CAA-তে নাগরিকত্ব পাওয়া শুরু বাংলায়! আর আটকাতে পারবেন মমতা?
Citizenship Certificates Given in Bengal: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারংবার বলেছেন, বাংলায় নাগরিকত্ব (সংশোধনী) আইন বা সিএএ প্রয়োগ করতে দেবেন না। কিন্তু, ইতিমধ্যেই এই আইনের অধীনে ভারতের নাগরিকত্বের শংসাপত্র হাতে পেতে শুরু করেছেন বাংলার মানুষ। বুধবার (২৯ মে), এমনটাই জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। আর কি আটকাতে পারবেন মমতা?
নয়া দিল্লি: বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারংবার বলেছেন, বাংলায় নাগরিকত্ব (সংশোধনী) আইন বা সিএএ প্রয়োগ করতে দেবেন না। কিন্তু, ইতিমধ্যেই এই আইনের অধীনে ভারতের নাগরিকত্বের শংসাপত্র হাতে পেতে শুরু করেছেন বাংলার মানুষ। সিএএ-র অধীনে নাগরিকত্বের শংসাপত্র দেওয়া শুরু হওয়ার দুই সপ্তাহের মধ্যেই। বুধবার (২৯ মে), এমনটাই জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। মন্ত্রক জানিয়েছে, হরিয়ানা এবং উত্তরাখণ্ডে ইতিমধ্যেই প্রথম সেটের আবেদনকারীদের নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে। বাংলাতেও এই প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে এই আইন পাস হয়েছিল। আইন অনুযায়ী, পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং বাংলাদেশ থেকে ধর্মীয় নিপীড়নের কারণে, ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর বা তার আগে ভারতে পালিয়ে আসা অমুসলিম উদ্বাস্তুদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া হবে।
আগে, এই উদ্বাস্তুদের ভারতের নাগরিকত্ব পেতে অন্তত এগারো বছর ভারতে থাকতে হত। নয়া আইনে এই সময়কাল কমিয়ে পাঁচ বছর করা হয়েছে। ২০১৯ সালেই পাস হলেও, তারপর এই আইন নিয়ে দেশজোড়া বিতর্কের মুখে আইনটি তৎক্ষণাত বাস্তবায়িত করা যায়নি। চলতি বছরের মার্চে এই আইন বিজ্ঞাপিত হয়েছিল এবং আইনের বিধিগুলি প্রকাশ করা হয়েছিল। এরপর, ১৫ মে নয়া দিল্লিতে এই আইনের অধীনে ভারতের নাগরিকত্বের আবেদন করা ব্যক্তিবর্গের হাতে প্রথম নাগরিকত্বের শংসাপত্র তুলে দেওয়া হয়েছিল। এর দুই সপ্তাহ যেতে না যেতেই পশ্চিমবঙ্গেও এই প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেল।
যদিও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, একের পর এক নির্বাচনী জনসভায় এখনও বলে যাচ্ছেন, তিনি তাঁর জীবন দিয়ে দেবেন, কিন্তু সিএএ, এনআরসি এবং অভিন্ন দেওয়ানি বিধির মতো বিজেপি সরকারের বিভেদকামী নীতিগুলি, বাংলা বাস্তবায়িত হতে দেবেন না। বুধবারও ডায়মন্ড হারবার নির্বাচনী এলাকার মেটিয়াবুরুজে আয়োজিত এক সমাবেশে মমতা বলেছেন, “সিএএ, এনআরসি বা ইউসিসি আমাদের বৈচিত্র্যকে মুছে দেবে। মানুষ যদি এই বিভেদের রাজনীতি না চায়, তাহলে তাদের অবশ্যই বিজেপির বিরুদ্ধে ভোট দিতে হবে।”
অন্যদিকে, বাংলায় এসে তাঁর নির্বাচনী বক্তৃতায়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সিএএ-র বিরোধিতা করা নিয়ে আক্রমণ করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসকে। তাঁর অভিযোগ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাসনে, বাংলায় অনুপ্রবেশকারীদের সংখ্যা বাড়ছে। তারাই তৃণমূলের ভোটব্যাঙ্ক। আর তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল সিএএ-র বিরোধিতা করছে। বুধবারও কাকদ্বীপের জনসভা থেকে মোদী বলেছেন, “বাংলার সীমান্ত এলাকার জনসংখ্যা পাল্টে যাচ্ছে। টিএমসি ধর্মীয় নির্যাতনের শিকার হওয়া সংখ্যালঘুদের নাগরিকত্ব দেওয়ার বিরুদ্ধে। কেন তারা সিএএ-র এত বিরোধিতা করছে? কেন এই তারা সিএএ নিয়ে মিথ্যা বলছে? তৃণমূল, হিন্দু এবং মতুয়া সম্প্রদায়কে বাংলায় থাকতে দিতে চায় না। সমাজের একটি বিশেষ অংশকে সন্তুষ্ট করার জন্য, টিএমসি সরকার প্রকাশ্যে সংবিধানকে আক্রমণ করছে। সংবিধানে দলিত এবং অনগ্রসর জাতিদের জন্য সংরক্ষণের কথা বলা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে সংরক্ষণ লুট করা হয়েছে। মুসলমানদের জাল ওবিসি সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছে।”