Delhi Cyber Crime: ‘অ্যামাজন থেকে বলছি’, এরম ফোন এলেই একটু সাবাধান! নইলে সর্বস্বান্ত হতে পারেন
Mobile Fraud: দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, প্রযুক্তিগত সহায়তার নাম করে ওই কল সেন্টার থেকে মার্কিন নাগরিকদের থেকে প্রায় ৩৫ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে।
নয়া দিল্লি: আজকের এই সময়ে প্রতারণা নিত্তনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিদিন টিভি বা সংবাদপত্র খুললেই বিভিন্ন রকমের প্রতারণার ঘটনা শুনতে পাওয়া যায়। কখনও মোবাইলে আসা কোনও লিঙ্ক অথবা কোনও ফোন জীবনে অন্ধকার নামিয়ে আনতে পারে। তাই সাইবার বিশেষজ্ঞ (Cyber Crime Expert) থেকে পুলিশ, বারবার এই সব সাধারণ বিষয়গুলি নিয়েও সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। মানুষকে বোকা বানাতে কল সেন্টার (Call Centre) গুলিকেও হাতিয়ার করে অসাধু চক্র। এমনই এক অসাধু চক্রের পর্দাফাঁস করল দিল্লি পুলিশ। ওই কল সেন্টার আন্তর্জাতিক স্তরে প্রতারণার জাল বিস্তার করেছিল বলেই জানা গিয়েছে। টেকনিক্যাল সাপোর্ট দেওয়ার নাম করে ওই কল সেন্টার থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে।
দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, প্রযুক্তিগত সহায়তার নাম করে ওই কল সেন্টার থেকে মার্কিন নাগরিকদের থেকে প্রায় ৩৫ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে। ওই কল সেন্টারে অভিযান চালিয়ে ৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সোমবার দক্ষিণ পূর্ব দিল্লির ডেপুটি কমিশনার ঈশা পাণ্ডে জানিয়েছেন, অর্জুন সিং বিষ্ট, কপিল সিং নেগি, মহম্মদ তালহা, অঙ্কিত যাদব, সন্তোষ শ্রীবাস্তব, ভ্যানেংমাওইয়া, মহম্মদ নাদির, এবং আরিশ বেগকে এই প্রতারণ চক্রের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, “গোপন সূত্রে আমাদের কাছে খবর এসেছিল ওখলা বিহারের জামিয়া নগরে একটি আন্তর্জাতিক কল সেন্টার চলছিল। পুলিশের একটি দল সেখানে অভিযানে ৬ জনকে গ্রেফতার করে। তাদেরকে জেরা করে জানা গিয়েছে জনপ্রিয় ই-কমার্স সংস্থা অ্যামাজন ও পেপালের নাম করে মার্কিন নাগরিকদের সঙ্গে কথা বলে তাদের থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে। তাদেরকে একটি অ্যান্টি ভাইরাস ডাউনলোড করতে বলা হত এবং অ্যামাজন, গুগল পে এবং গিফ্ট কার্ডের নাম করে টাকা হাতিয়ে নেওয়া হত। পরে সেই টাকা ভারতীয় মুদ্রায় পরিবর্তন করে নেওয়া হত।” আম্যাজনের মতো এই রকম জনপ্রিয় সংস্থার নাম করে এই ধরনের প্রতারণায় চিন্তিত পুলিশও। পুলিশের দাবি, দেশের বাসিন্দাদের ক্ষেত্রেও এই ধরনের সম্ভাবনা রয়েছে, তাই সতর্ক থাকা প্রয়োজন।