Telangana Flood: বন্যার তোড়ে ভেসে গেলেন ১১ জন গ্রামবাসী, উদ্ধার হল একের পর এক দেহ
Telangana Flood: পরিস্থিতি সামাল দিতে তৎপরতার সঙ্গে কাজ করছে প্রশাসন। আটকে পড়া গ্রামবাসীদের একে একে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে নিরাপদ আশ্রয়স্থলে।
হায়দরাবাদ: গত দু দিন ধরে প্রবল বৃষ্টিতে ভাসছে একের পর এক গ্রাম। বাড়িগুলির প্রায় ছাদ সমান জল। প্রবল বন্যার তোড়ে ভেসে গিয়ে ১১ জনের মৃত্যু হল তেলঙ্গনায়। শুক্রবার সকালে ও সন্ধ্যায় তাঁদের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এখনও জলমগ্ন বিস্তীর্ণ এলাকা। পরিস্থিতি সামাল দিতে তৎপরতার সঙ্গে কাজ করছে প্রশাসন। আটকে পড়া গ্রামবাসীদের একে একে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে নিরাপদ আশ্রয়স্থলে। মৃতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যবস্থাও করা হয়েছে।
তেলঙ্গনার মুলুগু জেলাতেই মৃত্যু হয়েছে ৮ জনের। কোন্দাই গ্রামে আচমকা হড়পা বান আসায় গ্রামবাসীরা ভেসে যান। শুক্রবার সকালেই মেদারাম গ্রাম থেকে ৫ জনের দেহ উদ্ধার করা হয়, পরে সন্ধ্যায় উদ্ধার হয় বাকিদের দেহ। এছাড়া, জয়শঙ্কর ভুপালপল্লী জেলার মোরাঞ্চাপাল্লে গ্রামে ভেসে গিয়েছেন আরও তিনজন। তবে, তাঁদের দেহ উদ্ধার হয়নি এখনও। তেলঙ্গনা সরকারের তরফে মৃতদের পরিবারকে ৪ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়াও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে দেওয়া হবে ২৫ হাজার টাকা করে।
সে রাজ্যের আদিবাসী উন্নয়ন মন্ত্রী সত্যবতী রাঠৌর জানিয়েছেন, মুলুগু জেলায় প্রবল বৃষ্টি হয়েছে গত দু দিনে। শুধুমাত্র বৃহস্পতিবারই বৃষ্টি হয়েছে ৬৫০ মিলিমিটার। তিনি জানিয়েছেন, স্থানীয় পুলিশ ছাড়াও উদ্ধার কাজে হাত হাত লাগিয়েছে এনডিআরএফ। মন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, শতাধিক মানুষ আটকে রয়েছেন গ্রামে। তাঁদের কাছে না আছে জল, না আছে খাবার। তাঁদের উদ্ধার করতে নৌকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। উদ্ধারকাজে নামানো হয়েছে সেনা হেলিকপ্টারও।
বন্যা পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছেন তেলঙ্গনার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও। রাজ্যের মুখ্যসচিব এ শান্তি কুমারী জানিয়েছেন, ১০ হাজারের বেশি মানুষকে ইতিমধ্যে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বাকিদের উদ্ধারের কাজ চলছে। আরও বেশি এনডিআরএফ টিম নামানে হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। বৃষ্টিতে জাতীয় সড়কগুলিরও বেহাল অবস্থা। সেগুলি দ্রুত মেরামত করার জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগকে জানানো হয়েছে ইতিমধ্যেই।