সংসদে উঠল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম, বাংলার আরও এক প্রতিষ্ঠানের কথা বললেন ধর্মেন্দ্র প্রধান

Education in India: উত্তর দিতে গিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এদিন এমন কিছু উদাহরণ তুলে ধরেছেন, যাঁরা সব ভারতীয় প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করে বিশ্বে স্বীকৃতি পেয়েছেন। তিনি উল্লেখ করেন, মাইক্রোসফটের সিইও সত্য নাদেলা, গুগলের সিইও সুন্দর পিচাই, অ্যাডোব-এর সিইও শান্তনু নারায়ণ, আইবিএম কর্তা অরবিন্দ কৃষ্ণের কথা।

সংসদে উঠল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম, বাংলার আরও এক প্রতিষ্ঠানের কথা বললেন ধর্মেন্দ্র প্রধান
যাদবপুরের কথা বললেন মন্ত্রীImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Updated on: Jul 29, 2024 | 7:29 PM

নয়া দিল্লি: সাম্প্রতিককালে বিভিন্ন সময়ে শিরোনামে এসেছে কলকাতার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। এবার বাংলার সেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম উঠে এল সংসদের আলোচনায়। সোমবার প্রশ্নোত্তর পর্ব চলছিল লোকসভায়। সেখানে ভারতের শিক্ষার পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন দমদমের সাংসদ সৌগত রায়। তাঁর প্রশ্নের জবাব দিতে ওঠেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। তাঁর মুখেই শোনা যায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। বাংলার আরও এক প্রতিষ্ঠানের কথাও এদিন বলেন শিক্ষামন্ত্রী।

সৌগত রায়ের মূল প্রশ্ন ছিল, ভারত থেকে ব্রেন ড্রেন হয়ে যাচ্ছে। অর্থাৎ ভারতীয় মেধা চলে যাচ্ছে বিদেশে। পরিসংখ্যান তুলে ধরে সৌগত রায় এদিন বলেন, “২০১৬ সালে বিদেশে পড়তে যাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৩ লক্ষ ৬৯ হাজার আর ২০২৩ -এ সেই সংখ্যা বেড়ে হয় ৮ লক্ষ ৯৪ হাজার।” তাঁর দাবি, ভারতে উচ্চশিক্ষার মান ভাল নয়। সরকার যদি সে দিকে নজর না দেয়, তাহলে আরও বেশি ছেলেমেয়েরা বিদেশে চলে যাবে।

নতুন শিক্ষানীতিতে এই বিষয়ে কী করা হয়েছে। সে কথা সৌগত রায় জানতে চান শিক্ষামন্ত্রীর কাছে। তিনি বলেন, “বিশ্বের প্রথম ১০০-তে ভারতের একটিও প্রতিষ্ঠানের জায়গা নেই। সরকার এ বিষয়ে কী ভাবছে?”

জবাব দিতে উঠে শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান বলেন, “রাজনৈতিক উদ্দেশে ভারতীয় মেধা সম্পর্কে মন্তব্য করা উচিত নয়। উচ্চমানের প্রতিষ্ঠানের অভাব আমাদের দেশে নেই।” আছে আইআইটি, আছে আইআইএম। এরপরই সৌগত রায়ের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, “আপনার নিজের রাজ্যেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় আছে, খড়গপুর আইআইটি আছে। সেখানকার শিক্ষাকে অবমাননা করতে পারেন না।”

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এই প্রসঙ্গে এমন কিছু উদাহরণ তুলে ধরেছেন, যাঁরা সব ভারতীয় প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করে বিশ্বে স্বীকৃতি পেয়েছেন। তিনি উল্লেখ করেন, মাইক্রোসফটের সিইও সত্য নাদেলা, গুগলের সিইও সুন্দর পিচাই, অ্যাডোব-এর সিইও শান্তনু নারায়ণ, আইবিএম কর্তা অরবিন্দ কৃষ্ণের কথা। মন্ত্রী জানান, এরা সবাই ভারতে পড়াশোনা করেছেন। সমালোচনা না করে সবাই মিলে শিক্ষাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়া প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী।