‘জাতীয় সুরক্ষার প্রশ্ন’, পেগাসাস তদন্তে মমতার গঠন করা কমিশন ভেঙে দেওয়ার আর্জি সুপ্রিম কোর্টে

সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতির নেতৃত্বে পেগাসাস (Pegasus) নিয়ে একটি তদন্ত কমিশন তৈরির কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।

'জাতীয় সুরক্ষার প্রশ্ন', পেগাসাস তদন্তে মমতার গঠন করা কমিশন ভেঙে দেওয়ার আর্জি সুপ্রিম কোর্টে
ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 12, 2021 | 11:20 AM

নয়া দিল্লি: পেগাসাস (Pegasus) কেলেঙ্কারির আঁচ পড়েছে পশ্চিমবঙ্গেও। বাংলার সাংবাদিক থেকে শুরু করে রাজনীতিবিদদের ফোনেও আড়ি পাতা হয়েছে। এমন দাবি করেই আড়িপাতা-কাণ্ডের তদন্ত করতে একটি কমিশন গঠন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই কমিশন ভেঙে দেওয়ার আর্জি জানিয়ে এ বার একটি জনস্বার্থ মামলা হল সু্প্রিম কোর্টে (Supreme Court)। বুধবার ‘গ্লোবাল ভিলেজ ফাউন্ডেশন’ নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা শীর্ষ আদালতে এই আবেদন জানিয়েছে।

এই আবেদনে বলা হয়েছে, মিলিটারি গ্রেড স্পাইওয়্যার পেগাসাসের ক্ষেত্রে ফোনে আড়িপাতার যে অভিযোগ উঠেছে, তার একটি জাতীয় স্তরের তদন্তের প্রয়োজন। আবেদনে আরও বলা হয়, আড়িপাতা মামলায় এসআইটি তদন্ত চেয়ে যে আবেদন করা হয়েছে, তার ওপরও শুনানি করুক সুপ্রিম কোর্ট। ইস্যুটির গুরুত্ব, দেশের নাগরিকদের ওপর প্রভাব বিবেচনা করা হোক। আইনজীবী সৌরভ মিশ্রের মাধ্যমে আবেদনকারী ওই সংস্থা বলে, যেহেতু এই মামলার শুধু দেশের অন্দরে নয় অন্য দেশেও গুরুত্ব আছে. তাই এটি জাতীয় স্তরেই তদন্ত করা প্রয়োজন।  আবেদনকারীর দাবি, এই আড়িপাতার অভিযোগের সঙ্গে জড়িয়ে আছে ভারতের প্রতিরক্ষা, জাতীয় সুরক্ষা, টেলিকমিউনিকেশন, বৈদেশিক সম্পর্কের মতো বিষয়। তাই এই ধরনের তদন্ত রাজ্য সরকারের তত্ত্বাবধানে হওয়া উচিৎ নয়।

ফোনে আড়িপাতার অভিযোগ আমনে আসার পর উত্তাল হয় জাতীয় রাজনীতি। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রশান্ত কিশোরের ফোনে আড়িপাতা হয়েছে বলেও অভিযোগ ওঠে। এরপরই তৎপর হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মন্ত্রিসভার বৈঠকে তদন্ত কমিশন গঠনের সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্যে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি মদন লোকুর এবং কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি জ্যোতির্ময় ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়েছে।

অন্যদিকে, পেগাসাস সংক্রান্ত মামলার শুনানি চলছে সুপ্রিম কোর্টে। বিচারপতি এনভি রামণ, বিচারপতি বিনীত সরণ ও বিচারপতি সূর্য কান্তের বেঞ্চে চলছে এই মামলা। শেষ শুনানিতে প্রধান বিচারপতি আবেদনকারীদের বলেন যাতে কেউ সোশ্যাল মিডিয়ায় এই বিষয়ে আলোচনা না করেন। তিনি বলেন,  ‘টুইটার বা কোনও সোশ্যাল মিডিয়ায় এই নিয়ে কোনও মন্তব্য করবেন না। আদালতে এসে কথা বলুন। আমরা সমান্তরাল কোনও বিতর্ক চাই না। সিস্টেমে আস্থা রাখুন।’ আরও পড়ুন: আগামীদিনেও একজোট থাকাই লক্ষ্য, বিরোধীদের নৈশভোজের আয়োজন কংগ্রেস নেত্রীর, আমন্ত্রণ পেলেন মমতাও