Govt on Fake News: কেন আটকানো হচ্ছে না ভুয়ো খবর? গুগল-ফেসবুক-টুইটারের সঙ্গে ‘ঝগড়া’ কেন্দ্রের

Govt on Fake News: কেন্দ্রের তরফে দাবি, অপব্যবহার রুখতে সরকার প্রযুক্তিগত সংস্থাগুলির নিয়ম আরও কঠোর করার চেষ্টা করছে। সেই কাজে আরও সংস্থা যাতে কোনও তথ্য বা বিষয়বস্তু তুলে ধরার আগে ঝাড়াই-বাছাই করে, তবে তা আরও ভাল হয়।

Govt on Fake News: কেন আটকানো হচ্ছে না ভুয়ো খবর? গুগল-ফেসবুক-টুইটারের সঙ্গে 'ঝগড়া' কেন্দ্রের
আরও কঠোর আইন আনবে কেন্দ্র? প্রতীকী চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 03, 2022 | 9:05 AM

নয়া দিল্লি: সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়ো খবর (Fake News) ছড়ানো আটকাতে এবার আরও তৎপর হল কেন্দ্রীয় সরকার। দেশের অন্যতম তিনটি প্রযুক্তি সংস্থা গুগল(Google), টুইটার (Twitter) ও ফেসবুক(Facebook)-র সঙ্গে বৈঠক করেন ভারতীয় আধিকারিকরা। বৈঠকে শেয়ারচ্যাট ও কু অ্যাপের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়া থেকে দ্রুত ও তৎপরতার সঙ্গে ভুয়ো খবর না সরানোকে কেন্দ্র করে এই তিন সংস্থার সঙ্গেই উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয় কেন্দ্রের প্রতিনিধিদের।

সংবাদসংস্থা রয়টার্স সূত্রে জানা গিয়েছে,  তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের আধিকারিকরা টুইটার,ফেসবুক ও গুগলের কড়া সমালোচনা করেন। ভুয়ো খবর ছড়ানো থেকে আটকাতে এই সংস্থাগুলি বিশেষ কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় ভারত সরকারকেই বাধ্য হয়ে বিভিন্ন বিষয়বস্তু সোশ্যাল মিডিয়া থেকে সরাতে হচ্ছে, যারফলে আন্তর্জাতিক মহলে সরকারকে সমালোচনার মুখোমুখি হতে হচ্ছে বাক স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করার অভিযোগে।

অপর এক সূত্রে খবর, সোমবার এই তিন সংস্থার সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের আধিকারিকরা। সেখানে ভুয়ো খবর ছড়ানো নিয়ে কেন্দ্রের নয়া নির্দেশিকা অনুসরণ না করার জন্য় আমেরিকান প্রযুক্তি সংস্থাগুলির সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়ও হয়। তবে সংস্থাগুলিকে চূড়ান্ত কোনও নির্দেশ দেওয়া হয়নি বলেই জানা গিয়েছে।

কেন্দ্রের তরফে দাবি, অপব্যবহার রুখতে সরকার প্রযুক্তিগত সংস্থাগুলির নিয়ম আরও কঠোর করার চেষ্টা করছে। সেই কাজে আরও সংস্থা যাতে কোনও তথ্য বা বিষয়বস্তু তুলে ধরার আগে ঝাড়াই-বাছাই করে, তবে তা আরও ভাল হয়। সূত্রের খবর, গত ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাসে তথ্য সম্প্রচার মন্ত্রক তাদের “জরুরি ক্ষমতা” প্রয়োগ করে গুগলের ইউটিউব থেকে যে ৫৫টি চ্যানেল ব্লক করে দেয় এবং বেশ কিছু টুইটার ও ফেসবুক অ্যাকাউন্টও সরিয়ে দেয়, তার প্রেক্ষিতেই এই সপ্তাহে গুগল, টুইটার ও ফেসবুক সংস্থার সঙ্গে বৈঠকে বসে কেন্দ্রের প্রতিনিধিরা।

চ্যানেল ব্লক করার সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে কেন্দ্রের তরফে সেই সময় জানানো হয়েছিল, ওই ইউটিউব চ্যানেলগুলি দেশবিরোধী ও ভুয়ো খবর প্রচার করছিল। পাকিস্তানের অ্যাকাউন্ট থেকে এই ভুয়ো তথ্যগুলি প্রচার করা হচ্ছিল।

তবে এই বিষয়ে তথ্য সম্প্রচার মন্ত্রক বা মেটা (ফেসবুক), টুইটার ও শেয়ারচ্যাটের তরফে কোনও মন্তব্য করতে অস্বীকার করা হয়েছে। গুগলের তরফে একটি বিবৃতি জারি করে জানানো হয়েছে, কেন্দ্রের নির্দেশিকা অনুযায়ী সংস্থার তরফে সমস্ত বিষয়বস্তু বা কনটেন্টের পর্যালোচনা করা হয় এবং দেশের আইন অনুযায়ী বিভিন্ন বিষয় সরিয়েও ফেলা হয় প্ল্যাটফর্ম থেকে। কু সংস্থার তরফেও জানানো হয়েছে, তারা দেশের আইন অনুযায়ীই চলে এবং বিষয়বস্তু প্রকাশের ক্ষেত্রে তাদের কঠোর নীতি রয়েছে।

আরও পড়ুন: Anil Deshmukh Blames Shiv Sena: ‘বদলির তালিকা নিয়ে এসেছিলেন শিবসেনা নেতা’, ইডির কাছে বিস্ফোরক বয়ান অনিল দেশমুখের!