India Hits at Pakistan: ‘হাজার হাজার নাগরিকের মৃত্যুর জন্য দায়ী পাকিস্তান’, রাষ্ট্রপুঞ্জের মঞ্চে ধুয়ে দিল ভারত
India Hits at Pakistan: রাষ্ট্রপুঞ্জের মঞ্চে পাকিস্তানকে ধুয়ে দিলেন ভারতের প্রতিনিধি সীমা পূজানী। তিনি পাকিস্তানকে তোপ দেগে বলেছেন, বিশ্ব জুড়ে হাজার হাজার মৃত্যুর জন্য দায়ী পাকিস্তানের নীতি।
নয়া দিল্লি: ‘পাকিস্তানে কোনও ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায় স্বাধীনভাবে বসবাস বা নিজেদের ধর্ম পালন করতে পারেন না।’ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রসঙ্ঘের মানবাধিকার কাউন্সিলে এইভাবেই সুর চড়ালেন রাষ্ট্রসঙ্ঘে ভারতের প্রতিনিধি সীমা পূজানী। পাশাপাশি ভারত প্রসঙ্গে রাষ্ট্রসঙ্ঘে পাকিস্তানের প্রতিনিধি হিনা রব্বানি খরের মন্তব্যের কড়া জবাবও দিলেন তিনি। সীমা পাকিস্তানকে কটাক্ষ করে বলেছেন, সেদেশের নাগরিকরা যেখানে জীবনযাপন ও স্বাধীনতার জন্য লড়াই করছেন সেখানে পাকিস্তান ভারতের পিছনে পড়ে রয়েছে।
ধর্মীয় সংখ্যালঘু ও সন্ত্রাসবাদ প্রসঙ্গে রাষ্ট্রসঙ্ঘের মানবাধিকার কাউন্সিলে পাকিস্তানকে দেওয়া জবাবে সীমা বলেছেন, “আজ পাকিস্তানে কোনও ধর্মীয় সংখ্যালঘু স্বাধীনভাবে বসবাস করতে বা তাঁদের ধর্ম পালন করতে পারে না। কেবল নিজেদের বিশ্বাস মেনে চলার জন্য আহমদিয়া সম্প্রদায়কে সেখানে নির্যাতিত হতে হচ্ছে… বিশ্বজুড়ে হাজার হাজার নাগরিকের মৃত্যুর জন্য পাকিস্তানের নীতি সরাসরি দায়ী।” এদিকে পাকিস্তানের প্রতিনিধি হিনা রব্বানি খর বৃহস্পতিবার বলেছিলেন, “কাশ্মীরি জনগণের অধিকার আদায়ের বৈধ প্রচেষ্টাকে সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে তুলনা করে তাদের অমানবিক হিসেবে প্রতিপন্য করার জন্য হিন্দুত্ববাদী শাসকগোষ্ঠীকে রাজনৈতিক সুবিধা দেওয়া হয়েছে।” তিনি আরও বলেন, “ভারতীয় কর্তৃপক্ষ কাশ্মীরিদের জীবিকা থেকে বঞ্চিত করতে আবাসিক বাড়িঘর ভেঙে দিয়ে এবং জমির ইজারা বাতিল করে কাশ্মীরিদের সম্মিলিত শাস্তি বাড়িয়েছে।”
হিনার এই মন্তব্যের জবাবে পূজানী বলেন, “গত এক দশকে পাকিস্তানের নিজস্ব কমিশন অব ইনকোয়ারি অন এনফোর্সড ডিসঅ্যাপিয়ারেন্স ৮ হাজার ৪৬৩ টি অভিযোগ পেয়েছে। বালোচ জনগণ এই নিষ্ঠুর নীতির শিকার হয়েছেন। ছাত্র, ডাক্তার, প্রকৌশলী, শিক্ষক এবং কমিউনিটি নেতারা নিয়মিত নিখোঁজ হন।” ভারত আরও বলেছে, “একইরকম আচরণ সেখানে করা হয় খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সঙ্গেও। ধর্ম অবমাননাকর বিরোধী আইনের মাধ্যমে তাদের প্রায়সই আক্রমণ করা হয়। দেশের প্রতিষ্ঠানগুলি সরকারিভাবে সাফাই কাজ খ্রিস্টানদের জন্যই সংরক্ষিত রাখে।” এই প্রসঙ্গে সীমা আরও বলেন, “সেখানে এই সম্প্রদায়ের নাবালিকাদের ইসলাম ধর্মান্তরিত করা হয়। হিন্দু ও শিখ নাবালিকাদের ক্ষেত্রেও একই ধরন দেখা গিয়েছে। তাঁদের উপাসনাস্থলেও প্রায়সই হামলা করা হয়।”
এদিকে ভারতের বিরুদ্ধে খর আরও বলেছিলেন, ভারতকে বিভিন্ন অপ্রচলিত ও প্রচলিত অস্ত্র সরবরাহ দক্ষিণ এশিয়ার কৌশলগত স্থিতিশীলতায় আঘাত হানছে এবং পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা বিপন্ন করছে। এর জবাবে সীমা বলেন, “পাকিস্তানের প্রতিনিধি আবারও ভারতের বিরুদ্ধে বিদ্বেষপূর্ণ প্রচারের জন্য অগাস্ট ফোরামের অপব্যবহারের পথ বেছে নিয়েছেন।” পূজানী বলেছেন, ইসলামাবাদ এমন এক সময়ে ভারতের প্রতি আসক্ত, যখন সেদেশের নাগরিকরা তাঁদের জীবন, জীবিকা ও স্বাধীনতার জন্য লড়াই করছেন। এটিকে ভুল অগ্রাধিকার বলে অভিহিত করে ভারতীয় প্রতিনিধি পাকিস্তানি নেতৃত্বকে ভিত্তিহীন প্রচারণায় লিপ্ত না হয়ে নিজের জনগণের জন্য কাজ করার দিকে মনোনিবেশ করার আহ্বান জানিয়েছেন।