বনমন্ত্রীর বিরুদ্ধে জমি দুর্নীতির অভিযোগ, উত্তাল বিধানসভা

ত্রিপুরা(Tripura)-র একটি স্থানীয় সংবাদপত্রে প্রতিবেদনে বলা হয় যে জমি দুর্নীতিতে জড়িত রয়েছেন রাজ্যের বনমন্ত্রী মেভর কুমার জামাতিয়া(Mevar Kumar Jamatia)। এরপরই আজ বিধানসভায় বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিরোধী দলের বিধায়করা।

বনমন্ত্রীর বিরুদ্ধে জমি দুর্নীতির অভিযোগ, উত্তাল বিধানসভা
ত্রিপুরা বিধানসভা। ছবি:PTI
Follow Us:
| Updated on: Mar 26, 2021 | 7:48 PM

আগরতলা: জমি দুর্নীতি মামলায় বনমন্ত্রীর নাম জড়াতেই উত্তাল হল বিধানসভা। বিরোধীদলের লাগাতার স্লোগানে শুক্রবার বেশ কিছুক্ষণের জন্য স্থগিত করে দেওয়া হয় অধিবেশন। যদিও বনমন্ত্রীর দাবি, তাঁর বিরুদ্ধে যদি দুর্নীতির কোনও প্রমাণ দেয় বিরোধীরা, সেই মুহূর্তেই পদত্যাগ করবেন তিনি।

ঘটনার সূত্রপাত হয় বৃহস্পতিবার। ত্রিপুরা(Tripura)-র একটি স্থানীয় সংবাদপত্রে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়, যেখানে বলা হয় যে জমি দুর্নীতিতে জড়িত রয়েছেন রাজ্যের বনমন্ত্রী মেভর কুমার জামাতিয়া(Mevar Kumar Jamatia)। শুক্রবার অধিবেশন শুরু হতেই বিরোধী দল সিপিআইএম (CPIM) রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে শুরু করে ও মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে বিবৃতির দাবি করেন। তবে মুখ্যমন্ত্রীর বদলে অর্থমন্ত্রী নরেন্দ্র চন্দ্র দেববর্মা (Narendra Chandra Deb Barma) জানান, এইধরনের কোনও জমি দুর্নীতি হয়নি।

আরও পড়ুন: উৎসবের মরসুমে সংক্রমণ রুখতে আরও সতর্কতা প্রয়োজন, রাজ্যকে চিঠি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের

পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে ডেপুটি স্পিকার বিশ্ব বন্ধু সেন (Biswa Bandhu Sen) ১০ মিনিটের জন্য অধিবেশন স্থগিত করে দেন। দ্বিতীয় দফায় অধিবেশন শুরু হলেও বিরোধী বিধায়করা সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন। যদিও মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব স্লোগান উপেক্ষা করেই নিজের বাজেট বিবৃতি পেশ করেন। অধিবেশন শেষের পরও সাংবাদিক বৈঠকে বিরোধী দলনেতা বাদল চৌধুরী বলেন, “নিজের প্রভাব খাটিয়ে বনমন্ত্রী রাজ্যের কিছু জমি হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন। এর সপক্ষে যথেষ্ট প্রমাণও রয়েছে।”

এদিকে, বনমন্ত্রী মেভার কুমার বলেন, “আমি মন্ত্রীত্ব পদ থেকে ইস্তফা দেব যদি আমার বিরুদ্ধে আনা জমি দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হয়। স্থানীয় জেলা কাউন্সিলের নির্বাচনের আগেই আমার বিরুদ্ধে গভীর চক্রান্ত করা হবে।”

আরও পড়ুন: Corona Cases and Lockdown News: ঋষিকেশের হোটেলে করোনা আক্রান্ত ১৬ কর্মচারী, ‘কড়া পদক্ষেপে’র ইঙ্গিত মহারাষ্ট্র সরকারের