PM Care Children Scheme: ২৩ বছর অবধি পর্যন্ত সরকারের, কোভিডে অনাথ হওয়া শিশুদের জন্য নয়া গাইডলাইন কেন্দ্রের

Coronavirus: অতিমারি শুরুর পর থেকে এখনও পর্যন্ত ভারতে এক লক্ষেরও বেশি শিশু বাবা অথবা মা কিংবা যে কোনও একজনকে হারিয়েছেন।

PM Care Children Scheme: ২৩ বছর অবধি পর্যন্ত সরকারের, কোভিডে অনাথ হওয়া শিশুদের জন্য নয়া গাইডলাইন কেন্দ্রের
শিশুদের নিয়ে বিজ্ঞাপণে প্রশ্নের মুখে দিল্লি সরকার (ফাইল ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 07, 2021 | 5:36 PM

নয়া দিল্লি: ভারতে করোনা অতিমারী (Pandamic) থাবা বসানোর পর থেকে প্রাণ হারিয়েছেন বহু মানুষ। বাবা-মাকে হারিয়ে অনাথ হয়েছে বহু সন্তান। এমনই অভিভাবকহীন সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিয়ে দোলাচল তৈরি হয়েছে। সেই সব শিশুদের জন্য আগেও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে কেন্দ্র। এবার সেইসব শিশুদের জন্য আনা হলো নয়া স্কিম। পিএম কেয়ারের (PM Care) টাকা থেকে সাহায্য করা হবে তাদের।

২৩ বছর বয়স না হওয়া পর্যন্ত আর্থিক সাহায্য করবে কেন্দ্র। বাবা-মা হারিয়েছেন এমন সন্তান যাদের বয়স ১৮ বছরের কম, তারা এই স্কিমের জন্য আবেদন করতে পারবে। শুধু আর্থিক সাহায্য নয় তাদের স্কুলে পড়ানোর ব্যবস্থা কিংবা তাদের দায়িত্ব নেওয়ার বন্দোবস্তও করা হবে কেন্দ্রের তত্ত্বাবধানে। এই স্কিমের আওতায় থাকা শিশুর বয়স যখন ১৮ বছরের বেশি হবে, তখল তাকে মাসে মাসে একটা নির্দিষ্ট টাকা দেওয়া হবে। আর ২৩ বছর বয়স হয়ে গেলে সে পাবে ১০ লক্ষ টাকা।

কারা পাবে এই সুবিধা?

যারা করোনার কারণে বাবা-মা দু’জনকেই হারিয়েছে, অথবা যে কোনও একজনকে হারিয়েছে তারা এই স্কিমের সুবিধা। নিজের বাবা-মা না থাকলে শিশুর অন্য কোনও আইনি অভিভাবকের মৃত্যু হয়ে থাকলেও তাদের ক্ষেত্রে মিলবে সাহায্য। দত্তক নেওয়ার সন্তানেরাও পাবে এই স্কিমের সুবিধা।

২০২০-র ১১ মার্চ কোভিড ১৯-কে অতিমারী হিসেবে ঘোষণা করেছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। ওই দিন থেকে শুরু করে চলতি বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত কারও সঙ্গে যদি এই ধরনের দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটে থাকে, তাহলে তারা এই স্কিমের আওতায় পড়বে। এই স্কিমের সুবিধা পাওয়ার ক্ষেত্রে মায়ের মৃত্যুকালে সন্তানের বয়স হতে হবে ১৮ বছরের কম।

শিশুর দায়িত্বের বন্দোবস্ত

শুধুমাত্র আর্থিক সাহায্য নয়, সন্তানের দায়িত্ব যাতে কেউ না কেউ পালন করে সেই বন্দোবস্তও করবে কেন্দ্র। চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির মাধ্যমে জেলাশাসক দেখবেন যে ওই শিশুর কোনও আত্মীয় তার দায়িত্ব নিতে পারবে কিনা। যদি তার দায়িত্ব কোনও আত্মীয় নিতে রাজি না হয়, অথবা তার এমন কোনও আত্মীয় না থেকে থাকে অথবা ওই শিশু যদি সেই আত্মীয়দের সঙ্গে থাকতে রাজি না হয় তাহলে, জুভেনাইল জাস্টিস অ্যাক্ট অনুযায়ী ফস্টার পেরেন্ট হিসেবে তার দায়িত্ব দেওয়া হবে অন্য কাউকে। ৪ থেকে ১০ বছর বয়সী ওই শিশুকে পিএম কেয়ারের আওতায় এনে সাহায্য করা হবে।

শিশুর বয়স যদি ১০ বছরের বেশি হয় এবং তার দায়িত্ব নেওয়ার মত কাউকে না পাওয়া যায় তাহলে আবাসিক স্কুলে তাদের রাখার ব্যবস্থা করা হবে। তাদের জন্য নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোস বিদ্যালয়, কস্তুরবা গান্ধী বালিকা বিদ্যালয়, একলব্য মডেল স্কুল, সৈনিক স্কুল, নবোদয় বিদ্যালয়ের মতো স্কুল গুলি কে চিহ্নিত করা হয়েছে। সেই সঙ্গে এটাও নিশ্চিত করা হবে যে ভাই-বোন থাকলে তারা যেন এক সঙ্গেই থাকে।

বয়স ৬-এর কম হলে

যদি অভিভাবকহীন শিশুর বয়স ৬ বছরের কম হয় তাহলে অঙ্গনওয়াড়ির মাধ্যমে তাদের সব রকমের সাহায্য করা হবে। তাদের পড়াশোনার ব্যবস্থা করা হবে, খাদ্যের যোগান দেওয়া হবে, ভ্যাকসিন দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে ও নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার ব্যবস্থাও করা হবে।

৬ বছরের কম বয়সী শিশু তার বাড়ির কাছের যে কোন স্কুলে ভর্তি হতে পারবে। সরকারি স্কুলে ভর্তি হলে বই-খাতা কিংবা ইউনিফর্ম সে বিনামূল্যেই পাবে, আর বেসরকারি স্কুলের আর টি এ আইন অনুযায়ী তাদের ফি মকুব করা হবে। একই সঙ্গে তাদের বই খাতা ও ইউনিফর্মের খরচ দেওয়া হবে।