Cyber attack in Bank: থমকে গেল লেনদেন! চুপিচুপি দেশের ৩০০ ব্যাঙ্কে সাইবার হানা?
Cyber attack in Bank: দেশে প্রায় দেড় হাজার সমবায় ও আঞ্চলিক ব্যাঙ্ক রয়েছে। এগুলি ছোট ব্যাঙ্ক বলেই পরিচিত। এর মধ্যে প্রায় ৩০০ ব্যাঙ্কের পেমেন্ট সিস্টেম সাইবার হানায় থমকে গেল। এইসব ছোট ব্যাঙ্কের পেমেন্ট সিস্টেম দেখভাল করতো C-Edge Technologies নামে একটি সংস্থা।
কলকাতা: আশঙ্কা ছিলই। দেশের ব্যাঙ্কিং সিস্টেমের ওপর সাইবার অ্যাটাকের আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। সব ব্যাঙ্ককে এনিয়ে সতর্ক করে দিয়েছিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। বলা হয় চব্বিশ ঘণ্টাই সাইবার নিরাপত্তায় ব্যাঙ্কগুলিকে নজরদারি চালাতে হবে। যে কোনও পরিস্থিতির মোকাবিলায় তৈরি থাকতে হবে সব ব্যাঙ্কের সাইবার সেলকে। অবশেষে আশঙ্কাই তাই সত্যি হল। ১ অগাস্ট । ১ মাসের মধ্যে সেই সাইবার অ্যাটাক হয়েই গেল। আটকানো গেল না। নিউজ এজেন্সি রয়টার্স বলছে পুরো ঘটনাটা জানে, এমন দুটো সোর্স থেকে তারা এই খবর পেয়েছে। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক তাঁদের প্রশ্নের উত্তর দেয়নি। তবে, ইউপিআই যাঁরা চালায়। সেই National Payment Corporation of India-র পদক্ষেপে কিন্তু বোঝা যাচ্ছে বিষয়টা গুরুতর। যতটুকু খবর পাওয়া যাচ্ছে, সেটা যথেষ্ট বিপদের বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
দেশে প্রায় দেড় হাজার সমবায় ও আঞ্চলিক ব্যাঙ্ক রয়েছে। এগুলি ছোট ব্যাঙ্ক বলেই পরিচিত। এর মধ্যে প্রায় ৩০০ ব্যাঙ্কের পেমেন্ট সিস্টেম সাইবার হানায় থমকে গেল। এইসব ছোট ব্যাঙ্কের পেমেন্ট সিস্টেম দেখভাল করতো C-Edge Technologies নামে একটি সংস্থা। C-Edge Technologies হল টিসিএস এবং এসবিআই-এর জয়েন্ট ভেঞ্চার। তাদের সিস্টেমে সাইবার অ্যাটাক হওয়ার কারণেই তাদের ক্লায়েন্ট এই ৩০০ ব্যাঙ্কের পেমেন্ট সিস্টেমে সাময়িক সমস্যা তৈরি হয় বলে রয়টার্সের দাবি।
তারা বলছে আরবিআইয়ের মতো C-Edge Technologies-এর কোনও কর্তাও এনিয়ে কোনও রেসপন্স করেননি। তবে National Payment Corporation of India জানিয়েছে যে তারা সাময়িকভাবে C-Edge Technologies-কে কোট আনকোট আইসোলেট করেছে। তারা গোটা বিষয়টা খতিয়েও দেখছে। মানে এই খতিয়ে দেখার কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত যেসব ব্যাঙ্ক C-Edge Technologies-এর কাছ থেকে সার্ভিস নেয়। তাদের ক্লায়েন্টরা ইউপিআই পরিষেবা পাবেন না। বলা হয়েছে ভবিষ্যতে এমন ঘটনা যাতে না ঘটে সে জন্য সমস্তকিছু পরীক্ষা করে দেখছে NPCI. ছোট ব্যাঙ্কগুলির পেমেন্ট সিস্টেমে গণ্ডগোল হওয়ায় সারা দেশে যত ব্যাঙ্ক ট্রানজাকশন হয় তার মাত্র শূন্য দশমিক পাঁচ শতাংশ ট্রানজাকশন সাইবার হানায় করা যায়নি। ফলে, এই যাত্রায় বিপদ অল্পের ওপর দিয়েই গেছে। কিন্তু বড় বিপদ যে কোনও দিন আসবে না, তা হলফ করে বলা যাচ্ছে না বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের।