আগামিকাল “ট্রেলার”, পুরো সিনেমা প্রজাতন্ত্র দিবসে, হুঁশিয়ারি কৃষকদের
ক্রান্তিকারী কিষাণ ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট দর্শন পাল বলেন, "আগামী ২৩ জানুয়ারি আজাদ হিন্দ কিষাণ দিবস পালন করা হয়। ৭ থেকে ২০ জানুয়ারি অবধি জন জাগরণ অভিযান চালানো হবে। এছাড়াও অম্বানি, আদানির মতো ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলির পণ্য বয়কট করা হবে।"
নয়া দিল্লি: আগামিকাল “ট্রেলার”,আসল শক্তি প্রদর্শন হবে প্রজাতন্ত্র দিবসে (Republic Day)। কেন্দ্রের প্রতি এমনটাই বার্তা দিলেন আন্দোলনকারী কৃষকরা (Farmers Protest)। মঙ্গলবার স্বরাজ ইন্ডিয়া (Swaraj India) নামক কৃষক সংগঠনের প্রধান যোগেন্দ্র যাদব বলেন, “৭ জানুয়ারি দিল্লির চারটি সীমান্তে ট্রাক্টর মিছিলের আয়োজন করা হবে। এটা কেবল ট্রেলার। আরও বড় আন্দোলন শুরু হতে যাচ্ছে।”
৪ জানুয়ারি, সোমবারের বৈঠক ব্যর্থ হওয়ার পরই কৃষকরা বড়সড় আন্দোলনের হুঙ্কার দিয়েছিলেন। আজ থেকেই ট্রাক্টর মিছিল (Tractor March) শুরু হওয়ার কথা থাকলেও তা একদিন পিছিয়ে দেওয়া হয়। কৃষি আইন (Farm Laws) প্রত্যাহার ও উৎপাদিত ফসলের নূন্যতম সহায়ক মূল্যের (Minimum Support Price) আইনি গ্যারান্টির দাবি জানিয়ে আগামীকাল থেকেই দিল্লি সীমান্তে কৃষকরা ট্রাক্টর মিছিল করবেন। লাগাতার প্রতিবাদ মিছিল চালানোর পর আগামী ২৬ জানুয়ারি আরও বড় আকারে আন্দোলনের সূচনা করা হবে।
ক্রান্তিকারী কিষাণ ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট দর্শন পাল বলেন, “আগামী ২৩ জানুয়ারি আজাদ হিন্দ কিষাণ দিবস পালন করা হয়। ৭ থেকে ২০ জানুয়ারি অবধি জন জাগরণ অভিযান চালানো হবে। এছাড়াও অম্বানি, আদানির মতো ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলির পণ্য বয়কট করা হবে। হরিয়ানা ও পঞ্জাবের টোল প্লাজাও খুলে দেওয়া হবে। আমরা বিজেপি ও এনডিএ জোটের সত্যতা সকলের সামনে এনে ছাড়ব।”
আরও পড়ুন: ক্লাইম্যাক্সে একে অপরের হাত ধরে প্রাণ বাঁচানোর শপথ নিল কোভ্যাকসিন-কোভিশিল্ড
তিনি কর্মসূচি আরও বিস্তারিতভাবে জানান। বলেন, “১৮ জানুয়ারি মহিলা কিষাণ দিবস পালন করা হবে। এরপর ২৫ ও ২৬ জানুয়ারি ট্রাক্টর প্যারেডের আয়োজন করা হবে।”
আগামী ৮ জানুয়ারি ফের কেন্দ্রের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছে আন্দোলনকারী কৃষক সংগঠনের নেতারা। এর আগে সাত দফা বৈঠক হলেও কৃষকদের মূল দুটি দাবি নিয়েই কোনও রফাসূত্র মেলেনি। তবে সেদিনের বৈঠক শেষেই আন্দোলনকারী কৃষকরা জানিয়েছিলেন, যতদিন তাঁদের দাবি পূরণ হচ্ছে না, ততদিন তাঁরা বাড়ি ফিরবেন না।
অন্যদিকে, মঙ্গলবার পঞ্জাবের বিজেপি (BJP) নেতারা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)-র সঙ্গে দেখা করেন। ২ ঘণ্টা ধরে বৈঠক করার পর সেখান থেকে বেরিয়ে তাঁরা জানান, শীঘ্রই সমস্যার সমাধান করা হবে। বিজেপি নেতা হরজিৎ সিং বলেন, “প্রধানমন্ত্রী অনেক কিছু জানেন। তিনি পঞ্জাবকে ভুল ভালভাবে বোঝেন। বৈঠকে কী আলোচনা হয়েছে, তা জানাতে পারব না। তবে এইটুকু আশ্বস্ত করতে পারি যে, শীঘ্রই সব সমস্যার সমাধান হয়ে গিয়ে ভাল কিছু হবে।”
আরও পড়ুন: ‘বিশালাকার বাড়িই সংসদীয় গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করে না’, সমালোচনায় মুখর কংগ্রেস