বাংলার প্রচারে ‘বিদ্রোহী’দের বাদ রাখলেন সোনিয়া-রাহুলরা
২৭ মার্চ প্রথম দফার নির্বাচনের (West Bengal Assembly Election) জন্য এই নেতারা ভোটের প্রচার (poll campaign) করবেন। অর্থাত্ কোনও জি-২৩ নেতা স্থান পাননি কংগ্রেসের (Congress) তারকা ক্যাম্পেনারদের তালিকায়।
নয়া দিল্লি: দলের অন্দরে ক্ষোভের আগুন তৈরি হয়েছে বেশ কিছু দিন ধরেই। ২৩ জন বিক্ষুব্ধ নেতা (G-23) সোনিয়া গান্ধীকে (Sonia Gandhi) চিঠি লিখে সাংগঠনিক নির্বাচনের দাবি তুলেছিলেন। এবার তাঁদেরকে নির্বাচনি প্রদার থেকে বাদ রাখল হাই কমান্ড। রাহুল গান্ধী(Rahul Gandhi), সোনিয়া গান্ধীর মতো নেতা-নেত্রীরা এলেও বাদ পড়েছেন সেই ২৩ জন নেতাথ যদিও তাঁরা প্রচারে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন।
পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা ভোটে ‘তারকা’ হিসেবে প্রচারকের তালিকায় নেই কোনও বিক্ষুব্ধ নেতা। রাজ্যে প্রচারের জন্য কংগ্রেস ৩০ জনের তারকা প্রচারকের নামের তালিকা নির্বাচন কমিশনের কাছে পাঠিয়েছে। সেই তালিকায় রয়েছেন সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী, প্রিয়ঙ্কা গান্ধী, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ, তিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অমরেন্দ্র সিংহ, ভূপেশ বাঘেল, অশোক গেহলট, মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথ। বাদ পড়েছেন গুলাম নবি আজাদ, আনন্দ শর্মা, মণীশ তিওয়ারি বা কপিল সিব্বলের মতো নেতারা, য়াঁরা ওই ২৩ জনের তালিকায় ছিলেন। বিক্ষুব্ধ নেতা সনিয়া গাঁধীকে চিঠি লিখে সাংগঠনিক নির্বাচনের দাবি তুলেছিলেন, তাঁদের মধ্যে শুধু জিতিন প্রসাদ ও বিহারের অখিলেশ প্রসাদ সিংহের নাম আছে।
জিতিন প্রসাদ জি-২৩ গোষ্ঠীতে থাকলেও পরে তাঁকেই পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেসের দায়িত্ব দেওয়া হয়। তাঁর নাম অবশ্য আছে প্রচারকদের মধ্যে। গত বছর কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি সোনিয়া গান্ধীকে একটি খোলা চিঠিতে দলের সাংগঠনিক আমূল পরিবর্তনের সওয়াল করেছিলেন ২৩ জন বর্ষীয়ান নেতা।