‘আলোচনায় আসুন, আন্দোলন প্রত্যাহার করুন’, নমনীয় হয়ে কৃষকদের কাছে আবেদন কেন্দ্রের

আনুষ্ঠানিকভাবে আন্দোলন প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমার। তাঁর আবেদন, 'আলোচনার পথে আসুন।'

'আলোচনায় আসুন, আন্দোলন প্রত্যাহার করুন', নমনীয় হয়ে কৃষকদের কাছে আবেদন কেন্দ্রের
কৃষকদের বলে দেওয়া হয়েছে, 'বল এবার আপনাদের কোর্টে- ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Updated on: Dec 11, 2020 | 9:09 AM

দিল্লি: নিজের অবস্থানে অনড় নরেন্দ্র মোদী সরকার। তবে ধৈর্য্যের পরীক্ষা দিচ্ছেন কৃষকরাও। রয়েছে কোভিডের ভয়, সঙ্গে দিল্লিতে নিম্নমুখী তাপমাত্রা। তবে দিল্লির আবহ উত্তপ্ত কৃষকদের অনড় মনোভাবেই। দাবি না মানা হলে এবার রেল রোকো আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন তাঁরা। আন্দোলন আরও জোরদার হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন (Farmers’s Agitation)। এবার কিছুটা হলেও নমনীয় কেন্দ্র। আনুষ্ঠানিকভাবে আন্দোলন প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমার। তাঁর আবেদন, ‘আলোচনার পথে আসুন।’

তোমার বলেন, “আমরা আলোচনার জন্য প্রস্তুত। আলোচনার মাধ্যমেই কোনও সমাধানসূত্র খুঁজে বার করতে হবে। আপনারা পরবর্তী আন্দোলনের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করুন।”

তিনি আরও জানান, “সরকার কোনওরকম অহংকার দেখাচ্ছে না। সরকার আপনাদের সঙ্গে খোলা মনে আলোচনার জন্য প্রস্তুত। আপনাদের তরফ থেকে সবুজ সঙ্কেত মিললেই সরকার আলোচনার পথে হাঁটবে। ”

তবে বিক্ষোভকারী কৃষকরা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, কেন্দ্র যদি তাঁদের দাবি না মানে, রেল রোকো আন্দোলনের পথে যাবেন তাঁরা। বন্ধ করে দেওয়া হবে ট্রেন চলাচল। বৃহস্পতিবার সিঙ্ঘু সীমান্তে দাঁড়িয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে কৃষক নেতারা জানান, দু’সপ্তাহ ধরে প্রতিবাদ চলছে। তবে সমস্যা সমাধানের কোনও পথ দেখছেন না তাঁরা। কৃষক নেকা বুটা সিং জানান, দাবি না মানা হলে কৃষকরা যেমন রাস্তা নেমে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন, তেমনি রেল অবরোধও করবে।

তবে বুধবারই এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, “শাহিন বাগের আন্দোলনের পর সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট বলে দিয়েছে প্রতিবাদের নামে সাধারণ মানুষের ব্যবহারের রাস্তা বা এলাকা অনির্দিষ্ট কালের জন্য অবরোধ করে রাখা যাবে না। প্রতিবাদ-বিক্ষোভ হতে হবে নির্দিষ্ট এলাকায়। সব এলাকা অবরোধমুক্ত করতে পদক্ষেপ করতেই হবে।”

আরও পড়ুন: ধর্ষণের ভিডিয়ো ফাঁস করে দেওয়ার হুমকি দেখিয়ে নির্যাতন নাবালিকাকে, ধৃত তিন সহ এক নাবালক

তিন আইনে বেশ কিছু সংশোধন করতে রাজি বলে সরকার বৃহস্পতিবার জানিয়েছে। কিন্তু কৃষক নেতারা সরকারের প্রস্তাব খারিজ করে দিয়ে জানিয়ে দেন, আইনগুলিই প্রত্যাহার করতে হবে। তাঁদের বক্তব্য, পোটা, টাডা, মিসা-র মতো আইনও প্রত্যাহার করা হয়েছে। এই তিন কৃষি আইন প্রত্যাহার করলে সরকারের কী ক্ষতি হবে? তাঁরা যে পিছু হটছেন না স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন।