‘অ্যালোপ্যাথিক দেউলিয়া বিজ্ঞান’, বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে রামদেবকে গ্রেফতারির দাবি আইএমএ-র

স্পর্শকাতর পরিস্থিতির মধ্যে এই ধরনের মন্তব্য যাতে গ্রাহ্য না করা হয় সেই কারণে মহামারি আইন কাজে লাগিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের-সহ বাবা রামদেবকে গ্রেফতার করার দাবি জানানো হয়েছে কেন্দ্রের কাছে।

'অ্যালোপ্যাথিক দেউলিয়া বিজ্ঞান', বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে রামদেবকে গ্রেফতারির দাবি আইএমএ-র
ফাইল ছবি
Follow Us:
| Updated on: May 22, 2021 | 8:28 PM

নয়া দিল্লি: অ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসার বিরুদ্ধে চূড়ান্ত অবমাননাকর মন্তব্য করার অভিযোগ উঠল যোগগুরু বাবা রামদেবের বিরুদ্ধে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের বিরুদ্ধে যখন দেশের লক্ষ লক্ষ চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা লড়ছেন, তখনই বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন বাবা রামদেব। এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে মহামারি আইনে তাঁকে গ্রেফতার করার আবেদন জানিয়েছেন ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের চিকিৎসকরা। কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে চিঠি দিয়ে আবেদন জানিয়েছে আইএমএ।

ঠিক কী বলেছিলেন বাবা রামদেব? সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে বিখ্যাত এই যোগগুরুকে বলতে শোনা গিয়েছিল, “অ্যালোপ্যাথিক একটি দেউলিয়া বিজ্ঞান। লক্ষ লক্ষ মানুষের মৃত্যু অ্যালোপ্যাথিক ওষুধ খাওয়ার কারণেই হয়েছে।” তাঁর এই মন্তব্য যে দেশের গোটা চিকিৎসক সমাজ এবং সংগঠনের জন্য চরম অবমাননাকর বলে দাবি করা হয়েছে শীর্ষ চিকিৎসক সংগঠনের তরফে। তিনি আগেও এই ধরনের একাধিক ন্যক্কারজনক মন্তব্য করেছেন বলেও অভিযোগ করেছে আইএমএ। এমন স্পর্শকাতর পরিস্থিতির মধ্যে এই ধরনের মন্তব্য যাতে গ্রাহ্য না করা হয় সেই কারণে মহামারি আইন কাজে লাগিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের-সহ বাবা রামদেবকে গ্রেফতার করার দাবি জানানো হয়েছে কেন্দ্রের কাছে।

আরও পড়ুন: কুকুরের দেহে জন্ম, নয়া করোনাভাইরাসে শিশুদের ঝুঁকির রিপোর্ট

যদিও এই বিতর্কিত মন্তব্যের পরও আদৌ কোনও পদক্ষেপ কাজ করা হবে কি না সেটা নিয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে। কেননা বাবা রামদেবের সঙ্গে দেশের বর্তমান শাসক শিবিরের সুসম্পর্ক সর্বমহলে সুবিদিত। ভুলে গেলে চলবে না, ভ্যাকসিন বাজারে আসার আগেও বাবা রামদেব দাবি করেছিলেন তিনি নাকি করোনার ওষুধ তৈরি করে ফেলেছেন। এই ওষুধের নাম তিনি রেখেছিলেন ‘কোরোনিল’। পরে সেই ওষুধের বিক্রি নিষিদ্ধ করে ভারতীয় ড্রাগ কন্ট্রোল বোর্ড। তবে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, সেই ওষুধের আত্মপ্রকাশের অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন খোদ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন। ফলে গ্রেফতারির দাবি উঠলেও তা আদৌ কার্যকর হবে কি না, সেটা নিয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে।

আরও পড়ুন: মদনের গলায় টিউমার, তিন নেতার শারীরিক অবস্থা নিয়ে বৈঠক সারল মেডিক্যাল বোর্ড