‘দ্বিতীয় ঢেউয়ের আঘাত ভয়ঙ্কর! আরও একটা ঢেউ এলে…’, সতর্ক করলেন গীতা গোপীনাথ
Gita Gopinath: আইএমএফের মূল্যায়নে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির হার এই প্রথমবার এতটা কমে গিয়েছেম জানালেন গীতা গোপীনাথ।
নয়া দিল্লি: গোটা বিশ্বের তুলনায় ভারতের অর্থনীতি সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কোভিডের দ্বিতীয় তরঙ্গের সময়। ইন্টারন্যাশনাল মনিটারি ফান্ড (আইএমএফ)-এর মুখ্য অর্থনীতিবিদ গীতা গোপীনাথ জানালেন, আইএমএফের সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, গোটা বিশ্বের আর্থিক বৃদ্ধির হার একই থাকলেও ভারতের ক্ষেত্রে সেই হার অনেকটাই কমেছে। তাই ভারতে যদি করোনার আরও একটা ঢেউ আসে তাহলে আবার গতিরোধ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
ভারতীয় এই অর্থনীতিবিদ জানান,২০২১-২২ অর্থবর্ষে ভারতের অর্থনীতির বৃদ্ধির হার ১২.৫ শতাংশ থেকে একধাক্কায় কমে হয়েছে ৯.৫ শতাংশ। কিন্তু বিশ্বের নিরিখে সেই মাত্রা ৬ শতাংশই রয়েছে। করোনার দ্বিতীয় তরঙ্গের জেরেই এমনটা হয়েছে বলে মনে করছেন তিনি। সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘ভারতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সত্যিই খুব ভয়ঙ্কর আকার নিয়েছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় ভারতের পরিস্থিতি অনেকটাই খারাপ ছিল।
টিকাকরন নিয়েই আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। গীতা গোপীনাথ বলেন, ‘ভারতের জনসংখ্যা অনেকটাই বেশি। ভারতের পক্ষে ২ মাসে সবার টিকাকরণ সম্ভব নয়।’ চলতি বছরের শেষে ৩০ শতাংশ মানুষ টিকা প্রাপ্ত হবে বলে মনে করেন তিনি। অর্থনীতিবিদ আরও উল্লেখ করেন, বিশ্বের ধনী দেশগুলোর হাতেই চলে যাচ্ছে বেশির ভাগ ভ্যাকসিন।
তাঁর দাবি, ভারতে এখনও বহু লোক জানেন না যে কবে তাঁরা টিকা পাবেন। তাঁর কথায়, এই বিপুল জনসংখ্যার দেশে স্বাস্থ্য পরিকাঠামো সঠিকভাবে তৈরি করতে উপযুক্ত পরিকল্পনা প্রয়োজন। অর্থনীতি ঘুরিয়ে দাঁড় করানোর জন্য উপযুক্ত পরিকল্পনার কথাও বলেন তিনি। বারবার উল্লেখ করেন ভারতে দারিদ্র্যসীমার নীচে বসবাস করা মানুষের কথা। তিনি মনে করিয়ে দেন, করোনা পরিস্থিততে তাঁরা বিনামূল্যে খাবার পাচ্ছেন ঠিকই, তবে তাঁদের রোজগারের ব্যবস্থা সঠিকভাবে হচ্ছে না। পরিকল্পনা ছাড়া এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসা সম্ভব নয় বলে জানান তিনি। আরও পড়ুন: মমতার এক অনুরোধেই কাজ, বাংলায় ২১ লক্ষ টিকা পাঠাচ্ছেন মোদী