Rudram-II Missile: ধ্বংস হবে শত্রুর রাডার, বইবে ২০০ কেজি পেলোড, সাক্ষাৎ মৃত্যুর নাম রুদ্রম-২

Rudram-II Missile: একেবারে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি একটি বায়ু থেকে স্থলে নিক্ষেপ করার ক্ষেপণাস্ত্র। অর্থাৎ,যুদ্ধবিমান থেকে মাটিতে থাকা লক্ষ্যবস্তুকে ধ্বংস করার জন্যই তৈরি এই ক্ষেপণাস্ত্র। বুধবার (২৯ মে), এই ভয়ানক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা ছিল। তাতে ১০০ শতাংশ নম্বর নিয়ে পাশ করেছে এই ক্ষেপণাস্ত্র। সফলভাবে আঘাত করেছে নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে।

Rudram-II Missile: ধ্বংস হবে শত্রুর রাডার, বইবে ২০০ কেজি পেলোড, সাক্ষাৎ মৃত্যুর নাম রুদ্রম-২
সবকটি লক্ষ্য অর্জনেই সফল হয়েছে রুদ্রম-২ ক্ষেপণাস্ত্রImage Credit source: Twitter
Follow Us:
| Updated on: May 29, 2024 | 11:39 PM

নয়া দিল্লি: বলা যেতে পারে সাক্ষাৎ মৃত্যু। চিন-পাকিস্তানের মোকাবিলায় এমনই এক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করল ভারত। ২০০ কেজি পর্যন্ত পেলোড বহন করতে পারে। রেডিও সিগনালের সূত্র ধরে শত্রুপক্ষকে ধ্বংস করতে পারে এই ক্ষেপণাস্ত্র। রুদ্রম-২ (RudraM-II) ক্ষেপণাস্ত্রের কথা হচ্ছে। একেবারে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি একটি বায়ু থেকে স্থলে নিক্ষেপ করার ক্ষেপণাস্ত্র। অর্থাৎ,যুদ্ধবিমান থেকে মাটিতে থাকা লক্ষ্যবস্তুকে ধ্বংস করার জন্যই তৈরি এই ক্ষেপণাস্ত্র। বুধবার (২৯ মে), এই ভয়ানক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা ছিল। তাতে ১০০ শতাংশ নম্বর নিয়ে পাশ করেছে এই ক্ষেপণাস্ত্র। সফলভাবে আঘাত করেছে নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে।

ভারতীয় বায়ুসেনার সহযোগিতায় রুদ্রম-২ ক্ষেপণাস্ত্রের এই পরীক্ষাটি করেছে ডিআরডিও (DRDO)। বায়ুসেনার একটি সুখোই-৩০ মার্ক-১ (Su-30 MK-I) ফাইটার জেট, এদিন সকাল সাড়ে এগারোটায় সমুদ্রে ভাসমান একটি লক্ষ্যবস্তুকে লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্রটি নিক্ষেপ করে এবং ধ্বংস করে। ডিআরডিও জানিয়েছে, পরীক্ষায় সবকটি লক্ষ্য অর্জনেই সফল হয়েছে রুদ্রম-২ ক্ষেপণাস্ত্র। সেই সঙ্গে, ক্ষেপণাস্ত্রটির প্রোপালশন সিস্টেম, কন্ট্রোল এবং গাইডেন্সও ভালভাবে কাজ করেছে। পরীক্ষার সময় রাডার, টেলিমেট্রি স্টেশন এবং স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ক্ষেপণাস্ত্রটির গতিপথের উপর নজর রাখা হয়েছিল। পাশাপাশি নজর রেখেছিল বঙ্গোপসাগরে মোতায়েন নৌবাহিনীর জাহাজও।

সশস্ত্র বাহিনীকে একের পর এক যুদ্ধাস্ত্র দিয়ে ভারতের সুরক্ষা ব্যবস্থাকে ক্রমশ মজবুত করে চলেছে ডিফেন্স রিসার্চ ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন। রুদ্রম-২ তাদের সাম্প্রতিকতম উপহার। এটিই ভারতের প্রথম দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি অ্যান্টি-রেডিয়েশন মিসাইল। শত্রুপক্ষের রেডিয়ো সঙ্কেতের উত্স সনাক্ত করে সেগুলিকে ধ্বংস করে যে ক্ষেপণাস্ত্রগুলি, সেগুলিকেই বলা হয় অ্যান্টি-রেডিয়েশন মিসাইল বা এআরএম। শত্রুপক্ষের রাডার (যা দিয়ে বিমান বা অন্য কোনও উড়ন্ত বস্তুর উপর নজরদারি করা হয়), জ্যামার, যোগাযোগের স্টেশনগুলিকে ধ্বংস করে এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলি। ভারত বর্তমানে রাশিয়ার তৈরি কেইচ-৩১ (Kh-31) নামে একটি অ্যান্টি-রেডিয়েশন মিসাইল ব্যবহার করে।

প্রদর্শনীতে রুদ্রম-২ ক্ষেপণাস্ত্র

রুদ্রম-২ ২০০ কেজি পর্যন্ত বিস্ফোরক বহন করতে পারে। ৩ থেকে ১৫ কিলোমিটার উচ্চতা থেকে ক্ষেপণাস্ত্রটি উৎক্ষেপণ করা যায়। বিমানের হ্যাঙ্গার, বাঙ্কার এবং রানওয়ের মতো লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করতে পারে এই ক্ষেপণাস্ত্র। অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল, ক্ষেপণাস্ত্রটির নির্ভুল ভেদশক্তি। অর্থাৎ, একবার রুদ্রম-২ ছোড়া হলে লক্ষ্যবস্তুকে সে ধ্বংস করবেই। আর এতটাই নির্ভুলভাবে লক্ষ্যবস্তুকে আঘাত করে যে, তার আশেপাশের এলাকায় কোনও ক্ষয়ক্ষতি হবে না। তবে, রুদ্রম-২ ক্ষেপণাস্ত্রের সবথেকে বড় বৈশিষ্ট্য হল, এটিকে রেডিও সঙ্কেত দেয়, এমন যে কোনও বস্তুকে ধ্বংস করতে পারে। কাজেই শত্রুপক্ষের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে এই ক্ষেপণাস্ত্রটি।

রুদ্রম-২ এর পরীক্ষা সফল হওয়ায় ডিআরডিও এবং আইএএফ-কে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী। রাজনাথ সিং বলেছেন, এই পরীক্ষা সফল হওয়ায়, সশস্ত্র বাহিনীর শক্তি কয়েক গুণে বেড়ে গেল।