NIA Terrorist Crackdown: জঙ্গি দমনে উপত্যকায় অভিযান NIA-র, বাজোয়াপ্ত করা হল নিহত হিজবুল জঙ্গি বসির আহমেদের সম্পত্তি

Hizbul Mujahideen Terrorist: এনআইএ-র তরফে জানানো হয়েছে, জম্মু-কাশ্মীরে যে জঙ্গি দমন অভিযান শুরু করা হয়েছে, তার অধীনেই এই সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার জঙ্গি মুস্তাক আহমেদ জ়ারগার ওরফে লারতামের বাড়িও বাজোয়াপ্ত করে এনআইএ।

NIA Terrorist Crackdown: জঙ্গি দমনে উপত্যকায় অভিযান NIA-র, বাজোয়াপ্ত করা হল নিহত হিজবুল জঙ্গি বসির আহমেদের সম্পত্তি
জম্মু-কাশ্মীরে অভিযান এনআইএ-র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 05, 2023 | 7:07 AM

শ্রীনগর: নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হিজবুল মুজাহিদ্দিনের (Hizbul Mujahideen) বিরুদ্ধে বড় সাফল্য পেল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা(National Investigation Agency)। সম্প্রতিই পাকিস্তানে গুলি করে হত্য়া করা হয় হিজবুল মুজাহিদ্দিনের জঙ্গি বসির আহমেদ পীর(Basir Ahmed Peer)-কে। এর দুই সপ্তাহ পার হওয়ার আগেই তাঁর বাড়ির ঠিকানা উদ্ধার করল এনআইএ(NIA)। জানা গিয়েছে, জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu Kashmir) কুপওয়াড়ায় বাড়ি রয়েছে বসিরের। শনিবার তা বাজেয়াপ্ত করেছে এনআইএ।

জানা গিয়েছে, গত ২০ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডিতে একটি দোকানের বাইরে অজ্ঞাত পরিচয় আততায়ীর গুলিতে মৃত্যু হয় বসির আহমেদ পীর ওরফে ইমতিয়াজ আলমের। ভারতের অন্যতম “মোস্ট ওয়ান্টেড” জঙ্গি ছিল বসির। তবে বসিরের মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর হাত গুটিয়ে বসে থাকেনি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। খোঁজ চলছিল বসিরের ঠিকানার। শনিবার সূত্র মারফত খবর পেয়ে জম্মু-কাশ্মীরের কুপওয়াড়ার বাবাপোরা গ্রামে তল্লাশি অভিযান চালায় এআইএ। সেখানেই বসিরের বাড়ির খোঁজ পাওয়া যায়। সন্ত্রাস দমন আইন ইউএপিএ-র অধীনে বসিরের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

এনআইএ-র তরফে জানানো হয়েছে, জম্মু-কাশ্মীরে যে জঙ্গি দমন অভিযান শুরু করা হয়েছে, তার অধীনেই এই সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার জঙ্গি মুস্তাক আহমেদ জ়ারগার ওরফে লারতামের বাড়িও বাজোয়াপ্ত করে এনআইএ। ১৯৯৯ সালে কান্দাহারে বিমান হাইজ্যাক হওয়ার ঘটনায় জেল থেকে যে সমস্ত জঙ্গিদের মুক্তি দিতে বাধ্য করা হয়েছিল, তার মধ্যে অন্যতম ছিলেন এই লারতাম।

উল্লেখ্য, গত বছরের অক্টোবর মাসেই কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে বসির আহমেদকে নিষিদ্ধ জঙ্গি হিসাবে ঘোষণা করা হয়। জম্মু-কাশ্মীরে জঙ্গি পাঠানো ও সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে মদত দেওয়ার জন্য অস্ত্র ও অন্যান্য সামগ্রী সরবরাহের অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। পাকিস্তান থেকে বসে ভারতে, বিশেষ করে জম্মু-কাশ্মীরে জঙ্গি নিয়োগের ক্ষেত্রেও সক্রিয় ভূমিকা ছিল বসিরের।
ভারতে তাঁকে নিষিদ্ধ জঙ্গি ঘোষণার পরই প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানে গা ঢাকা দেয় বসির আহমেদ। কিন্তু গত ২০ ফেব্রুয়ারি রাওয়ালপিন্ডিতে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে বসিরকে হত্যা করে অজ্ঞাতপরিচয় আততায়ীরা।