G20 Summit: ‘ভারতের এক নতুন ভাবমূর্তি তুলে ধরছে ইশা যোগ সেন্টার’, বললেন জি২০-র প্রতিনিধিরা
Isha Yoga Centre: বৈঠকে যোগ দেওয়া জি-২০র প্রতিনিধিদের সঙ্গে একটি আলোচনাসভার পর সাদগুরু বলেন, "বৈজ্ঞানিক উন্নতি ও প্রযুক্তিগত দিক থেকে এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে নিজেদের খুশি-আনন্দে ভরপুর করা একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। পৃথিবীকে বদলাতে এটাই আমাদের পথ।"
কোয়েম্বাটোর: তামিলনাড়ুর কোয়েম্বাটোরে ইশা যোগ সেন্টারে (Isha Yoga Centre) অনুষ্ঠিত হল জি২০-র সায়েন্স-২০ সামিট বৈঠক (Science 20 Summit Meeting)। জি-২০-র ২০টি সদস্য দেশের ১০০ জনেরও বেশি প্রতিনিধিরা এই বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন। আলোচনার পাশাপাশি তাঁরা ভারতীয় সংস্কৃতি ও যোগের ঐতিহ্য়কেও প্রত্যক্ষ করেন।
গত ২১ ও ২২ জুলাই কোয়েম্বাটোরের ইশা যোগ সেন্টারে আয়োজন করা হয়েছিল সায়েন্স-২০ সামিট বৈঠক। প্রায় ৩৫ জন বিদেশি প্রতিনিধি ও ভারতের বিভিন্ন নামকরা প্রতিষ্ঠানের ৬৫ জন প্রতিনিধি এই বৈঠকে যোগ দেন। এই সামিটের থিম ছিল “ক্লিন এনার্জি ফর অ্যা গ্রিনার ফিউচার, ইউনিভার্সাল হোলিস্টিক হেলথ অ্যান্ড কানেক্টিং সায়েন্স টু সোসাইটি অ্যান্ড কালচার”।
বৈঠকে যোগ দেওয়া জি-২০র প্রতিনিধিদের সঙ্গে একটি আলোচনাসভার পর সাদগুরু বলেন, “বৈজ্ঞানিক উন্নতি ও প্রযুক্তিগত দিক থেকে এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে নিজেদের খুশি-আনন্দে ভরপুর করা একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। পৃথিবীকে বদলাতে এটাই আমাদের পথ।”
ধর্মীয় কেন্দ্রে জি-২০র বৈঠকের সিদ্ধান্ত নিয়ে ইকোনমিক অ্যাডভাইসরি কাউন্সিলের সদস্য সঞ্জীব স্যান্যাল বলেন, “অতীতের মতো নিকষ বিজ্ঞানে সীমাবদ্ধ না থেকে, জীবনের মধ্যেও বিজ্ঞান লুকিয়ে রয়েছে। তাই আমার মতে সায়েন্স ২০-র বৈঠক ইশা আশ্রমে আয়োজন করাকে সামগ্রিক দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখা উচিত।”
ভারতীয় রীতিনীতি মেনে ফুলের মালা ও বাদ্য়ের সঙ্গে জি-২০ প্রতিনিধিদের স্বাগত জানানো হয়। ১১২ ফিট উচ্চতার আদিযোগীর মূর্তি ও তার সঙ্গে ভারতীয় আধ্যাত্বিকতা ও সংস্কৃতির কী যোগ রয়েছে, তাও প্রতিনিধিদের বোঝানো হয়। এরপরে ইশা সংস্কৃতির পড়ুয়ারা ভারতনাট্যম নৃত্য পরিবেশন করেন। গরুর গাড়িতে করে তারা ইশা যোগ সেন্টার ঘুরে দেখেন।