Indian Army: চিনকে চাপে রাখতে অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান চাইছে বায়ুসেনা, নতুন রূপে মাঠে নামছে হারকিউলিস

Indian Army: এতদিন হারকিউলিস বিমানের রক্ষণাবেক্ষণ ও আপগ্রেডেশনের জন্য বিমান অন্য দেশে পাঠাতে হতো। ভারতেই মেন্টেন্যান্স সেন্টার তৈরি হলে সেইসব কাজ এখানেই হবে। তবে এটাই শেষ কথা নয়। দুনিয়ার বহু দেশের সেনা হারকিউলিস সিরিজের বিমান ব্যবহার করে।

Indian Army: চিনকে চাপে রাখতে অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান চাইছে বায়ুসেনা, নতুন রূপে মাঠে নামছে হারকিউলিস
কতটা চাপ বাড়বে চিনের? Image Credit source: Facebook
Follow Us:
| Updated on: Sep 12, 2024 | 11:57 PM

সি-১৩০ সুপার হারকিউলিস দিয়ে শুরু। পরের ধাপে কি এফ-১৬ বা এফ-৩৫? লকহিড মার্টিনের ফ্যাক্টরির হচ্ছে। ভারতে মেন্টেন্যান্স, রিপেয়ার অ্যান্ড অ্যাসেম্বলিং সেন্টার তৈরি করছে লকহিড মার্টিন। টাটা গোষ্ঠীর সঙ্গে যৌথভাবে কারখানা তৈরি করবে মার্কিন সংস্থা। সি-১৩০ সুপার হারকিউলিসকে বলা যেতে পারে এলএসি-তে ভারতীয় সেনার লাইফলাইন। গালওয়ানে চিনা হামলার পর এই বিমানেই বাড়তি সেনা ও আর্টিলারি ইউনিট লাদাখে পাঠানো হয়। আর সেই বিমান রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামতির কাজ এবার থেকে ভারতে হলে, সেটা অবশ্যই সুখবর। সূত্রের খবর, আগামী ১৮ থেকে ২৪ মাসের মধ্যে বেঙ্গালুরুতে পুরোদমে ফ্যাক্টরি চালুর লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে দুই সংস্থা। 

এতদিন হারকিউলিস বিমানের রক্ষণাবেক্ষণ ও আপগ্রেডেশনের জন্য বিমান অন্য দেশে পাঠাতে হতো। ভারতেই মেন্টেন্যান্স সেন্টার তৈরি হলে সেইসব কাজ এখানেই হবে। তবে এটাই শেষ কথা নয়। দুনিয়ার বহু দেশের সেনা হারকিউলিস সিরিজের বিমান ব্যবহার করে। অথচ এশিয়ায় এর সার্ভিস সেন্টার মাত্র একটা। বেঙ্গালুরুর কারখানা চালু হলে এশিয়ার অন্তত ‍১২টি দেশের বিমান রক্ষণাবেক্ষণের কাজ এখানেই হবে। এর পাশাপাশি বেঙ্গালুরুর এই সেন্টারে যুদ্ধবিমানের যন্ত্রাংশ তৈরি করবে টাটা ও লকহিড মার্টিন।

যুদ্ধবিমানের ৭৫ শতাংশ যন্ত্রাংশই ভারতকে আমদানি করতে হয়। কমবেশি ২০০ রকমের যন্ত্রপাতি ও সফটওয়ার কিনতে বছরে কয়েকহাজার কোটি টাকা খরচ করে প্রতিরক্ষামন্ত্রক। এর মধ্যে অন্তত ১৮টি যন্ত্রাংশ বেঙ্গালুরুর ফ্যাক্টরিতেই তৈরি হবে। এজন্য ভারতের শতাধিক সংস্থার সঙ্গে একযোগে কাজ করবে লকহিড মার্টিন ও টাটা। লকহিড মার্টিন কয়েক হাজার কোটি টাকা খরচ করে ভারতে কারখানা তৈরি করছে কেন?

চলতি বছরে ৮০টা মিডিয়াম ট্রান্সপোর্ট এয়ারক্রাফট বা এমটিএ কিনতে দরপত্র ডাকতে পারে প্রতিরক্ষামন্ত্রক। এই বরাত পেতে ঝাঁপাবে লকহিড মার্টিন। ভারতে নিজস্ব সার্ভিস সেন্টার থাকলে সেটা তাদের বাড়তি সুবিধা দিতে পারে। দ্বিতীয় বিষয়টা আরও গুরুত্বপূর্ণ। চিনের সঙ্গে পাল্লা দিতে রাফালের বাইরে আরও এক অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান চাইছে বায়ুসেনা। ভারতের নিজস্ব স্টেলথ যুদ্ধবিমান হাতে আসতে এখনও অনেকটা সময় লাগবে। তাই এফ সিরিজের নতুন যুদ্ধবিমান নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করেছে প্রতিরক্ষামন্ত্রক। আর এক্ষেত্রে রাফালের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী লকহিড মার্টিনের তৈরি এফ-৩৫। লকহিড মার্টিন বলেছে, ভারত এফ-৩৫’র বরাত দিলে তাঁরা ভারতেই এই সিরিজের যুদ্ধবিমান তৈরি করবে। অ্যাসেম্বলিং বা ডেভেলপমেন্ট সেন্টার নয়। পুরোদস্তুর ম্যানুফ্যাকচারিং ক্যাম্পাস। আমেরিকার অ্যারিজোনা কিংবা ডেলয়েটে যেমন আছে। সঙ্গে, এরোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনার সুযোগও। সবমিলিয়ে পুরোদস্তুর একটা এরোনটিক্যাল সিটি। বেঙ্গালুরুতে সার্ভিস সেন্টার থেকে যুদ্ধবিমানের হাব হওয়ার পথে হাঁটবে আমাদের দেশ? অনেকেই বলছেন আশা করতে দোষ কোথায়!