Supreme Court: অগ্রিম নোটিস ছাড়া ভোটারের নাম বাদ দেওয়া হবে না তালিকা থেকে, সুপ্রিম কোর্টে জানাল নির্বাচন কমিশন
Election Commission of India: শুক্রবার বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও বিচারপতি এসভিএন ভাট্টির বেঞ্চের জানানো হয়, ২০১৩ সালের ডিসেম্বর মাসেই নির্বাচন কমিশনের তরফে ভোটার তালিকা থেকে অন্যায়ভাবে বাদ দেওয়া নিয়ে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছিল।
নয়া দিল্লি: ভোটার তালিকা (Electoral Rolls) থেকে নাম বাদ দেওয়ার আগে অবশ্যই জানাতে হবে ভোটারকে (Voter)। সুপ্রিম কোর্টে এমনটাই জানাল নির্বাচন কমিশন (Election Commission of India)। এরপরই শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের তরফে তালিকা থেকে ভোটারদের নাম বাদ দেওয়ার বৈধতা নিয়ে পিটিশন খারিজ করা হল। ওই পিটিশনে ভোটারদের না জানিয়েই তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়া বা জনগণের বক্তব্য না শোনার যে নিয়ম, রেজিস্ট্রেশন অব ইলেকটরস রুলস, ১৯৬০-র ১৮ নম্বর নিয়মের সাংবিধানিক বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছিল।
শুক্রবার বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও বিচারপতি এসভিএন ভাট্টির বেঞ্চের জানানো হয়, ২০১৩ সালের ডিসেম্বর মাসেই নির্বাচন কমিশনের তরফে ভোটার তালিকা থেকে অন্যায়ভাবে বাদ দেওয়া নিয়ে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছিল। ওই চিঠি সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে পাঠানো হয়েছিল। সেই চিঠিতে ত্রুটিমুক্ত ভোটার তালিকা তৈরি করা নিয়ে নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছিল। সেই চিঠিতেই বলা হয়েছিল, “আইনি পদ্ধতি না মেনে কোনও ভোটারের নাম বাদ দেওয়া উচিত নয়। সমস্ত ক্ষেত্রেই ইলেকটর বা ভোটারকে তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়ার আগে জানাতে হবে।”
প্রসঙ্গত, এই মামলাটি দায়ের করেছিলেন প্রাক্তন আমলা এমজি দেবসহ্যম, সোমসুন্দর বুররা ও অদিতি মেহরা। তাঁদের অভিযোগ ছিল, ভোটারদের না জানিয়েই তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। গত জানুয়ারি মাসেই সুপ্রিম কোর্টে নির্বাচন কমিশন এই পিটিশনের জবাবে ওই চিঠির উল্লেখ করা হয়।
রেজিস্ট্রেশন অব ইলেকটরস রুলস, ১৯৬০-র ১৮ নম্বর রুলে বলা হয়েছে, ইলেকটোরাল অফিসারের কাছে যদি কোনও অভিযোগ দায়ের হয় এবং তিনি যদি ওই দাবি বা আপত্তি নিয়ে সন্তুষ্ট হন, তবে বিনা তদন্তেই ভোটার তালিকায় কারোর নাম নিয়ে আপত্তির অভিযোগ গ্রহণ করতে পারেন। অভিযোগ গৃহীত হলে, পরবর্তী ধাপে ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়া হয়।