ED summons Sonia-Rahul: ‘ব্রিটিশদের পথেই হাঁটছে মোদী সরকার’, সনিয়া-রাহুলকে নোটিস পাঠাতেই আগুনে জবাব কংগ্রেসের
ED summons Sonia Rahul: 'ন্যাশনাল হেরাল্ড' মামলায় অর্থ পাচারের অভিযোগে সনিয়া গান্ধী এবং রাহুল গান্ধীকে ইডি নোটিস পাঠাতেই কড়া জবাব দিল কংগ্রেস। মোদীর সরকারকে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের সঙ্গে তুলনা করা হল।
নয়া দিল্লি: বুধবার (১ জুন) ‘ন্যাশনাল হেরাল্ড’ মামলায় অর্থ পাচারের অভিযোগে কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী এবং তার পুত্র কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে নোটিস পাঠিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট বা ইডি। এর জবাবে, ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের সঙ্গে নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের তুলনা করল কংগ্রেস। সাংবাদিক সম্মেলন করে কংগ্রেস নেতা রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা এবং অভিষেক মনু সিংভি বলেন, ইডির পাঠানো সমন এবং কেন্দ্রের এই ধরনের ‘প্রতিহিংসাপরায়ণতায়’ ভয় পায় না।
অভিষেক মনু সিংভি বলেন, ‘মোদী সরকারের জানা উচিত, এই ধরনের মিথ্যা ও সাজানো মামলা দায়ের করে তাদের কাপুরুষোচিত ষড়যন্ত্র সফল হবে না। স্বাধীনতা আন্দোলনের কন্ঠ ন্যাশনাল হেরাল্ড বন্ধও করতে পারবে না ইডি, সনিয়া গান্ধী রাহুল গান্ধীকে ভয়ও দেখাতে পারবে না। কংগ্রেস নেতৃত্ব নির্ভীক এবং তদন্তকারী সংস্থার সামনে দাঁড়াতে প্রস্তুত। আমরা এই ধরনের কৌশলে ভয় পাই না, আমরা মাথা ঝোঁকাবো না। আমরা আইনি পথে, সামাজিকভাবে এবং রাজনৈতিকভাবে লড়াই চালাব।’
রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা জানান, সনিয়া ও রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে পুরো দল এবং দলীয় কর্মীরা তাঁদের পাশে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দাঁড়াবেন। ন্যাশনাল হেরাল্ড পত্রিকার মূল মন্ত্র ছিল, ‘বিপদে স্বাধীনতা, সর্বস্ব দিয়ে একে রক্ষা করুন’। রণদীপ সুরজেওয়ালা বলেন, ‘১৯৪২ সালে ন্যাশনাল হেরাল্ডের পথ চলা শুরু হয়েছিল। আজ আবার যে আদর্শ ব্রিটিশ শাসনকে সমর্থন করেছিল, সেই আদর্শই স্বাধীনতা আন্দোলনের কন্ঠকে দমিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করছে’। কংগ্রেস নেতা দাবি করেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীই এই ষড়যন্ত্রকারীদের প্রধান আর তাঁর প্রিয় অস্ত্র হল ইডি। এই সমন জারি করা হয়েছে, মূল সমস্যাগুলি থেকে মানুষের নজর ঘুরিয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যে। তিনি আরও দাবি করেন, বারংবার ন্যাশনাল হেরাল্ডকে আক্রমণ করে বিজেপি স্বাধানতা সংগ্রামীদের অপমানিত এবং অসম্মানিত করছে।
সনিয়া গান্ধীকে ৮ জুনের মধ্যে ইডির দফতরে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। অন্যদিকে রাহুলকে হাজিরা দিতে হবে ২ জুন। সনিয়া হাজিরার দিন নিয়ে কোনও আপত্তি না জানালেও, রাহুিল গান্ধী তাঁর হাজিরা দেওয়ার তারিখ পিছিয়ে দেওয়ার আবেদন করেছেন। কারণ এই মুহূর্তে দেশে নেই তিনি।
অন্যদিকে, ইডি সমন পাঠানোর পর, সনিয়া এবং রাহুল গান্ধীর গায়ে সরাসরি ‘অপরাধীর’ তকমা এঁটে দিয়েছেন বিজেপির জাতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী নাড্ডা বলেছেন, ‘কোনওদিন কোনও অপরাধীকে বলতে শুনেছেন আমি অপরাধী? তাঁরাও অবশ্যই এই অভিযোগ অস্বীকার করবেন। তবে নথিতেই প্রমাণ রয়েছে। চার্জশিট ফাইল করা হলে, তা খারিজ করতে আপনি আদালতে যাবেন। কিন্তু ওঁরা জামিন চেয়েছেন। এর অর্থ ওঁরা দোষী’। ইডির এই নোটিস পাঠানোর পিছনে কোনও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থাকার বিষয়টি সরাসরি অস্বীকার করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। তিনি বলেছেন, ‘সরকারি সংস্থা তাদের কাজ করছে’।