COVID-19 Restriction Ends: উঠে যাচ্ছে করোনার বিধিনিষেধ, কবে থেকে ফিরবে ‘স্বাধীনতা’, জানাল কেন্দ্র

COVID-19 Restriction Ends: কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব জানান, বিগত সাত সপ্তাহ বা তারও বেশি সময় ধরে দেশে ক্রমশ আক্রান্তের সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে। সাধারণ মানুষও সংক্রমণ রুখতে কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত, সেই বিষয়ে যথেষ্ট সচেতন হয়ে উঠেছেন।

COVID-19 Restriction Ends: উঠে যাচ্ছে করোনার বিধিনিষেধ, কবে থেকে ফিরবে 'স্বাধীনতা', জানাল কেন্দ্র
ছবি : PTI
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 23, 2022 | 2:26 PM

নয়া দিল্লি: ২ বছর পর ফিরছে ‘স্বাধীনতা’। দুই বছর আগে দেশে প্রবেশ করেছিল করোনা সংক্রমণ, তারপরই একাধিক বিধিনিষেধ ও লকডাউনের ঘেরাটোপে আটকা পড়েছিল সাধারণ মানুষ। করোনার (COVID-19) তৃতীয় ঢেউয়ের ধাক্কা সামলিয়ে ওঠার পর থেকেই দেশে নিম্নমুখী সংক্রমণ। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের তরফে সমস্ত করোনাবিধি তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক (Union Home Ministry)। দুই বছর পর আগামী ৩১ মার্চ থেকেই করোনা সংক্রান্ত যাবতীয় বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া হচ্ছে। নৈশ কার্ফু (Night Curfew) বা কন্টেনমেন্ট জ়োন(Containment Zone)-র মতো নানা বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া হলেও, মাস্ক (Mask) পরা ও সামাজিক দূরত্ববিধি (Social Distancing) মেনে চলার নিয়ম এখনও জারি থাকবে।

২০২০ সালে ভারতে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পরই কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে ২৪ মার্চ বিপর্যয় মোকাবিলা আইন ২০০৫ -র অধীনে দেশে সংক্রমণ রুখতে একাধিক বিধিনিষেধ জারি করেছিল। এরপর সংক্রমণের গ্রাফ ওঠানামার সঙ্গে সঙ্গে এই নির্দেশিকাও একাধিকবার পরিবর্তিত হয়েছে।

দেশের করোনা সংক্রমণ কমতেই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব অজয় ভাল্লা সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মুখ্যসচিবদের চিঠি দিয়ে জানান যে, বিগত ২৪ মাস ধরে করোনা সংক্রমণ রুখতে শনাক্তকরণ, চিকিৎসা, নজরদারি, কন্ট্যাক্ট ট্রেসিং, টিকাকরণ, হাসপাতালের পরিকাঠামো সহ একাধিক  পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছিল। সাধারণ মানুষকেও করোনা সংক্রমণ  সম্পর্কে সচেতন করা হয়েছে। রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিও সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া থেকে রুখতে নিজেদের উদ্যোগে বিস্তারিত পরিকল্পনা ও তা প্রয়োগ করেছেন।

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব জানান, বিগত সাত সপ্তাহ বা তারও বেশি সময় ধরে দেশে ক্রমশ আক্রান্তের সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে। সাধারণ মানুষও সংক্রমণ রুখতে কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত, সেই বিষয়ে যথেষ্ট সচেতন হয়ে উঠেছেন। বর্তমানে দেশে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ২৩ হাজার ৯১৩-এ। দৈনিক সংক্রমণের হারও কমে দাঁড়িয়েছে ০.২৮ শতাংশে। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের মিলিত উদ্য়োগে দেশে এখনও অবধি ১৮১ কোটি ৫৬ লক্ষ করোনা টিকার ডোজ় দেওয়া হয়েছে বলেও জানান অজয় ভাল্লা।

বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে তিনি বলেন, “করোনা সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়তে কেন্দ্রের প্রস্তুতি ও সার্বিক করোনা পরিস্থিতির উন্নতির দিকটি মাথায় রেখেই জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে করোনা সংক্রমণ রুখতে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা আইনের যে বিধিগুলি জারি করা হয়েছিল, তা তুলে নেওয়া হবে।”

আগামী ৩১ মার্চ থেকে মাস্ক পরা ও সামাজিক দূরত্ববিধি বাদ দিয়ে যাবতীয় করোনাবিধি তুলে নেওয়া হচ্ছে। এই সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে জানানো হবে। তবে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে মাস্ক পরা, হাত ধোয়ার মতো সাধারণ স্বাস্থ্যবিধিগুলি অনুসরণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দেশের করোনা পরিস্থিতির উপরে নিয়মিত নজরদারি করা হবে বলেও জানানো হয়েছে।

আরও পড়ুন: PM Narendra Modi: দেশের শহিদদের সম্মান জানাতে ভিক্টোরিয়ায় তৈরি ‘বিপ্লবী ভারত গ্যালারি’, উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী