Fraud: মহিলা বিচারপতির প্রেমে হাবুডুবু ভুয়ো বিচারকের! পাগল প্রেমিকের কাণ্ড দেখে হুঁশ উড়ল পুলিশের
Fraud: বাঁধ সাধল অন্য জায়গায়, ছেলেটির আসল সত্যি বুঝতে পারে যুবতী বিচারক। সে যে আদপে কোনও বিচারক নয়, এবং তাঁকে মিথ্যে পরিচয় দিয়েছে তাও বুঝতে পারেন মহিলা।
ইনস্টাগ্রামে পরিচয় হয়েছিল ছেলেটির সঙ্গে। ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে কথ বার্তা। কিছুদিন যেতে না যেতেই মহারাষ্ট্রের ছেলেটির প্রেমে পড় যান যুবতী। যুবতী নিজে পেশায় একজন বিচারক। আলাপ হওয়ার সময় ছেলেটি জানায় সেও নাকি একজন বিচারক, বাড়ি মহারাষ্ট্রে। এরই মধ্যে ঘনিষ্ঠতা আরও বাড়তে থাকে, বেড়ে চলে মেলামেশাও।
বাঁধ সাধল অন্য জায়গায়, ছেলেটির আসল সত্যি বুঝতে পারে যুবতী বিচারক। সে যে আদপে কোনও বিচারক নয়, এবং তাঁকে মিথ্যে পরিচয় দিয়েছে তাও বুঝতে পারেন মহিলা। এরপরেই ওই যুবকের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেন মহিলা।
এরপরেই শুরু হয় সমস্যার। ব্রেক আপ মেনে নিতে পারেনি ছেলেটি। মহিল বিচারককে নানা ভাবে হুমকি দিতে শুরু করেন ওই যুবক। সোশ্যাল মিডিয়ায় অশ্লীল ভিডিও শেয়ার করে ওই যুবক। ঘটনাটি ঘটে উত্তর প্রদেশের মিরাটে। এখানেই শেষ নয়।
মহিলা বিচারকের মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে ওই যুবকের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে পুলিশ। মহিলা বিচারকের মা জানান, কয়েকদিন আগে মেয়েটির ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে হিমাংশু নামে এক ব্যক্তি ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পান। অভিযুক্ত লিখেছিলেন, তিনিও পেশায় বিচারক। ১৪ ডিসেম্বর, তিনি নিজেকে হায়দ্রাবাদের বড় ব্যবসায়ী বলে পরিচয় দেন। যুবতী বিচারককে বইয়ের প্রস্তাব দেন।
এর পরেই ওই মহিলা বিচারক যুবককে তাঁর বায়োডাটা পাঠাতে বলেন। হোয়াটসঅ্যাপে নিজের বায়োডাটাও পাঠান তিনি। নিজের ব্য়বসা সংক্রান্ত নথি এবং ভিডিও পাঠান তিনি। যুবতীকে হায়দ্রাবাদ পরে মুম্বই আসতে বলেন। ২১ ডিসেম্বর ২০২৪ নিজের বায়োডাটা তিনি পাঠান, সেই অনুসারে ওই ব্যাক্তির নাম হিমালয় মারুতি দেবক্তে।
মহিলা বিচারকের মায়ের কথা অনুসারে ছেলেটি বলে, হিমাংশু এবং হিমালয় দুটিই তাঁর নাম। ২৭ ডিসেম্বর ছেলেটির কাছ থেকে তাঁর বার্থ সার্টিফিকেট চাওয়া হয়। ২৮ ডিসেম্বর যুবতীকে ফোন করে ছেলেটি বলেন তিনি মিরাট আসছেন। ২৯ ডিসেম্বর একটি ক্যাফেতে রাত সাড়ে ৮ টা নাগাদ দেখা করেন তাঁরা। সেই সময় মেয়েটির একটি ছবি তোলে সে, বলে বাড়িতে বাবা-মাকে পাঠাতে চায়। ৩০ ডিসেম্বর বাবা-মা দেখা করতে চেয়েছে বলে মহিলা বিচারককে দিল্লিতে ডেকে পাঠান হিমাংশু।
তার ট্র্যাক্ট চাওয়া হয়। 28 ডিসেম্বর, তিনি মেয়েটিকে একটি ভিডিও কল করে বলেছিলেন যে তিনি মিরাটে আসছেন। ২৯ ডিসেম্বর রাত ৮.৩০ নাগাদ মেয়েটিকে ফোন করে জানান তিনি মিরাটে এসেছেন। মেয়েটি তার সাথে দেখা করতে গেলে তার বাবা-মা তার সাথে ছিলেন না। তাই মেয়েটি একটি ক্যাফেতে তার সাথে দেখা করেছিল। সেখানে সে তার বাবা-মাকে একটি ছবি পাঠাতে চায়, তাই সে মেয়েটির একটি ছবি তুলেছে। 30 ডিসেম্বর হিমাংশু মেয়েটির বাবা-মা আসছেন বলে মেয়েটির সাথে দেখা করতে তাকে দিল্লিতে ডেকেছিল।
পরিবারের অনুমতি নিয়ে মেয়েটি হিমাশুর বাবা-মায়ের সঙ্গে দেখা করতে দিল্লি যায়। দিল্লির কনট প্লেসে পৌঁছে যুবতী দেখেন সেখানে কেবল হিমাংশু একা রয়েছে আর কেউ নেই। অনেকক্ষণ অপেক্ষা করলেও বাবা-মা আসেননি। এরপর ওই যুবক মেয়েটিকে গাড়িতে তুলে ইউপি সদনে নামাতে আসেন। ইউপি সদনে আসার পরেই মহিলা বিচারক বিয়ে করতে অস্বীকার করেন ওই হিমাংশুকে। তখন অভিযুক্ত তাঁকে গালিগালাজ করে বলেও দাবি মায়ের।
এই ঘটনার পরে বাড়ি ফিরে যায় যুবতী। ৩১ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ৮টায় হিমাংশু তাঁর বাড়িতে যান। মেয়েটি তাঁকে সেখান থেকে চলে যেতে বললে হিমাংশু হুমকি দেয় বলেও অভিযোগ। রাজনৈতিক নেতা ও আন্ডারওয়ার্ল্ডের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক রয়েছে বলে হুমকি দেয় সে। এমনকি হিমাংশুর সঙ্গে মুম্বই না গেলে মহিলা বিচারপতিকে তুলে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দেয় সে। পুলিশ অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তের খোঁজ চালাচ্ছে। দ্রুত তাঁকে গ্রেফতার করা হতে পারে।