G Kishan Reddy: ভগবানও জানে না বিজেপির সভাপতি কে হবেন: জি কিষাণ রেড্ডি
WITT 2025: আসন পুনর্গঠন প্রসঙ্গে রেড্ডি সীমানা নির্ধারণের বিষয়ে জি কিষাণ রেড্ডি বলেন, কোনও রাজ্যের প্রতি কোনও অবিচার হবে না। প্রধানমন্ত্রী মোদীও একথা বলেছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছেন।"

নয়া দিল্লি: বলিউডে যেমন নেপোটিজমের অভিযোগ, তেমনই রাজনীতিতেও পরিবারতন্ত্রের প্রভাব স্পষ্ট। এই স্বজনপ্রীতি, পরিবারতন্ত্রকেই টিভি৯ নেটওয়ার্কের ‘হোয়াট ইন্ডিয়া থিঙ্কস টুডে’ কনক্লেভ থেকে আক্রমণ করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডি। তিনি বললেন, “বিজেপিতে জেপি নাড্ডার পরে কে দলের সভাপতি হবেন তা ঈশ্বরও জানেন না, কিন্তু ডিএমকেতে এমকে স্ট্যালিনের পরে কে সভাপতি হবেন, তা সকলেই জানেন।”
WITT-র মঞ্চ থেকে জি কিষাণ রেড্ডি বলেন, “বিজেপিতে জেপি নাড্ডার পরে কে দলের সভাপতি হবেন তা ঈশ্বরও জানেন না, কিন্তু ডিএমকেতে এমকে স্ট্যালিনের পরে কে সভাপতি হবেন, তা সকলেই জানেন। একইভাবে, কেসিআরের পরে বিআরএসের সভাপতি কে হবেন, তা সকলেই জানেন। সবাই জানে কংগ্রেসের পরবর্তী সভাপতি কে হবেন। সনিয়া গান্ধীর পর রাহুল, রাহুলের পর প্রিয়াঙ্কা এবং তারপর তাঁর ছেলে…কারণ রাহুল গান্ধী বিবাহিত নন।”
জি কিষাণ রেড্ডি বলেন, “আমরা দেশ সংস্কারের জন্য রাজনীতিতে এসেছি। কেবল রাজনীতির মাধ্যমেই আমরা একটি উন্নত ভারতের স্বপ্ন দেখতে পারি এবং তা গড়ে তুলতে পারি। যদি বিজেপি ক্ষমতায় না আসত এবং নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী না হতেন, তাহলে ৩৭০ ধারা কখনই অপসারণ করা হত না। আমরা ৫০০০ বছর ধরে চলা রাম জন্মভূমি সমস্যার সমাধান করেছি। পাকিস্তানের আইএসআই কার্যক্রম বন্ধ হয়েছে।”
কোনও রাজ্যের প্রতি কোনও অবিচার হবে না:
ডিলিমিনেশন বা আসন পুনর্গঠন প্রসঙ্গে রেড্ডি সীমানা নির্ধারণের বিষয়ে জি কিষাণ রেড্ডি বলেন, কোনও রাজ্যের প্রতি কোনও অবিচার হবে না। প্রধানমন্ত্রী মোদীও একথা বলেছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছেন। আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি যে সমস্ত রাজ্য ন্যায়বিচার পাবে। আসনের ক্ষেত্রেও কোনও পার্থক্য হবে না। আমরা এই বিষয়ে খোলা আলোচনা করব। কে বলবে কখন সীমানা নির্ধারণ হবে? মন্ত্রিসভায় কিছু আলোচনা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, “সীমানা নির্ধারণ ২০২৯ সালে হবে। আর তামিলনাড়ুর নির্বাচন ছয় মাস পর। তাই সীমানা নির্ধারণ নিয়ে এত কথা। এই মুহূর্তে উনি (স্ট্যালিন) হিন্দি ভাষাকে নিশানা করেছেন। এটা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক কৌশল। তামিলনাড়ুর জনগণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে তাদের সরকার পরিবর্তন করতে হবে। এখানে ব্যাপক দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতি রয়েছে। এর ফলে, মানুষের দৃষ্টি অন্যদিকে সরাতে বিভিন্ন নতুন বিষয় খোঁজা হচ্ছে। কিন্তু সত্য হল তামিল জনগণ স্ট্যালিনের সরকার পরিবর্তন করতে চায়। উত্তর ভারতে বিজেপি শক্তিশালী, কিন্তু দক্ষিণ ভারতে তা নয়, তাই একটি কৌশল বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।”





