Sukanya Mondal: সুকন্যাকে হেফাজতে নেওয়া কেন প্রয়োজন? আদালতে জানাল ED, কেষ্টকন্যার ৩ দিনের হেফাজত
Cow Smuggling Case: রাউস এভিনিউ কোর্টের বিচারক রঘুবীর সিংয়ের এজলাসে অতি অল্প সময়ের শুনানি হয়। মাত্র দশ মিনিটেরও কম সময়ে শুনানি পর্ব মিটে যায় এবং বিচারক সুকন্য়াকে তিন দিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
নয়া দিল্লি: গরুপাচার মামলায় (Cow Smuggling Case) গ্রেফতার সুকন্যা মণ্ডলকে (Sukanya Mondal) বৃহস্পতিবার পেশ করা হয়েছিল দিল্লির রাউস এভিনিউ কোর্টে। সকালে একদফা স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর এদিন দুপুর প্রায় তিনটে নাগাদ অনুব্রত-কন্যা সুকন্যাকে আদালতে নিয়ে আসে ইডি। সঙ্গে ছিলেন ইডির মহিলা অফিসাররাও। রাউস এভিনিউ কোর্টের বিচারক রঘুবীর সিংয়ের এজলাসে অতি অল্প সময়ের শুনানি হয়। মাত্র দশ মিনিটেরও কম সময়ে শুনানি পর্ব মিটে যায় এবং বিচারক সুকন্য়াকে তিন দিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, এদিন সুকন্যাকে দিল্লির রাউস এভিনিউ কোর্টে পেশ করে তাঁকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। ইডির তরফে এদিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন আইনজীবী নীতেশ রানা। অন্যদিকে সুকন্যার আইনজীবী অমিত কুমার ইডি হেফাজতের বিরোধিতা করেন। বিচারক রঘুবীর সিং এদিন আদালতে সুকন্যার আইনজীবী অমিত কুমারকে জিজ্ঞেস করেন, কেন তিনি ইডি হেফাজতের বিরোধিতা করছেন। জবাবে সুকন্যার আইনজীবী বলেন, তাঁর মক্কেল তদন্তকারী সংস্থাকে সবরকমভাবে সহযোগিতা করছে। এর আগে শারীরিক অসুস্থতার কারণে তিনি হাজিরা দিতে পারেননি এবং সেই কথা আইনজীবী মারফত ইডিকে জানিয়েছিলেন।
কেষ্টকন্যার আইনজীবীর বক্তব্য, ‘সুকন্যাকে প্রথম দফায় টানা তিনদিন, দ্বিতীয় দফায় গতকাল দিনভর জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। যা যা নথিপত্র চাওয়া হয়েছিল সব জমা দেওয়া হয়েছে। তাহলে ফের হেফাজতে নেওয়ার প্রয়োজন কী?’
অন্যদিকে ইডির আইনজীবী নীতেশ রানাকেও বিচারক প্রশ্ন করেন কেন সুকন্যাকে ইডির হেফাজতে নেওয়ার প্রয়োজন। বিচারকের প্রশ্নে ইডির আইনজীবী জানান, ‘সুকন্যার বিপুল সম্পত্তির উৎস কি, কোথায় বিনিয়োগ হয়েছে টাকা, ব্যাংক অ্যাকাউন্টে কোটি কোটি টাকা লেনদেনের বিষয়ে বিস্তারিত জেরার প্রয়োজন রয়েছে। এর আগে অনুব্রত ঘনিষ্ঠ যাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে, প্রত্যেকেই সুকন্যার নাম উল্লেখ করেছে।’
দুই পক্ষের বক্তব্য শোনার পর এদিন বিচারক সুকন্যাকে তিনদিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। উল্লেখ্য, সুকন্যার আইনজীবী আদালতে এও আবেদন জানিয়েছেন, যাতে ইডির হেফাজতে থাকাকালীন প্রতিদিন আধ ঘণ্টাকে করে সুকন্যাকে আইনজীবীর সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হয়। যদিও সেই বিষয়ে কোনও নির্দেশ এখনও দেননি বিচারক।