নীতীশের মন্ত্রিসভায় শাহনওয়াজ, নিজের হাতে গুরুভার থাকলেও সংখ্যাগুরু বিজেপি
সংখ্যা বেশি হলেও গুরুত্বপূর্ণ দফতর থাকল নীতীশদের হাতেই
পাটনা: সরকার গঠনের প্রায় ৮০ দিন পর বিহারের মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ হল। নামের তালিকা চূড়ান্ত করতে পারছিল না বিজেপি, তাই আটকে ছিল সেই কাজ। মঙ্গলবার সেই মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ হল বিহারে। সংখ্যায় বেশি মন্ত্রী থাকলেও বিজেপির হাতে রইল না তেমন কোনও গুরুত্বপূর্ণ দফতর। আর এই সিদ্ধান্তে সঙ্গী বিজেপিকে নীতীশ কুমার কি কোনও বার্তা দিতে চাইল? এমনই প্রশ্ন রাজনৈতিক মহলে।
আরও পড়ুন: ভ্যাকসিন আর জলের জন্য মোদীকে ধন্যবাদ আফগান প্রেসিডেন্টের
বিহারের মন্ত্রিসভায় ৩৬ জন পর্যন্ত মন্ত্রী থাকতে পারে। এ দিন সম্প্রসারণে বিজেপি পেল নতুন ৯ মন্ত্রী আর নীতীশ কুমারের জনতা দল পেল নতুন ৮ মন্ত্রী। তবে, সংখ্যায় বেশি মন্ত্রী থাকলেও স্বরাষ্ট্র, শিক্ষা, গ্রামোন্নয়ন, জল সম্পদের মতো গুরুত্বপূর্ণ দফতর থাকল জনতা দলের হাতেই। এই সম্প্রসারণের পর বিহারের মন্ত্রিসভায় বিজেপির মোট মন্ত্রী হল ১৬ জন, আর তাঁদের হাতে থাকল ২২ টি পোর্টফোলিও বা দফতর। অন্যদিকে জনতা দলের মন্ত্রীর সংখ্যা ১৩ হলেও দফতর রয়েছে মোট ২১টি। একটি করে দফতর দেওয়া হল ‘হিন্দুস্তানি আওয়ামি মোর্চা’ ও ‘বিকাশশীল ইনসান পার্টি’কে। নতুন মন্ত্রীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য নাম শাহনওয়াজ হুসেন। প্রাক্তন এই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পেলেন শিল্প দফতর। এতদিন পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী ছাড়া মাত্র ১৩ জন মন্ত্রী ছিলেন বিহারে।
আরও পড়ুন: ভিডিয়ো: ২৫ হাজার ভোল্টের ইলেকট্রিক খুঁটিতে চেপে তাণ্ডব সাধুর
গত নভেম্বরে প্রকাশিত হয় বিহার নির্বাচনের ফলাফল। জেপি নাড্ডা বলে দিয়েছিলেন যে আসন সংখ্যা যাই হোক না কেন, ভোটে জিতলে নীতীশ কুমারই মুখ্যমন্ত্রী হবেন। বিজেপি কম আসনে লড়েও বেশি আসন জিতেছিল। তা সত্ত্বেও নীতীশকেই মুখ্যমন্ত্রী করা হয়।
বিহারের বিজেপি প্রেসিডেন্ট সঞ্জয় বনশল জানিয়েছেন, বিহরের উন্নয়নের কথা মাথায় রেখেই এই মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ করা হল। নরেন্দ্র মোদীর যে পরিকল্পনা আছে, তার কথা মাথায় রেখেই মন্ত্রীদের বেছে নেওয়া হয়েছে।