COVID 19 Hospitalization : ‘হাসপাতালে রোগী ভর্তির হার ৫-১০ শতাংশ, তবে পরিস্থিতি বদলাতে সময় লাগবে না’
Hospitalization Rate for COVID 19 patients: পরিস্থিতি খারাপ হলে হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত রোগী ভর্তির এই প্রয়োজনীয়তা দ্রুত পরিবর্তিত হতে পারে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। উল্লেখ্য, এর আগে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময়, সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী হাসপাতালে ভর্তির হার ছিল ২০-৩০ শতাংশের মধ্যে।
নয়া দিল্লি : দেশে ফের একবার লাগামছাড়া হয়ে উঠেছে সংক্রমণ। করোনা (COVID 19) গ্রাফে দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে। ডেল্টার (Delta) তুলনায় ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট (Omicron Variant) অনেক দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। তবে আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা অনেকটাই কম তুলনামূলকভাবে। করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে ভারতে হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত রোগী ভর্তির হার ৫-১০ শতাংশ। সোমবার এমনটাই জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক (Union Health Ministry)। তবে একইসঙ্গে দেশবাসীকে সতর্ক করে দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। এই পরিসংখ্যান এবং বর্তমান করোনা পরিস্থিতি “গতিশীল” এবং প্রতি মুহূর্তে বিকশিত হচ্ছে। পরিস্থিতি খারাপ হলে হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত রোগী ভর্তির এই প্রয়োজনীয়তা দ্রুত পরিবর্তিত হতে পারে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। উল্লেখ্য, এর আগে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময়, সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী হাসপাতালে ভর্তির হার ছিল ২০-৩০ শতাংশের মধ্যে।
পরিস্থিতির বদল হতে বেশি সময় লাগবে না
সোমবার সকালে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশে ১ লাখ ৭৯ হাজার মানুষ নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। দৈনিক পজিটিভিটি রেটও হু হু করে বেড়েছে। সোমবারের পজিটিভিটি রেট ছিল ১৩.২৯ শতাংশ। তবে প্রায় ১০ দিন আগেও পরিস্থিতি এতটা ভয়ানক ছিল না। দিন দশেক আগে পর্যন্তও দেশে প্রতিদিন গড়ে ১০ হাজার – ১৫ হাজার করে করোনা আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল। অর্থাৎ, আক্রান্তের পরিসংখ্যান থেকেই স্পষ্ট, কতটা দ্রুত হারে ছড়িয়ে পড়ছে করোনা।
রাজ্যগুলিতে তৈরি থাকতে নির্দেশ
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে সোমবার জানানো হয়েছে, করোনার সংক্রমণের এই ঊর্ধ্বমুখী গ্রাফের একটি অন্যতম কারণ হিসেবে মনে করা হচ্ছে ভ্যারিয়েন্ট অব কনসার্ন ওমিক্রন। এর পাশাপাশি করোনার আরও এক ভ্যারিয়েন্ট অব কনসার্ন ডেল্টা এখনও দেশের একটি বড় এলাকায় ছড়িয়ে রয়েছে। পরিস্থিতির কথা বিচার করে সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে অক্সিজেন যুক্ত বেড, আইসিইউ বেড এবং ভেন্টিলেটরের ব্যবস্থা তৈরি রাখতে বলা হয়েছে। প্রতিদিন এই বিষয়গুলির উপর নজর রাখতে বলা হয়েছে। প্রয়োজনে কোভিড কেয়ার সেন্টারগুলিকে অক্সিজেন যুক্ত বেডের সংখ্যা বাড়াতে হবে বলে রাজ্যগুলিকে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। তার উপর পর্যাপ্ত স্বাস্থ্য পরিষেবা নিশ্চিত করতে জুনিয়র ডাক্তার, নার্সিং এবং এমবিবিএস পড়ুয়াদের কাজে লাগানোর উপরেও জোর দিচ্ছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক।
করোনার সংক্রমণের এই ঊর্ধ্বমুখী গ্রাফের মধ্যে দিল্লি, মহারাষ্ট্র এবং অন্যান্য রাজ্যগুলি জোর দিয়ে বলছে যে তারা পর্যাপ্ত সংখ্যক হাসপাতালের বেড তৈরি রেখেছে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের থেকে শিক্ষা নিয়ে, এবার আগে থেকে প্রস্তুত রয়েছে রাজ্যগুলি। এর আগে দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় দেশের বেশিরভাগ বড় শহরগুলিতে হাসপাতালের বেড এবং মেডিকেল অক্সিজেনের চাহিদা ব্যাপকভাবে বেড়ে গিয়েছিল।