Video: হাতির মুখ থেকে পড়ছিল ফোঁটা ফোঁটা…, চরণামৃত ভেবে এটা কী খেল ভক্তকুল!

Mathura Banke Bihari Temple: মন্দিরের ভিতর একটি হাতির ভাস্কর্য থেকে ফোঁটা ফোঁটা করে জল পড়ছে। বাঁকে বিহারী মন্দিরের ভিতর হাতির শুঁড় থেকে জল পড়ছে, এটা ভগবান কৃষ্ণের 'চরণামৃত' ছাড়া আর কি বা হতে পারে? কাজেই, অন্ধ বিশ্বাসে সেই জল পান করা শুরু করেছিল ভক্তকুল।

Video: হাতির মুখ থেকে পড়ছিল ফোঁটা ফোঁটা..., চরণামৃত ভেবে এটা কী খেল ভক্তকুল!
বাঁকে বিহারী মন্দিরের গায়ের হাতির মূর্তি থেকে চুঁইয়ে পড়া জলই চরমামৃত ভেবে খেলেন ভক্তরা Image Credit source: Twitter
Follow Us:
| Updated on: Nov 04, 2024 | 4:46 PM

মথুরা: মথুরার বিখ্যাত বাঁকে বিহারী মন্দির। মন্দিরের ভিতর একটি হাতির ভাস্কর্য থেকে ফোঁটা ফোঁটা করে জল পড়ছিল। বাঁকে বিহারী মন্দিরের ভিতর হাতির শুঁড় থেকে জল পড়ছে, এটা ভগবান কৃষ্ণের ‘চরণামৃত’ ছাড়া আর কি বা হতে পারে? অন্ধ বিশ্বাসে সেই জল পান করা শুরু করেছিল ভক্তকুল। কেউ কেউ কাগজের কাপ এনে তা ভরে নিচ্ছিল, তারপর পান করছিল। কেউ কেউ এই ‘পবিত্র জলে’র ফোঁটা সরাসরি আঁজলা করেই পান করে নিচ্ছিল। কেউ কেউ তা মাথায় ছিটিয়ে প্রণাম করছিল। তারপর জানা গেল, ওটা মোটেই চরণামৃত নয়। ওই জল আসলে মন্দিরের একটি এয়ারকন্ডিশন যন্ত্র থেকে গড়িয়ে পড়া জল। আমাদের অনেকের বাড়ির এসি যন্ত্রেই এই সমস্যা দেখা যায়। আর যে জল যথেষ্ট দূষিতও বটে।

এই অন্ধ বিশ্বাসের ঘটনার একটি ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। মন্দিরের এক দর্শনার্থীই সেটি রেকর্ড করেছেন। ভিডিয়োটিতে দেখা যাচ্ছে, এসি থেকে চুঁইয়ে পড়া ওই জল যারা খাচ্ছিলেন, ভিডিয়ো রেকর্ড করা ব্যক্তি তাঁদের ভুল ধরিয়েও দিচ্ছেন। তাঁকে বলতে শোনা যায়, “দিদি, এটা এসি থেকে পড়া জল, ঠাকুরের চরণামৃত নয়। মন্দিরের পুরোহিতরাও এটা বলেছেন। তবে, তাঁর কথায় কে কান দেয়, বিশ্বাসে মিলায় বস্তু…। তাই, তিনি সতর্ক করার পরও অসংখ্য ভক্ত ওই জল পান করেছেন, মাথায় ছিটিয়েছেন, বোতলে সংগ্রহ করে গিয়েছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিয়োটি পোস্ট করে সঙ্গের ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, ‘শিক্ষার অত্যন্ত প্রয়োজন। মানুষ ঈশ্বরের চরণামৃত মনে করে এসির জল পান করছে!’

এই ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় মিশ্র প্রতিক্রিয়ার জন্ম দিয়েছে। কেউ কেউ ভক্তদের সারল্যের কথা বলে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে। তারা বলেছে, হাতির ভাস্কর্য থেকে ফোঁটা ফোঁটা করে চরণামৃত পড়ার বদলে এসির জল পড়ছে, তা তারা বুঝবে কীকরে? তবে অধিকাংশ ব্যক্তিই বৈজ্ঞানিক চিন্তাভাবনার অভাব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। অন্ধের মতো অন্যদের অনুসরণ না করে, কেউ নিজের মাথা খাটায় না কেন, সেই প্রশ্ন উঠেছে। ভারতে কুসংস্কার ও অজ্ঞতার মাত্রা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন কেউ কেউ। মন্দির কর্তৃপক্ষ কেন সেখানে কোনও সতর্কতার ব্যবস্থা করেনি, সেই প্রশ্নও উঠেছে।

এক চিকিৎসক জানিয়েছেন, এয়ার কন্ডিশনার সিস্টেমগুলি ছত্রাক-সহ অনেক ধরণের সংক্রমণের প্রজনন ক্ষেত্র। বিশেষ করে, এয়ার কন্ডিশনারের ঘনীভূত জল থেকে লেজিওনারিস নামে এক ভয়ঙ্কর রোগ হতে পারে। যা থেকে নিউমোনিয়া হয়ে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। তাই, এয়ার কন্ডিশনিংয়ের জল পান করা একেবারেই উচিত নয়।