Twin Tower Demolition : ‘আমরা কাঁদছিলাম…’, এক বোতামেই ভ্যানিশ টুইন টাওয়ার, কেন চোখে জল চেতনের?

Twin Tower Demolition : রবিবার উত্তর প্রদেশের নয়ডাতে জোড়া অট্টালিকা ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। প্রায় ৫৫ হাজার টনের ধ্বংসাবশেষ তৈরি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

Twin Tower Demolition : 'আমরা কাঁদছিলাম...', এক বোতামেই ভ্যানিশ টুইন টাওয়ার, কেন চোখে জল চেতনের?
ছবি সৌজন্যে : ANI
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 28, 2022 | 9:48 PM

নয়ডা : গোটা দেশ আজ ৯ সেকেন্ডের সাক্ষী থাকল। নিয়ন্ত্রিত বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ১০০ মিটারের টুইন টাওয়ার ধ্বংস হয়ে ইতিহাসের পাতায় জায়গা করে নিয়েছে এই ঘটনা। গোটা দেশ হাঁ করে দেখেছে এই ৯ সেকেন্ডের এই ছোট্ট ছবি। এক বোতাম টিপে এই ধ্বংসলীলা শুরু ও শেষ করেছেন এডিফাইস ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের আধিকারিক চেতন দত্ত। তিনি জানিয়েছেন, ১০০ শতাংশ সফল হয়েছে এই জোড়া অট্টালিকা ভাঙার প্রক্রিয়া। তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, টুইন টাওয়ার থেকে মাত্র ৭০ মিটার দূরে দাঁড়িয়েছিলেন চেতন দত্ত।

বিস্ফোরণ ঘটার পর সাইটে গিয়েছিলেন চেতন দত্ত ও তাঁর সহকারী ইঞ্জিনিয়াররা। সেখানে আনন্দে ও উল্লাসে কেঁদে ওঠেন তাঁরা। দু’চোখ বেয়ে নেমে আসে আনন্দধারা। তিনি সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে জানিয়েছেন, ‘এই ধ্বংসের প্রক্রিয়া ১০০ শতাংশ সফল। পুরো নির্মাণটি ভেঙে পড়তে ৯ থেকে ১০ সেকেণ্ড সময় নিয়েছে। আমার দলে ১০ জন ছিলেন, ৭ জন বিদেশের বিশেষজ্ঞ ও এডিফাইস ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ২০ থেকে ২৫ জন।’ বোতাম টেপার আগের মুহূর্তের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়েছেন চেতন। তিনি জানিয়েছেন, ওয়ার্নিং সাইরেন বেজে ওঠার পরই নিশ্চুপ হয়ে যান তিনি ও তাঁর দলের বাকি সদস্যরা। কেউ কারোর সঙ্গে একটি শব্দও বিনিময় করেননি। তিনি বলেছেন, ‘বোতাম টেপার পরই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ছিল টুইন টাওয়ার। আমি মাথা তুলে একবার তাকালাম। সবটা গুঁড়িয়ে যাওয়ার পরে আমি ও আমার দলের সদস্যরা ধূলিঝড় থামার অপেক্ষা করিনি। আমরা ধ্বংসের সাইটে গিয়ে এমেরাল্ড কোর্ট ও এটিএস ভিলেজের কাছাকাছি বাসভবনগুলিকে খতিয়ে দেখি।’

তিনি জানিয়েছেন,’সবকিছু নিরাপদ। সব কিছু পরিকল্পনামাফিকই হয়েছে।’ টুইন টাওয়ার ভেঙে মাটিতে গুঁড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই চারিদিক ধূলোয় ঢেকে যায়। এরকম ধূলি ঝড়ের আশঙ্কা আগেই করা হয়েছিল। অ্যান্টি-স্মগ গান ব্যবহারের মাধ্যমে জল স্প্রে করে ধূলিঝড় নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। এদিকে টুইন টাওয়ার ভেঙে পড়ায় প্রায় ৫৫ হাজার টন ধ্বংসস্তূপের সৃষ্টি হয়েছে। তিনমাস ধরে এই ধ্বংসাবশেষ পরিষ্কারের কাজ চলবে।