German Envoy: ভারতের পাশে দাঁড়াল জার্মানি, UNSC-তে জায়গা পাওয়া নিয়ে রাষ্ট্রদূত বললেন…
German Envoy: সোমবার (২১ অক্টোবর), এনডিটিভি-র ওয়ার্ল্ড সামিটে 'জিও-পলিটিক্যাল ডিসরাপশন: ইমার্জিং পাওয়ার্স ভার্সেস এক্সিস্টিং পাওয়ার্স' (ভূ-রাজনৈতিক ব্যাঘাত: উদীয়মান শক্তি বনাম বিদ্যমান শক্তি) অধিবেশনে বক্তৃতা দেন তিনি। সেখানেই তিনি জানান, বিশ্বের শক্তি সমীকরণের এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ ভারত। বিশ্বব্যাপী অন্যতম প্রধান শক্তি।
নয়া দিল্লি: রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে স্থায়ী আসন পাওয়ার জন্য অন্য বিশ্বের যে কোনও দেশের তুলনায় যোগ্যতর দেশ হল ভারত। সাফ জানালেন ভারত ও ভুটানে নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত ড. ফিলিপ একারম্যান। সোমবার (২১ অক্টোবর), এনডিটিভি-র ওয়ার্ল্ড সামিটে ‘জিও-পলিটিক্যাল ডিসরাপশন: ইমার্জিং পাওয়ার্স ভার্সেস এক্সিস্টিং পাওয়ার্স’ (ভূ-রাজনৈতিক ব্যাঘাত: উদীয়মান শক্তি বনাম বিদ্যমান শক্তি) অধিবেশনে বক্তৃতা দেন তিনি। সেখানেই তিনি জানান, বিশ্বের শক্তি সমীকরণের এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ ভারত। বিশ্বব্যাপী অন্যতম প্রধান শক্তি।
তিনি বলেন, “ভারত ছাড়া জি২০ ঘোষণা সম্ভব ছিল না। রাশিয়া এবং পশ্চিমী শক্তিগুলি থাকা সত্ত্বেও, ভারত সন্তোষজনক ফল অর্জন করেছে, যা ভারতের ওজন বুঝিয়ে দিয়েছে।” পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি বিভাগে ভারতের বেসরকারি খাতের কাজের প্রশংসাও করেছেন একারম্যান। তিনি জানান, ভারত সঙ্গে না থাকলে, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে যে কোনও লড়াই-ই নিরর্থক। এই অধিবেশনে যোগ দিয়েছিলেন, রাষ্ট্রপুঞ্জে ভারতের প্রাক্তন স্থায়ী প্রতিনিধি, সৈয়দ আকবরউদ্দিনও। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াইটা কতটা কঠিন এবং জটিল, তা তুলে ধরেন আকবরউদ্দিন। পরিবেশ সংরক্ষণের জন্য বিভিন্ন দেশ লড়াই করতে গিয়ে যে যে সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে, তাও উল্লেখ করেন তিনি।
পশ্চিম এশিয়ার সংঘাতের প্রসঙ্গও তোলেন আকবরুদ্দিন। সেখানে ইসরায়েলের সঙ্গে লড়াই চলছে গাজার হামাস, লেবাননের হিজবুল্লাহ গোষ্ঠীর। হামাস বা হিজবুল্লা কোনও রাষ্ট্রীয় শক্তি না হয়েও চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে ইসরায়েলের মতো রাষ্ট্রশক্তিকে। এই বিষয়ে তিনি বলেন, প্রতি মুহূর্তে যুদ্ধর গতিপ্রকৃতি যেভাবে পরিবর্তিত হচ্ছে, তার ব্যাপক প্রতিক্রিয়া তৈরি হবে বাকি বিশ্বে। আকবরউদ্দিন বলেন, “বৈশ্বিক শৃঙ্খলা পুনঃস্থাপন করাটাই বড় চ্যালেঞ্জ হবে। শুধু রাষ্ট্রর দিক থেকে নয়, চ্যালেঞ্জ আসবে জলবায়ু, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং মহাকাশ থেকেও। শুধুমাত্র অংশীদারিত্বের মাধ্যমেই এর সমাধান হতে পারে।”
দ্য এশিয়া গ্রুপের অংশীদার, অশোক মালিক বলেছেন, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক স্বার্থ, বিশ্বজুড়ে প্রবাসী ভারতের নাগরিক এবং শক্তির দাম বৃদ্ধির মতো বিভিন্ন কারণে, পশ্চিম এশিয়াও বর্তমানে নয়া দিল্লির মাথাব্যথা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভারত-কানাডা কূটনৈতিক দ্বন্দ্বের বিষয়ে তিনি বলেন, সাধারণত এই সকল আলোচনা বদ্ধ দরজার পিছনে হয়। এই ধরনের সমস্যাগুলি সমাধানের জন্য কূটনীতিকরা বড় ভূমিকা নেন।
ভারতে নিযুক্ত ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত, কেনেথ এইচ দ্য নোব্রেগা জানিয়েছেন, পরিবেশ রক্ষা করা শুধুমাত্র দীর্ঘমেয়াদে নয়, স্বল্প মেয়াদেও অগ্রাধিকার হওয়া উচিত। তাই যত দ্রুত সম্ভব আমাদের বাদামি থেকে সবুজ শক্তিতে যেতে হবে।