Arvind Kejriwal: মন্ত্রীকে বরখাস্ত করার দাবি! কেজরীবালকে একযোগে নিশানা কংগ্রেস-বিজেপির
Satyendar Jain: সত্যেন্দ্রর গ্রেফতারির পর দিল্লি বিজেপির সভাপতি আদেশ গুপ্ত কেজরীবালের পাশাপাশি আম আদমি সরকারকেও নিশানা করেছেন।
নয়া দিল্লি: দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টির সর্বোচ্চ নেতা অরবিন্দ কেজরীবালকে একযোগে আক্রমণ করল কংগ্রেস-বিজেপি। গতকালই হাওয়ালা মামলায় দিল্লি সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈনকে গ্রেফতার করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি। তাৎপর্যপূর্ণভাবে ইডির এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে কংগ্রেস-বিজেপি। সত্যেন্দ্রর গ্রেফতারিকে স্বাগত জানানোর পাশাপাশি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করেছে তারা। বিরোধীদের দাবি, সত্যেন্দ্রকে মন্ত্রিসভা থেকে বহিষ্কার করুন কেজরীবাল। বেআইনি অর্থ পাচার মামলায় ইডির হাতে দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রীর গ্রেফতারি নিয়ে নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে রাজধানীর রাজনীতি। সোমবার সত্যেন্দ্র জৈনকে কয়েক ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পরই গ্রেফতার করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
সত্যেন্দ্রর গ্রেফতারির পর দিল্লি বিজেপির সভাপতি আদেশ গুপ্ত কেজরীবালের পাশাপাশি আম আদমি সরকারকেও নিশানা করেছেন। তাঁর দাবি, বিজেপি দীর্ঘদিন ধরে আপের দুর্নীতি নিয়ে সরব হয়েছিল। “কেজরীবাল বরাবরই তাঁর দলের লোকেদের করা দুর্নীতি নিয়ে মৌন থেকেছেন। ইডির হাতে সত্যেন্দ্র জৈনের গ্রেফতারির কয়েকদিন আগেই দুর্নীতির অভিযোগে পঞ্জাবের এক মন্ত্রীকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। মানুষ চাইছে কেজরীবাল এই নিয়ে মুখ খুলুন।” বলেন আদেশ গুপ্ত। প্রসঙ্গত, পঞ্জাবের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিজয় সিংলার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠা মাত্রই তাঁকে মন্ত্রিসভা থেকে বহিষ্কার করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান। বহিষ্কার হওয়া মাত্রই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। আদেশ গুপ্তা বলেন, আপ নেতা সব সময় সততার কথা বলেন, কিন্তু এখন মানষ জানতে চাইছে, যে কখন তিনি সত্যেন্দ্রেকে মন্ত্রিসভা থেকে বরখাস্ত করবেন। দিল্লি কংগ্রেসের সভাপতি অনিল কুমারও জৈনের গ্রেফতারিকে ‘সঠিক পদক্ষেপ’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। কুমার বলেন, “জৈনকে অনেকদিন আগেই গ্রেফতার করা উচিত ছিল। বছরের পর বছর কেজরীবাল তাঁকে আড়াল করেছেন।”
উল্লেখ্য, সোমবার বিকালে দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈনকে অর্থ পাচার মামলায় গ্রেফতার করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। কলকাতার এক সংস্থার সঙ্গে হাওয়ালা লেনদেনে যুক্ত থাকার অভিযোগে এই মামলা দায়ের করা হয়েছিল। গত এপ্রিলে আয়-ব্যয়ের গরমিল থাকার কারণে সত্যেন্দ্র জৈনের পারিবার এবং মালিকানাধীন ও নিয়ন্ত্রিত সংস্থাগুলির ৪.৮১ কোটি টাকার সম্পত্তি অস্থায়ীভাবে অ্যাটাচ করেছিল ইডি। পঞ্জাব ভোটের আগেই জৈনের গ্রেফতারি নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন অরবিন্দ কেজরীবাল।