Arvind Kejriwal’s Asset: কোটি টাকার পর্দা থাকলেও কেজরীবালের নেই কোনও বাড়ি-গাড়ি! ব্যাঙ্কে কত টাকা আছে জানেন?
Delhi Assembly Election 2025: বিধায়কের বেতন থেকেই সংসার চলে কেজরীবালের। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে আপ সুপ্রিমোর বার্ষিক আয় ছিল ৭.২১ লক্ষ টাকা। লক্ষ্য করার বিষয়, ২০২০ সালেই এই রোজগারের অঙ্কটা ছিল ৪৪.৯০ লক্ষ টাকা।
নয়া দিল্লি: তাঁর সরকারি বাসভবনে নাকি কোটি টাকার পর্দ লাগানো। এদিকে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর নিজস্ব বাড়ি বা গাড়ি- কিছুই নেই। নির্বাচনী হলফনামায় এমনটাই জানিয়েছেন আম আদমি পার্টির সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরীবাল। নির্বান কমিশনে জমা পড়া তথ্য অনুযায়ী, বাড়ি-গাড়ি না থাকলেও, কেজরীবালের সম্পত্তির পরিমাণ ১.৭৩ কোটি টাকা।
কত সম্পত্তি কেজরীবালের?
নির্বাচনী হলফনামা অনুযায়ী, দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবালের অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ৩.৪৬ লাখ টাকা। এর মধ্যে তাঁর ব্যাঙ্কে ২.৯৬ লাখ টাকা রয়েছে। হাতে নগদ রয়েছে ৫০ হাজার টাকা। স্থাবর সম্পত্তি বলতে গাজিয়াবাদে একটি ফ্ল্যাট রয়েছে ১.৭ কোটি টাকার। কোনও মিউচুয়াল ফান্ড, ফিক্সড ডিপোজিট নেই কেজরীবালের। নেই জীবনবিমাও।
বিধায়কের বেতন থেকেই সংসার চলে কেজরীবালের। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে আপ সুপ্রিমোর বার্ষিক আয় ছিল ৭.২১ লক্ষ টাকা। লক্ষ্য করার বিষয়, ২০২০ সালেই এই রোজগারের অঙ্কটা ছিল ৪৪.৯০ লক্ষ টাকা।
ধনী স্ত্রী-
কেজরীবালের বিশেষ ধনসম্পত্তি না থাকলেও, তাঁর স্ত্রী সুনীতা কেজরীবালের সম্পত্তি স্বামীর দ্বিগুণ। প্রাক্তন সরকারি কর্মী সুনীতার মোট সম্পত্তি ২.৫ কোটি টাকা। তাঁর অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণই ১ কোটি টাকা। আছে ৩২০ গ্রাম সোনা, যার দাম আনুমানিক ২৫ লক্ষ টাকা এবং ১ কেজি রুপো, যা দাম ৯২ হাজার টাকা।
স্থাবর সম্পত্তি বলতে গুরুগ্রামে সুনীতা কেজরীবালের নামে একটি বাড়ি রয়েছে, যার দাম ১.৫ কোটি টাকা। কেজরীবালের স্ত্রী পেনশন পান। তাঁর বার্ষিক আয় ১৪.১০ লক্ষ টাকা, যা কেজরীবালের আয়ের দ্বিগুণ।
স্বামী-স্ত্রী মিলিয়ে মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৪.২৩ কোটি টাকা। ২০২০ সালে তাদের মোট সম্পত্তি ছিল ৩.৪ কোটি টাকার। তার আগে ২০১৫ সালে ২.১ কোটি টাকার সম্পত্তি ছিল কেজরীবাল দম্পতির।
অন্যদিকে, কেজরীবালের বিরুদ্ধে ১৪টি মামলা রয়েছে বলেই জানানো হয়েছে হলফনামায়।
আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি দিল্লি বিধানসভা নির্বাচন। ভোটের ফল প্রকাশ হবে ৮ ফেব্রুয়ারি। ২০১৩ সাল থেকেই নয়া দিল্লি আসন থেকে লড়ছেন কেজরীবাল। এবার তাঁর বিরুদ্ধে বিজেপি পরভেশ ভার্মা ও কংগ্রেস সন্দীপ দিক্ষিতকে প্রার্থী করেছে।