CJI: মহিলা বিচারকের হেনস্থা, এলাহাবাদ হাইকোর্টের রিপোর্ট চাইলেন প্রধান বিচারপতি

CJI Chandrachud: মহিলা বিচারকের চিঠি পেয়েই পদক্ষেপ করলেন প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। উত্তর প্রদেশের বান্দা জেলার এক সিভিল কোর্টের মহিলা বিচারক তাঁকে চিঠি দিয়ে কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানির অভিযোগ করেছিলেন। এলাহাবাদ হাইকোর্টে অভিযোগ জানিয়েও সুরাহা না পেয়ে তিনি স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন করেছিলেন।

CJI: মহিলা বিচারকের হেনস্থা, এলাহাবাদ হাইকোর্টের রিপোর্ট চাইলেন প্রধান বিচারপতি
প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় (ফাইল ছবি)Image Credit source: Twitter
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 15, 2023 | 11:21 AM

নয়া দিল্লি: মহিলা বিচারকের চিঠি পেয়েই পদক্ষেপ করলেন প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। উত্তর প্রদেশের বান্দা জেলার এক সিভিল কোর্টের মহিলা বিচারক তাঁকে চিঠি দিয়ে কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানির অভিযোগ করেছিলেন। এলাহাবাদ হাইকোর্টে অভিযোগ জানিয়েও সুরাহা না পেয়ে তিনি স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন করেছিলেন। সেই চিঠি পাওয়ার পরই, এলাহাবাদ হাইকোর্টের কাছ থেকে এই বিষয়ে একটি রিপোর্ট তলব করলেন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূর। সূত্রের খবর, প্রধান বিচারপতি সুপ্রিম কোর্টের মহাসচিব অতুল এম কুর্হেকারকে ‘স্ট্যাটাস আপডেট’ করার নির্দেশ দেন। এরপর, কুর্হেকর এলাহাবাদ হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে একটি চিঠি লিখে মহিলা বিচারকের করা সমস্ত অভিযোগ সম্পর্কে তথ্য চেয়েছেন। শুধু তাই নয়, সুপ্রিম কোর্টের সচিবালয় থেকে এলাহাবাদ হাইকোর্টের অভ্যন্তরীণ অভিযোগ কমিটির কার্যক্রমের স্ট্যাটাস রিপোর্টও চাওয়া হয়েছে।

উত্তরপ্রদেশের বান্দা জেলার ওই মহিলা সিভিল বিচারক, প্রধান বিচারপতিকে যে চিঠিটি দিয়েছিলেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই চিঠি ভাইরাল হয়। খোদ বিচারকই বিচার পাচ্ছেন না, এই ঘটনা নিয়ে তোলপাড় পড়ে যায় নেট মহলে। চিঠিতে মহিলা বিচারক অভিযোগ করেন, এর আগে তিনি যখন বারাবঁকি জেলায় নিযুক্ত ছিলেন, সেই সময় সেখানকার এক বিশেষ জেলা বিচারক ও তাঁর সহযোগী, তাঁকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করেছেন। এমনকি, রাতে তাঁকে দেখা করতে বলেছিলেন ওই বিচারক। চিঠিতে তিনি লেখেন, “আমার সঙ্গে একেবারে আবর্জনার মতো আচরণ করা হয়েছে। আমার নিজেকে একটি অবাঞ্ছিত পোকা বলে মনে হয়। আমি অন্যদের ন্যায়বিচার প্রদান করব কীভাবে?”

তিনি আরও জানিয়েছিলেন, এই বিষয়ে এলাহাবাদ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি এবং প্রশাসনিক বিচারকের কাছ থেকে কোনও সহায়তা পাননি তিনি। এই ঘটনার অভিযোগ করার পরও, তাঁরা কোনও পদক্ষেপ করেননি । এমনকী, তাঁর কী হয়েছে, সে প্রশ্ন পর্যন্ত করেনি কেউ। তিনি হাইকোর্টের অভ্যন্তরীণ অভিযোগ কমিটির কাছেও অভিযোগ জানিয়েছিলেন। কিন্তু, তদন্তের নামে তারা প্রহসন চালিয়েছে বলে অভিযোগ মহিলা বিচারপতির। প্রধান বিচারপতিকে লেখা চিঠির শেষ অংশে তিনি লিখেছিলেন, “দয়া করে আমাকে মর্যাদাপূর্ণ উপায়ে আমার জীবন শেষ করার অনুমতি দিন।”