Centre’s Advisory on Influenza: H3N2 ভাইরাসের প্রকোপেই ঘরে ঘরে জ্বর-সর্দি-কাশি, সংক্রমণ রুখতে কী কী করবেন, জানাল কেন্দ্র

Influenza: চিকিৎসকেরাও জানিয়েছেন, যত সময় পার হচ্ছে, উপসর্গগুলি আরও শক্তিশালী হচ্ছে। অনেক সময়ই দেখা যাচ্ছে রোগী সুস্থ হয়ে যাওয়ার পরও দীর্ঘ সময় ধরে উপসর্গ থেকে যাচ্ছে। 

Centre's Advisory on Influenza: H3N2 ভাইরাসের প্রকোপেই ঘরে ঘরে জ্বর-সর্দি-কাশি, সংক্রমণ রুখতে কী কী করবেন, জানাল কেন্দ্র
বাড়ছে ইনফ্লুয়েঞ্জা রোগীর সংখ্যা। ছবি:PTI
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 05, 2023 | 6:26 AM

নয়া দিল্লি: ঘরে ঘরে এখন জ্বর-সর্দি-কাশি। নিস্তার পাচ্ছেন না বাচ্চা থেকে বয়স্ক কেউই। শুধুমাত্র কলকাতা বা পশ্চিমবঙ্গেই নয়,  দেশের বিভিন্ন অংশেই বাড়ছে ইনফ্লুয়েঞ্জা (Influenza) আক্রান্তের সংখ্যা। জানা গিয়েছে, শীতের বিদায় শুরু হতেই বিগত দুই মাস ধরে এই সংক্রমণের দাপট বেড়েছে। চিকিৎসকের পরামর্শে অ্য়ান্টিবায়োটিক (Antibiotics) খেয়ে জ্বর কমলেও, থেকেই যাচ্ছে কাশির সমস্যা। এমনকী অনেকের শ্বাসকষ্টের সমস্যাও দেখা দিচ্ছে। ২০২০ সাল থেকে বিগত দুই বছরে করোনা সংক্রমণের সঙ্গে টানা লড়াই করার পর এবার এই ইনফ্লুয়েঞ্জা আতঙ্ক তৈরি করছে সাধারণ মানুষের মনে। কারণ প্রত্যেকটি পরিবারেই ছড়িয়ে পড়ছে এই সংক্রমণ। এই পরিস্থিতিতে জনসাধারণএর মধ্যে সচেতনতা তৈরি করতে কেন্দ্রের তরফে নির্দেশিকা বা অ্যাডভাইসরি  (Advisory)জারি করা হল। ইনফ্লুয়েঞ্জা হলে কী কী করা উচিত আর কী করা উচিত নয়, তা নিয়ে বিস্তারিত তথ্য জানানো হয়েছে কেন্দ্রের নির্দেশিকায়।

ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ বা আইসিএমআর-র তরফে জানানো হয়েছে, ইনফ্লুয়েঞ্জা এ সাবটাইপ এইচ৩এন২ ভাইরাসের কারণেই ঘরে ঘরে এই সংক্রমণ হচ্ছে। এইচ৩এন২ ভাইরাস ইনফ্লুয়েঞ্জার অন্যান্য সাবটাইপের তুলনায় অনেক বেশি সংক্রামক, এই ভাইরাসে রোগীর হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার হারও তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, বিগত দুই-তিন মাস ধরেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়েছে এই ভাইরাস।

কেন্দ্রের নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, সাধারণ ফ্লুয়ের মতোই উপসর্গ এই ইনফ্লুয়েঞ্জার। তবে জ্বরের সঙ্গে একটানা কাশি থেকে যাচ্ছে। অধিকাংশ রোগীরাই দীর্ঘদিন ধরে কাশির সমস্য়ার কথা জানিয়েছেন। চিকিৎসকেরাও জানিয়েছেন, যত সময় পার হচ্ছে, উপসর্গগুলি আরও শক্তিশালী হচ্ছে। অনেক সময়ই দেখা যাচ্ছে রোগী সুস্থ হয়ে যাওয়ার পরও দীর্ঘ সময় ধরে উপসর্গ থেকে যাচ্ছে।

আইএমএ-র তরফেও জানানো হয়েছে, মূলত ১৫ বছরের কম বয়সী ও ৫০ বছরের উর্ধ্ব ব্যক্তিরাই এই ইনফ্লুয়েঞ্জা হচ্ছে। জ্বরের পাশাপাশি রেসপিরেটরি ইনফেকশন বা শ্বাসযন্ত্রে সংক্রমণ হচ্ছে। তবে আন্দাজে কেবল অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার না করে, উপসর্গ অনুযায়ী চিকিৎসার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। অ্যাজিথ্রোমাইসিন ও আইভারমেকটিনের মতো অ্যান্টিবায়োটিকের বহুল ব্যবহারের কারণে বর্তমানে তা আর সংক্রমণ প্রতিরোধে কার্যকর হচ্ছে না বলেই জানানো হয়েছে।

কী করবেন?

  • নিয়মিত সাবান ও জল দিয়ে হাত ধুতে হবে।
  • যদি ইনফ্লুয়েঞ্জার কোনও উপসর্গ দেখা যায়, তবে মাস্ক পরা ও ভিড় এলাকা এড়িয়ে চলতে হবে।
  • নাক ও মুখে হাত দেওয়া এড়িয়ে চলুন।
  • হাঁচি-কাশির সময়ে সঠিকভাবে নাক-মুখ ঢাকুন।
  • বেশি করে জল ও অন্যান্য পানীয় পান করুন।
  • জ্বর, শরীরে ব্যাথা হলে প্যারাসিটামল খান।

কী করবেন না?

  • কারোর সঙ্গে হাত মেলানো বা অন্য কোনও শারীরিক সংস্পর্শ এড়িয়ে চলুন।
  • প্রকাশ্যে থুতু ফেলবেন না।
  • চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া নিজে থেকে কোনও ওষুধ, অ্যান্টিবায়োটিক খাবেন না।