসকে যথাযোগ্য ক্ষমতার ভাগ দেওয়া হয়নি।