ED Raid: ফেমা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ, বেঙ্গালুরুতে বাইজুর অফিসে হানা ইডি-র
Byju Office: বাইজুর সিইও বাইজু রবীন্দ্রন ও তাঁর সংস্থা থিঙ্ক অ্যান্ড লার্ন প্রাইভেট লিমিটেডের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলার প্রেক্ষিতেই এই অভিযান বলে জানা গিয়েছে। দ্য ফরেন এক্সচেঞ্জ ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্ট (ফেমা)-এর অধীনে মামলা দায়ের হয়েছে। শনিবার বেঙ্গালুরুর একটি বাসস্থান ও দুটি অফিসে অভিযান চালিয়েছে ইডি।
বেঙ্গালুরু: অনলাইন শিক্ষা সংক্রান্ত ওয়েবসাইট বাইজুর অফিসে হানা দিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। বাইজুর বেঙ্গালুরুর অফিসে শনিবার দুপুরে যান ইডি আধিকারিকরা। বিদেশি অনুদান সংক্রান্ত আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে এই অভিযান চালানো হয়েছে বলে জানানো হয়েছে ইডি-র তরফে। বাইজুর সিইও বাইজু রবীন্দ্রন ও তাঁর সংস্থা থিঙ্ক অ্যান্ড লার্ন প্রাইভেট লিমিটেডের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলার প্রেক্ষিতেই এই অভিযান বলে জানা গিয়েছে। দ্য ফরেন এক্সচেঞ্জ ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্ট (ফেমা)-এর অধীনে মামলা দায়ের হয়েছে। শনিবার বেঙ্গালুরুর একটি বাসস্থান ও দুটি অফিসে অভিযান চালিয়েছে ইডি। একাধিক কাগজপত্র ও নথি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে। এর পাশাপাশি অনেক ডিডিটাল তথ্যও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
বাইজুর অফিসে শনিবার হানা দিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। বিদেশি লেনদেনে গরমিলের অভিযোগে এই হানা বলে ইডি-র তরফে জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে ইডির দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “ফেমার অধীনে ২০১১ সাল থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে এই সংস্থা প্রায় ২৮ হাজার কোটি টাকার বিদেশি বিনিয়োগ গ্রহণ করেছে। এর পাশাপাশি ওই সংস্থা ৯ হাজার ৭৫৪ কোটি টাকা বিদেশের বিভিন্ন জায়গায় পাঠিয়েছে। বিদেশে বিনিয়োগ করার হয়েছে বলে এই সময়কালে এই বিপুল অঙ্কের টাকা বিদেশে পাঠিয়েছে।” ইডির তরফে আরও জানানো হয়েছে, বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংস্থার তরফে অভিযোগ ছিল বাইজুর বিরুদ্ধে। ২০২০-২১ অর্থবর্ষ থেকে অর্থনৈতিক বিবৃতি তৈরি করেনি বাইজু। অ্যাকাউন্টের অডিটও করানো হয়নি যা করানো বাধ্যতামূলক।
যদিও ইডি-র এই হানার পরই বিবৃতি দেওয়া হয়েছে বাইজুর তরফে। সেই বিবৃতিতে বাইজু জানিয়েছে, “আমরা পুরোপুরি স্বচ্ছ। কর্তৃপক্ষ আমাদের কাছে যা তথ্য চেয়েছেন আমরা সেগুলি দিয়ে দিয়েছি। আমরা নৈতিকতা ও নিয়মানুবর্তিতার ব্যাপারে সর্বোচ্চ মান তুলে ধরতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”