Cough Syrup: গাম্বিয়ার ৬৬ শিশুর মৃত্যুর জন্য কি দায়ী হরিয়ানার সংস্থাই? অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করা হল উৎপাদন-বিক্রি
WHO Alert on Gambia Children Death: হরিয়ানার স্বাস্থ্য মন্ত্রী অনিল ভিজও জানিয়েছেন যে ওই সংস্থার উৎপাদিত ওষুধ যদি গুণমান উত্তীর্ণ না করতে পারে, তবে সংস্থা ও তার মালিকদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
নয়া দিল্লি: ভারতে তৈরি কাফ সিরাপ খেয়ে মৃত্যু হয়েছে গাম্বিয়ার ৬৬ জন শিশুর, এমনটাই সন্দেহ প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। হু-র সতর্কতার পর নড়েচড়ে বসেছে কেন্দ্রও। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে হরিয়ানার একটি ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থার বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। ইতিমধ্যেই ওই সংস্থার তৈরি চারটি কাফ সিরাপের নমুনা কলকাতার সেন্ট্রাল ড্রাগ ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। নমুনা পরীক্ষার ফল জানা গেলেই ওই সংস্থার বিরুদ্ধে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে জানানো হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সঙ্গে তদন্ত শুরু করেছে হরিয়ানার স্বাস্থ্য দফতরও।
প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, হরিয়ানার সোনিপতের একটি সংস্থাই ওই কাফ সিরাপগুলি তৈরি করত এবং তা শুধুমাত্র গাম্বিয়াতেই রফতানি করা হত। ওষুধের গুণমান নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রশ্ন তোলার পরই মেডিসিন কন্ট্রোল এজেন্সির তরফে বর্তমানে ওই সংস্থাকে ওষুধ তৈরি, বিক্রি ও আমদানি-রফতানি বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সংস্থার কারখানার বাইরেও এই মর্মে নোটিস টাঙানো হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, “বর্তমান পরিস্থিতিতে একাধিক পণ্যের উপাদান ও গুণমান নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় উৎপাদন বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে যে পণ্যগুলি স্টকে রয়েছে, তাও পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া অবধি বিক্রি বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”
এদিকে, হরিয়ানার স্বাস্থ্য মন্ত্রী অনিল ভিজও জানিয়েছেন যে ওই সংস্থার উৎপাদিত ওষুধ যদি গুণমান উত্তীর্ণ না করতে পারে, তবে সংস্থা ও তার মালিকদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফেও জানানো হয়েছে, পশ্চিম আফ্রিকার গাম্বিয়ায় যে ৬৬ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে, তার সঙ্গে ভারতে উৎপাদিত চারটি কাফ সিরাপের যোগ থাকতে পারে। ওই কাফ সিরাপগুলিতে বিষাক্ত উপাদান মিশ্রিত রয়েছে, যা প্রাণঘাতীও হতে পারে।
অন্যদিকে, এই ঘটনার পরই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পাশাপাশি চণ্ডীগঢ় ও পঞ্চকুলার প্রশাসনও একাধিক ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলির উপরে নজরদারি শুরু করেছে। উত্তর প্রদেশেও ড্রাগ ইন্সপেক্টররা বিভিন্ন ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থায় ‘সারপ্রাইজ ভিজিট’ করছেন এবং ওষুধের গুণমান পরীক্ষা করে দেখছেন।