‘বিশালাকার বাড়িই সংসদীয় গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করে না’, সমালোচনায় মুখর কংগ্রেস
সংসদে অনিয়ম নিয়ে বিজেপিকে কটাক্ষ করে কংগ্রেসের আরেক মুখপাত্র জয়বীর শেরগিল বলেন, "সুপ্রিম কোর্ট নতুন সংসদ গঠনে সবুজ সংকেত দেওয়ার পাশাপাশি বিজেপি যাতে সংসদীয় নিয়ম মেনে চলতে পারে, আইন নিয়ে আলোচনা ও সংসদীয় কমিটির পবিত্রতা ও বিরোধীদের যোগ্য স্থান দেওয়ার মতো নির্দেশ দিলে ভাল হত। "
নয়া দিল্লি: নতুন সংসদ ভবন তৈরির কাজে ছাড়পত্র দেওয়ার পর থেকেই সরগরম রাজনৈতিক মহল। একদিকে যেমন কেন্দ্রীয় নেতৃত্বরা সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন, অন্য়দিকে বিরোধী দল কংগ্রেসও মুখে কুলুপ এঁটে বসে থাকেনি। আদালতের প্রতি সম্মান বজায় রেখেই কংগ্রেস(Congress)-র তরফে বলা হয়, “এটা কোনও আইনি বিষয় নয়, বরং ভুল অগ্রাধিকারের মামলা, যেখানে একজন স্বৈরাচারী ইতিহাসের পাতায় জোর করে নিজের নাম লিখে রাখতে চাইছে।”
করোনাভাইরাস (Coronavirus) প্যানডেমিক ও আর্থিক মন্দা চলাকালীন ২০০০ কোটি টাকা খরচে নতুন সংসদ ভবন নিয়ে এর আগেও সমালোচনায় মুখর হয়েছিল বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। আজ ফের একবার কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে কংগ্রেস বলে, “এটি সম্পূর্ণভাবে জনগণের টাকা নষ্ট করা ছাড়া আর কিছুই নয়।”
কংগ্রেসের প্রধান মুখপাত্র রণদীপ সিং সূর্যেওয়ালা (Randeep Singh Surjewala) টুইট করে লেখেন, “১৩,৪৫০ কোটি টাকার সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্প কোনও আইনি বিষয় নয়। এটা একজন স্ব-মুগ্ধ স্বৈরাচারী শাসকের ইতিহাসে নিজের নাম দাখিল করার জন্য ভুল সিদ্ধান্তের জ্বলন্ত উদাহরণ। হাস্যকর বিষয় হচ্ছে, করোনা মহামারী ও আর্থিক মন্দার সময়েও কেন্দ্রের কাছে সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্পের জন্য ১৪ হাজার কোটি ও প্রধানমন্ত্রীর জন্য বিমান কেনার জন্য ৮ হাজার কোটি টাকা রয়েছে। অথচ এই বিজেপি সরকারই ১১৩ লাখ সেনাকর্মী ও কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মচারী ও পেনশনভোগীদের ভাতা ৩৭,৫৩০ কোটি টাকা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে।”
3/3 PM यह न भूलें कि उन्होंने 15 लाख सैनिकों और 26 लाख सैन्य पेंशनर्स के अर्जित लाभों में 11,000 करोड़ की कटौती की है।
और भाजपा सरकार के पास लद्दाख में चीनी घुसपैठ से लड़ रहे हमारे सैनिकों को ‘गर्म तंबू और उपकरण’ उपलब्ध कराने का समय व धन क्यों नहीं है?#CentralVista https://t.co/PQf4JlTcbt
— Randeep Singh Surjewala (@rssurjewala) January 5, 2021
আরও পড়ুন: মালেগাঁও বিস্ফোরণ মামলায় নিয়মিত হাজিরা থেকে অব্যাহতি পেলেন প্রজ্ঞা ঠাকুর
কংগ্রেস নেতা আনন্দ শর্মা (Anand Sharma) বলেন, “আমরা এক অদ্ভুত সময়ে বসবাস করছি, যেখানে পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য কোনও অনুদান নেই। হাড় কাঁপানো ঠান্ডা, বৃষ্টি, পুলিসের লাঠি ও কাঁদানে গ্যাস উপেক্ষা করে দেশের আন্দোলনকারী কৃষকদের জন্য কোনও সুবিচার নেই। গণতন্ত্র দিবসের প্রাক্কালে দাঁড়িয়ে গণতন্ত্রেরই প্রভাব নেই দেশে।”
তিনি আরও যোগ করে বলেন, “প্যানডেমিকের মাঝেও কেন্দ্রের ভুল সিদ্ধান্তে সম্মতি দেওয়ায় সুপ্রিম কোর্টের রায়ে অত্যন্ত দুঃখিত। ইট দিয়ে তৈরি বিশালাকার বাড়িই সংসদীয় গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করে না, একটি সুস্থ সংসদীয় ব্যবস্থা যা দেশের সংবিধানকে রক্ষা করে ও নাগরিকদের অধিকারকে রক্ষা করে, তাকেই সঠিক গণতন্ত্র বলা যায়।”
সংসদে অনিয়ম নিয়ে বিজেপিকে কটাক্ষ করে কংগ্রেসের আরেক মুখপাত্র জয়বীর শেরগিল বলেন, “সুপ্রিম কোর্ট নতুন সংসদ গঠনে সবুজ সংকেত দেওয়ার পাশাপাশি বিজেপি যাতে সংসদীয় নিয়ম মেনে চলতে পারে, আইন নিয়ে আলোচনা ও সংসদীয় কমিটির পবিত্রতা ও বিরোধীদের যোগ্য স্থান দেওয়ার মতো নির্দেশ দিলে ভাল হত। ”
আরও পড়ুন: বিদেশে কোভিশিল্ড রফতানিতে কোনও নিষেধাজ্ঞা নেই, সাফ জানালেন সেরাম কর্তা